যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি যেন ধ্বংসস্তুপ, মৃত্যু ১০০ ছুঁই ছুঁই

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:২৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 121
যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ টর্নেডোয় কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছেন দেশটির কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের কয়েকটি এলাকা। কেন্টাকির গভর্নর বলেছেন, তার আশঙ্কা সেখানে মৃত্যু ১০০ ছাড়াতে পারে।

কেন্টাকিসহ আরও চার রাজ্যে এ পর্যন্ত ৯৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

টর্নোডোর জেরে বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। অনেকেই বাড়িঘরের ধ্বংসস্তুপে আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধারের সম্ভাবনাও ক্রমে ক্ষীণ হয়ে আসছে।

কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশেয়ার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটা ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ টর্নোডোর ঘটনা। ইতোমধ্যে ৮০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তিনি।

গভর্নর বেশেয়ার বলেন, ‘টর্নোডোর গতিপথে যা কিছু দাঁড়ানো ছিল, তার কিছুই এখন সে অবস্থায় নেই।’

এ টর্নোডোয় যুক্তরাষ্ট্রের আরও চারটি অঙ্গরাজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলোতে আরও ১৪ জনের প্রাণহানী হয়েছে।

স্থানীয় সময় গত শনিবার ভোর রাতের দিকে ভয়াবহ এসব টর্নোডো যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ সহযোগিতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ধ্বংসস্তুপ সরিনোর মাধ্যমে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা দপ্তরের তিনশ’র বেশি কর্মী। তারা দুর্গতদের পানি ও জেনারেটর সরবরাহ করছেন।

গভর্নর অ্যান্ডি বেশেয়ার বলেন, ‘আমরা সামনের দিকে যতো এগোচ্ছি ততো আরও লোকজনকে পাওয়া মাধ্যমে অলৌকিক কিছুর অপেক্ষায় আছি।’ তিনি কেন্টাকির মেফিল্ড শহর পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন। এ শহরটি টর্নেডোয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি জানান, একটি টর্নোডো ৩৬৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রমকালে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। গত শনিবার সকালের পর থেকে এখন পর্যন্ত কাউকে জীবিত উদ্ধার করা হয়নি।

ধারণা করা হচ্ছে টর্নেডোয় কয়েক হাজার মানুষের বাড়িঘর একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।

টর্নেডোর তাণ্ডবের পর যারা বেঁচে ছিলেন, তাদের জন্য পরবর্তী (শনিবার) সকালটি ছিল আবেগঘন।

 

বাং/ টি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি যেন ধ্বংসস্তুপ, মৃত্যু ১০০ ছুঁই ছুঁই

আপডেট : ১১:২৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ টর্নেডোয় কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছেন দেশটির কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের কয়েকটি এলাকা। কেন্টাকির গভর্নর বলেছেন, তার আশঙ্কা সেখানে মৃত্যু ১০০ ছাড়াতে পারে।

কেন্টাকিসহ আরও চার রাজ্যে এ পর্যন্ত ৯৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

টর্নোডোর জেরে বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। অনেকেই বাড়িঘরের ধ্বংসস্তুপে আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধারের সম্ভাবনাও ক্রমে ক্ষীণ হয়ে আসছে।

কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশেয়ার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটা ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ টর্নোডোর ঘটনা। ইতোমধ্যে ৮০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তিনি।

গভর্নর বেশেয়ার বলেন, ‘টর্নোডোর গতিপথে যা কিছু দাঁড়ানো ছিল, তার কিছুই এখন সে অবস্থায় নেই।’

এ টর্নোডোয় যুক্তরাষ্ট্রের আরও চারটি অঙ্গরাজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলোতে আরও ১৪ জনের প্রাণহানী হয়েছে।

স্থানীয় সময় গত শনিবার ভোর রাতের দিকে ভয়াবহ এসব টর্নোডো যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ সহযোগিতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ধ্বংসস্তুপ সরিনোর মাধ্যমে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা দপ্তরের তিনশ’র বেশি কর্মী। তারা দুর্গতদের পানি ও জেনারেটর সরবরাহ করছেন।

গভর্নর অ্যান্ডি বেশেয়ার বলেন, ‘আমরা সামনের দিকে যতো এগোচ্ছি ততো আরও লোকজনকে পাওয়া মাধ্যমে অলৌকিক কিছুর অপেক্ষায় আছি।’ তিনি কেন্টাকির মেফিল্ড শহর পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন। এ শহরটি টর্নেডোয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি জানান, একটি টর্নোডো ৩৬৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রমকালে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। গত শনিবার সকালের পর থেকে এখন পর্যন্ত কাউকে জীবিত উদ্ধার করা হয়নি।

ধারণা করা হচ্ছে টর্নেডোয় কয়েক হাজার মানুষের বাড়িঘর একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।

টর্নেডোর তাণ্ডবের পর যারা বেঁচে ছিলেন, তাদের জন্য পরবর্তী (শনিবার) সকালটি ছিল আবেগঘন।

 

বাং/ টি