চাঁদা না পেয়েই কক্সবাজারে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
- আপডেট : ১২:০৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমাবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১
- / 193
খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আশিক র্যাবের কাছে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে।
র্যাব বলছে, ওই নারী চক্রটির পূর্ব পরিচিত ছিল না। ঘটনার একদিন আগে সৈকতে তাদের পরিচয় হয়। সেসময় ওই নারী শিশু সন্তানের চিকিৎসার জন্য ট্যুরিস্টদের কাছে অর্থ সহযোগিতা চাইছিল।
কক্সবাজারে পর্যটক এলাকায় গ্রেপ্তার আশিক একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের মূলহোতা। এ চক্রের সদস্য সংখ্যা ৩০-৩৫ জন। আশিক ২০১২ সাল থেকে কক্সবাজার পর্যটক এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। সে প্রথম ২০১৪ সালে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়।
সে ও তার সিন্ডিকেট পর্যটন এলাকা কক্সবাজারে চুরি, ছিনতাই, অপহরণ, জিম্মি, চাঁদাবাজি, জবরদখল, ডাকাতি ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। সে পর্যটন এলাকায় বিভিন্ন হোটেলে ম্যানেজারের সঙ্গে যোগসাজশে ট্যুরিস্টদের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করত।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আশিক আরও জানান, আশিক ও তার সহযোগীরা ভিকটিম ও তার পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। ভিকটিম ও তার পরিবার চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর লাবনী বিচ এলাকার রাস্তা থেকে ভিকটিমকে সিএনজিতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
গ্রেপ্তার আশিকুল ইসলাম ভিকটিমকে ধর্ষণ ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে আটক করে রেখে ভিকটিমের স্বামীর কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর ভিকটিমকে হোটেলে আটকে রেখে গ্রেপ্তার আশিক হোটেল থেকে বের হয়ে যায়।
বিষয়টি ব্যাপকভাবে স্থানীয় পর্যায়েও বিভিন্ন মিডিয়াতে জানাজানি হলে আশিক আত্মগোপনে চলে যায়। পরে বেশভূষা পরিবর্তন করে ঘটনার দুদিন পর কক্সবাজার থেকে একটি এসি বাস যোগে ঢাকায় আসে। পরে ঢাকা থেকে পটুয়াখালী যাওয়ার পথে সে মাদারীপুরের মোস্তাফাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার হয়।
গ্রেপ্তার আশিক পর্যটন এলাকা কক্সবাজারে আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন রকম জবরদখল ও অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছেন। সে পর্যটন এলাকার সুগন্ধা এলাকায় ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট জোরপূর্বক কম টাকা দিয়ে ভাড়া নিয়ে ক্ষেত্রে বিশেষে দ্বিগুণ ও তিনগুণ ভাড়া আদায় করে মূল মালিকদের বঞ্চিত করে থাকে। গ্রেপ্তার আশিক বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি অবৈধ দখল করে ও চাঁদা দাবি করে। তার চক্রের সদস্যরা রাতে বিচে আসা ট্যুরিস্টদের হেনস্তা, মোবাইল ছিনতাই, ফাঁদে ফেলা ও নিয়মিত ইভটিজিং করত। পাশাপাশি হোটেল-মোটেল জোনে বিভিন্ন ট্যুরিস্টদের সুযোগ বুঝে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করত।
তার নামে ইতোমধ্যে কক্সবাজার সদর থানায় অস্ত্র, মাদক, নারী নির্যাতন ও চাঁদাবাজিসহ ১২টি মামলা চলমান রয়েছে। আগে সে পাঁচবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সে প্রায় আড়াই বছর কারাভোগ করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ওই ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।