যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোতে শতাধিক নিহতের আশঙ্কা
- আপডেট : ১০:৩৯:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১
- / 130
ঘটনার পর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই রাজ্যটিতে টর্নেডো ২০০ মাইলেরও বেশি বিস্তৃত একটি গমনপথ ধরে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সবকিছু ধ্বংস করে রেখে গেছে।
কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার জানান, শুক্রবার রাতে অন্তত চারটি টর্নেডো কেনটাকির বিভিন্ন অংশে তাণ্ডব চালায়, এতে এক ডজনেরও বেশি কাউন্টিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রাথমিক টর্নেডোটি রাজ্যটির ভেতর দিয়ে ২২৭ মাইলেরও বেশি পথ অতিক্রম করেছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তেমনটি কখনো দেখিনি আমি। সম্ভবত আমরা ১০০ জনেরও বেশি কেনটাকিয়ানসকে হারিয়েছি বলে আশঙ্কা করছি।’
বেশিয়ার আরো জানান, জরুরি উদ্ধারকাজে সহায়তা করার জন্য ১৮৯ জন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা গেছে, কেনটাকির পশ্চিমাংশের মেফিল্ড শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০ হাজার বাসিন্দার ছোট এই শহরটিতে কেনটাকি প্রতিবেশী রাজ্য ইলিনয়, মিজৌরি ও আরকানসয়ের সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও ও ছবিগুলোতে দেখা গেছে, মেফিল্ডের কেন্দ্রস্থলের পাকা ভবনগুলো ভেঙে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, কাছে পার্ক করা গাড়িগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।
রাতে ধারাবাহিক কয়েকটি বজ্রঝড় থেকে টর্নেডোগুলির উৎপত্তি হয়। এরমধ্যে আরকানসর উত্তরাঞ্চলে উৎপত্তি হওয়া একটি ‘সুপার সেল’ঝড়ও ছিল। এই ঝড়টি আরকানস থেকে মিজৌরি, টেনেসি ও কেনটাকিতে প্রবেশ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের ঝড় পূর্বাভাস কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ রজার এডওয়ার্ড বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে ঝড়টি এগিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকটি প্রাণঘাতী টর্নেডোর সৃষ্টি করে। এদের মধ্যে একটি সম্ভবত অনেক দূর পর্যন্ত গিয়েছে। প্রাণঘাতী টর্নেডোটি এরই অংশ ছিল।”
ঝড় পূর্বাভাস কেন্দ্রের অপারেশন্স চিফ বিল বান্টিং জানিয়েছেন, অন্তত ছয়টি রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা এই টর্নেডোর তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
টর্নেডোর পর থেকেই কেনটাকির ৫৬ হাজারেরও বেশি লোক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। রাজ্যটিতেও জরুরি অবস্থা জারি করেছেন বলে জানান বেশিয়ার।
বেশিয়ার আরো জানান, টর্নেডো কবলিত এই এলাকার একটি মোমবাতি কারখানাকে দুমড়ে মুচড়ে গেছে, সেসময় প্রায় ১১০ জনের মতো কারখানার ভিতর অবস্থান করেছিলো। কারখানাটির ছাদ ভেঙে পড়ে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
কারখানাটির ভেতরে থাকা কিয়ানা পারসন্স পেরেজ জানান, শ্রমিকরা বাতাসের শব্দ পায় ও প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এর উপস্থিতি অনুভব করে তখন বিদ্যুৎ চমকও শুরু হয়, এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ছাদ ধ্বসে পড়ে।