২০ মিনিটে শনাক্ত হবে ওমিক্রন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১০:৪৫:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 161
দক্ষিণ কোরিয়ার গবেষকেরা করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্তে একটি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওমিক্রন ধরন শনাক্ত করা সম্ভব মাত্র ২০-৩০ মিনিটের মধ্যেই।

বার্তা সংস্থা এএনআই-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ প্রযুক্তির বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওমিক্রন ধরন শনাক্তে নতুন যে প্রযুক্তি আনা হয়েছে, সেটি আণবিক প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে ফল পাওয়া যাবে, তা প্রকাশ করা হবে অনলাইনে।

দক্ষিণ কোরিয়ার পোহাং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পোসটেক) এক ঘোষণায় গত ১০ ডিসেম্বর বলা হয়, রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক লি জুং উকের নেতৃত্বাধীন গবেষণা দল এ আণবিক পরীক্ষা প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন।

করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন নতুন এমন একটি ধরন, যার স্পাইক প্রোটিনে ২৬ থেকে ৩২ বার রূপান্তর হয়েছে। কোভিড-১৯ ভাইরাস এই স্পাইক প্রোটিন ব্যবহার করেই মানবকোষকে সংক্রমিত করে থাকে।

বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র করোনা ভাইরাসের ধরন শনাক্ত করার জন্য তিনটি পদ্ধতি ব্যবহার করছে। সেগুলো হচ্ছে- জিন বিন্যাস, সুনির্দিষ্টভাবে ডিএনএ বিশ্লেষণ ও পিসিআর পরীক্ষা।

পিসিআর টেস্টের মাধ্যমে বর্তমান ডেল্টা ধরন শনাক্ত করা সম্ভব হলেও ওমিক্রন শনাক্ত করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধ্যাপক লি বলেন, ওমিক্রন শনাক্তে পিসিআর টেস্টে এন জিনের জন্য শক্তিশালী সংকেত পাওয়া গেলেও এস জিনের জন্য দুর্বল সংকেত পাওয়া যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

২০ মিনিটে শনাক্ত হবে ওমিক্রন

আপডেট : ১০:৪৫:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১
দক্ষিণ কোরিয়ার গবেষকেরা করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্তে একটি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওমিক্রন ধরন শনাক্ত করা সম্ভব মাত্র ২০-৩০ মিনিটের মধ্যেই।

বার্তা সংস্থা এএনআই-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ প্রযুক্তির বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওমিক্রন ধরন শনাক্তে নতুন যে প্রযুক্তি আনা হয়েছে, সেটি আণবিক প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে ফল পাওয়া যাবে, তা প্রকাশ করা হবে অনলাইনে।

দক্ষিণ কোরিয়ার পোহাং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পোসটেক) এক ঘোষণায় গত ১০ ডিসেম্বর বলা হয়, রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক লি জুং উকের নেতৃত্বাধীন গবেষণা দল এ আণবিক পরীক্ষা প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন।

করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন নতুন এমন একটি ধরন, যার স্পাইক প্রোটিনে ২৬ থেকে ৩২ বার রূপান্তর হয়েছে। কোভিড-১৯ ভাইরাস এই স্পাইক প্রোটিন ব্যবহার করেই মানবকোষকে সংক্রমিত করে থাকে।

বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র করোনা ভাইরাসের ধরন শনাক্ত করার জন্য তিনটি পদ্ধতি ব্যবহার করছে। সেগুলো হচ্ছে- জিন বিন্যাস, সুনির্দিষ্টভাবে ডিএনএ বিশ্লেষণ ও পিসিআর পরীক্ষা।

পিসিআর টেস্টের মাধ্যমে বর্তমান ডেল্টা ধরন শনাক্ত করা সম্ভব হলেও ওমিক্রন শনাক্ত করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধ্যাপক লি বলেন, ওমিক্রন শনাক্তে পিসিআর টেস্টে এন জিনের জন্য শক্তিশালী সংকেত পাওয়া গেলেও এস জিনের জন্য দুর্বল সংকেত পাওয়া যায়।