করোনা মোকাবিলায় সরকার সফল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:২৮:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২
  • / 163
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বর্তমান সরকার সাফল্যের সঙ্গে করোনা মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে। বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে ৬ কোটির বেশি মানুষ।

রোববার বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম ও ২০২২ সালের প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, করোনার কারণে জনসাধারণের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু এ সঙ্কটকালে পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার পুরো প্রস্তুতি গ্রহণ করে। করোনার চিকিৎসায় নেয়া হয় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ। ইতোমধ্যে ৭ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। শিগগিরই বাকিদেরও টিকার আওতায় আনা হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, করোনার কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি সরকারও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু সরকার ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে বৃহৎ সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিয়েছে। এর ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেক স্বাভাবিক রয়েছে।

করোনাকালে এই সংসদ অধিবেশন স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিকেল ৪টায় জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয়। এতে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।

এই অধিবেশন ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চালানোর প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে জাতীয় সংসদের স্পিকার চাইলে সময় বাড়াতে পারবেন।

এর আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তালিকাভুক্ত এমপিদের সংসদে প্রবেশ করতে হয়। সবাইকে দেখাতে হয় করোনার নেগেটিভ সনদ বা মেসেজ। সংসদ ভবনে নির্দিষ্ট আসন ফাঁকা রেখে এমপিরা বসেছেন। সবার মুখে মাস্ক আছে কি না তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ট্যানেলের গেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হয়েছে সবাইকে।

এটি সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সংবিধান অনুযায়ী বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন রাষ্ট্রপতি ভাষণ দিয়ে থাকেন। অধিবেশনের শুরুতেই সভাপতিমণ্ডলীর মনোনয়ন দেয়া হয়। তারা স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে সংসদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। এরপর শোকপ্রস্তাব আনা হয়। শোকপ্রস্তাবের পর রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেবেন। তারপর সংসদের অধিবেশন মুলতবি করা হবে।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। বছরের প্রথম অধিবেশন সাধারণত দীর্ঘ হয়। কিন্তু করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় যতদূর সম্ভব অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করা হবে।

এর আগে ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর শেষ হয় জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশন। ওই অধিবেশনে কার্যদিবস ছিল নয়টি। ২৮ নভেম্বর অধিবেশন সমাপ্তি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতির আদেশ পড়ে শোনান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

করোনা মোকাবিলায় সরকার সফল

আপডেট : ০১:২৮:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বর্তমান সরকার সাফল্যের সঙ্গে করোনা মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে। বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে ৬ কোটির বেশি মানুষ।

রোববার বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম ও ২০২২ সালের প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, করোনার কারণে জনসাধারণের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু এ সঙ্কটকালে পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার পুরো প্রস্তুতি গ্রহণ করে। করোনার চিকিৎসায় নেয়া হয় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ। ইতোমধ্যে ৭ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। শিগগিরই বাকিদেরও টিকার আওতায় আনা হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, করোনার কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি সরকারও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু সরকার ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে বৃহৎ সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিয়েছে। এর ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেক স্বাভাবিক রয়েছে।

করোনাকালে এই সংসদ অধিবেশন স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিকেল ৪টায় জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয়। এতে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।

এই অধিবেশন ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চালানোর প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে জাতীয় সংসদের স্পিকার চাইলে সময় বাড়াতে পারবেন।

এর আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তালিকাভুক্ত এমপিদের সংসদে প্রবেশ করতে হয়। সবাইকে দেখাতে হয় করোনার নেগেটিভ সনদ বা মেসেজ। সংসদ ভবনে নির্দিষ্ট আসন ফাঁকা রেখে এমপিরা বসেছেন। সবার মুখে মাস্ক আছে কি না তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ট্যানেলের গেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হয়েছে সবাইকে।

এটি সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সংবিধান অনুযায়ী বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন রাষ্ট্রপতি ভাষণ দিয়ে থাকেন। অধিবেশনের শুরুতেই সভাপতিমণ্ডলীর মনোনয়ন দেয়া হয়। তারা স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে সংসদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। এরপর শোকপ্রস্তাব আনা হয়। শোকপ্রস্তাবের পর রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেবেন। তারপর সংসদের অধিবেশন মুলতবি করা হবে।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। বছরের প্রথম অধিবেশন সাধারণত দীর্ঘ হয়। কিন্তু করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় যতদূর সম্ভব অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করা হবে।

এর আগে ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর শেষ হয় জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশন। ওই অধিবেশনে কার্যদিবস ছিল নয়টি। ২৮ নভেম্বর অধিবেশন সমাপ্তি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতির আদেশ পড়ে শোনান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।