পুঁজিবাজারে আসবে দুই এক্সচেঞ্জ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১০:৩৯:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 131
দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার দ্রুত শেয়ারবাজারে আনার উদ্যোগ নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সংস্থাটি আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ৩৫ শতাংশ শেয়ার পুঁজিবাজারে ছাড়ার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।

গতকাল সোমবার বিএসইসিতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সময় বেধে দেওয়া হয়।

দুই স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রির বিষয়টি আইনে উল্লেখ থাকলেও কত বছরের মধ্যে তা করতে হবে, সে জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বেধে দেয়া হয়নি।

আবার কী পদ্ধতিতে এসব শেয়ার বিক্রি করা হবে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিক্রি করা যাবে কি না ইত্যাদি বিষয়েও আইনে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই।

স্টক এক্সচেঞ্জ দুটির কর্মকর্তারা বলছেন, ব্লক হিসাবে থাকা ৩৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রির জন্য আলাদা বিধিবিধান করতে হবে। কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষেই বিধিবিধান করতে হবে।

গতকালের বৈঠকের পর দ্রুত এ বিধিবিধান তৈরি করে বিএসইসিতে জমা দেয়ার প্রস্তুতি শুরু করা হবে বলে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়।

২০১০ সালে শেয়ারবাজারে ধসের পর সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশনের উদ্যোগ নেয়। ২০১৩ সালে সেটি বাস্তবায়িত হলেও পুরো প্রক্রিয়াটি এখনো সম্পন্ন হয়নি। কারণ, স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারের বড় একটি অংশ এখনো অবিক্রীত রয়েছে।

ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদে শেয়ারধারীদের জন্য যে ৪টি পদ সংরক্ষিত আছে, সেগুলোতে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির পুরোনো সদস্যরাই ঘুরেফিরে দায়িত্ব পালন করছেন। সাধারণ শেয়ারধারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রি না হওয়ায় স্টক এক্সচেঞ্জের বাইরে থেকে কারও পর্ষদে যুক্ত হওয়ার সুযোগ হচ্ছে না।

অপরদিকে ২০১৮ সালে চীনের দুটি এক্সচেঞ্জের সমন্বয়ে গঠিত জোটের কাছে প্রায় হাজার কোটি টাকায় ডিএসইর ২৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করা হয়। এসব শেয়ারের প্রতিটি ২১ টাকা দামে বিক্রি করা হয়। শেয়ার বিক্রির সেই টাকা ইতিমধ্যে ডিএসইর শেয়ারধারী সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এখন ব্লক হিসাবে থাকা বাকি ৩৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে যে অর্থ পাওয়া যাবে, তা-ও পাবেন এসব শেয়ারধারী সদস্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পুঁজিবাজারে আসবে দুই এক্সচেঞ্জ

আপডেট : ১০:৩৯:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১
দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার দ্রুত শেয়ারবাজারে আনার উদ্যোগ নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সংস্থাটি আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ৩৫ শতাংশ শেয়ার পুঁজিবাজারে ছাড়ার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।

গতকাল সোমবার বিএসইসিতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সময় বেধে দেওয়া হয়।

দুই স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রির বিষয়টি আইনে উল্লেখ থাকলেও কত বছরের মধ্যে তা করতে হবে, সে জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বেধে দেয়া হয়নি।

আবার কী পদ্ধতিতে এসব শেয়ার বিক্রি করা হবে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিক্রি করা যাবে কি না ইত্যাদি বিষয়েও আইনে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই।

স্টক এক্সচেঞ্জ দুটির কর্মকর্তারা বলছেন, ব্লক হিসাবে থাকা ৩৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রির জন্য আলাদা বিধিবিধান করতে হবে। কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষেই বিধিবিধান করতে হবে।

গতকালের বৈঠকের পর দ্রুত এ বিধিবিধান তৈরি করে বিএসইসিতে জমা দেয়ার প্রস্তুতি শুরু করা হবে বলে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়।

২০১০ সালে শেয়ারবাজারে ধসের পর সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশনের উদ্যোগ নেয়। ২০১৩ সালে সেটি বাস্তবায়িত হলেও পুরো প্রক্রিয়াটি এখনো সম্পন্ন হয়নি। কারণ, স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারের বড় একটি অংশ এখনো অবিক্রীত রয়েছে।

ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদে শেয়ারধারীদের জন্য যে ৪টি পদ সংরক্ষিত আছে, সেগুলোতে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির পুরোনো সদস্যরাই ঘুরেফিরে দায়িত্ব পালন করছেন। সাধারণ শেয়ারধারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রি না হওয়ায় স্টক এক্সচেঞ্জের বাইরে থেকে কারও পর্ষদে যুক্ত হওয়ার সুযোগ হচ্ছে না।

অপরদিকে ২০১৮ সালে চীনের দুটি এক্সচেঞ্জের সমন্বয়ে গঠিত জোটের কাছে প্রায় হাজার কোটি টাকায় ডিএসইর ২৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করা হয়। এসব শেয়ারের প্রতিটি ২১ টাকা দামে বিক্রি করা হয়। শেয়ার বিক্রির সেই টাকা ইতিমধ্যে ডিএসইর শেয়ারধারী সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এখন ব্লক হিসাবে থাকা বাকি ৩৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে যে অর্থ পাওয়া যাবে, তা-ও পাবেন এসব শেয়ারধারী সদস্য।