যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ টর্নেডো, কমপক্ষে ৫০ প্রাণহানী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:২৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 159
যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে টর্নেডোয় ৫০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানী হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে দেশটির কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যে। এর জেরে সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় শনিবার ভোররাতে এ টর্নেডো আঘাত হানে। টর্নোডোয় কয়েক স্থানে বাড়ির ছাদ ভেঙ্গে পড়ে। একটি রেল যোগাযোগ কোম্পানি জানিয়েছে, কেন্টাকিতে তাদের কয়েকটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে বেশ কয়েকটি টর্নেডো আঘাত হানে। মার্কিন গণমাধ্যমটি বলছে, ঝড়ের মৌসুমে না হলেও যতেষ্ট শক্তিশালী ছিল টর্নেডো; সঙ্গে ছিল আচানক ঝড়ও।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, আরকানসাস অঙ্গরাজ্যে একটি নার্সি হোমের ছাদ ধসে টর্নোডোতে অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে। ইলিনয়েস অঙ্গরাজ্যেও একটি বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। এতে এর ভেতরে বেশ কয়েকজন আটকা পড়েছেন।

কান্টাকির রাজ্য সরকার বলছে, টর্নেডোর প্রায় ২০০ মাইল দীর্ঘ দৌঁড়ে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। এ সংখ্যা বেড়ে ৭০-এ পৌঁছাতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর এন্ডি বেশিয়ার জানান, দিনের শেষে আরও কঠিন সংবাদ আসছে। তিনি বলেন, ‘কেন্টাকির ইতিহাসে একটি সবচেয়ে মারাত্মক রাতগুলোর একটি।’

তিনি বলেন, ‘(টর্নেডোর) পথে কিছু এলাকা এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে তা মুখে বর্ণনা করার মতো নয়।’

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া সেবার ঝড় পর্যবেক্ষক বিল বান্টিং বলেন, টর্নেডোয় মৌসুরি ও টেনিসি অঙ্গরাজ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জোর উদ্ধার অভিযান চলছে। এসব উদ্ধার অভিযানে উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে রয়েছে পুলিশও।

কেন্টাকিতে টর্নোডোয় আঘাত হানার পর একটি মোমবাতি উৎপাদনের কারখানায় শতাধিক মানুষ আটকা পড়েন। রাজ্যটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ টর্নেডো, কমপক্ষে ৫০ প্রাণহানী

আপডেট : ০১:২৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে টর্নেডোয় ৫০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানী হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে দেশটির কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যে। এর জেরে সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় শনিবার ভোররাতে এ টর্নেডো আঘাত হানে। টর্নোডোয় কয়েক স্থানে বাড়ির ছাদ ভেঙ্গে পড়ে। একটি রেল যোগাযোগ কোম্পানি জানিয়েছে, কেন্টাকিতে তাদের কয়েকটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে বেশ কয়েকটি টর্নেডো আঘাত হানে। মার্কিন গণমাধ্যমটি বলছে, ঝড়ের মৌসুমে না হলেও যতেষ্ট শক্তিশালী ছিল টর্নেডো; সঙ্গে ছিল আচানক ঝড়ও।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, আরকানসাস অঙ্গরাজ্যে একটি নার্সি হোমের ছাদ ধসে টর্নোডোতে অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে। ইলিনয়েস অঙ্গরাজ্যেও একটি বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। এতে এর ভেতরে বেশ কয়েকজন আটকা পড়েছেন।

কান্টাকির রাজ্য সরকার বলছে, টর্নেডোর প্রায় ২০০ মাইল দীর্ঘ দৌঁড়ে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। এ সংখ্যা বেড়ে ৭০-এ পৌঁছাতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর এন্ডি বেশিয়ার জানান, দিনের শেষে আরও কঠিন সংবাদ আসছে। তিনি বলেন, ‘কেন্টাকির ইতিহাসে একটি সবচেয়ে মারাত্মক রাতগুলোর একটি।’

তিনি বলেন, ‘(টর্নেডোর) পথে কিছু এলাকা এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে তা মুখে বর্ণনা করার মতো নয়।’

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া সেবার ঝড় পর্যবেক্ষক বিল বান্টিং বলেন, টর্নেডোয় মৌসুরি ও টেনিসি অঙ্গরাজ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জোর উদ্ধার অভিযান চলছে। এসব উদ্ধার অভিযানে উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে রয়েছে পুলিশও।

কেন্টাকিতে টর্নোডোয় আঘাত হানার পর একটি মোমবাতি উৎপাদনের কারখানায় শতাধিক মানুষ আটকা পড়েন। রাজ্যটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।