একজন নারী উদ্যোক্তার গল্প

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১০:৫৫:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
  • / 153

সুমী (রুপক নাম), মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে সুমী ঢাকা শহরে এসেছে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে।
স্বপ্ন পূরণের এই যাত্রায় নানান মানুষের সাথে পরিচিত হয় সে। নীলা(রুপক নাম) নামের একটা মেয়ের সাথে একই রুমে থাকে সে। নীলা সম্পর্কে খুব একটা বেশী ধারণা নেই সুমী’র। নীলা বলেছে সে একটা পার্লারে জব করে, সকালে বের হয়ে গভীর রাতে বাসার ফিরে সে। মাঝে মাঝে রাতটা বাইরে কাটায়।

সুমী কিছুটা বিভ্রান্ত; ঢাকা শহরের কোনো পার্লার মধ্যরাত পর্যন্ত খোলা থাকে কিনা সেই সম্পর্কে তাঁর কোন ধারণা নেই। তবে নীলা’র চলাফেরায় অতিরঞ্জিত আভিজাত্যের ছাপই বলে দেয় যে, সে অসামাজিক কাজে লিপ্ত।ঢাকা শহরের যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হল বা হোস্টেল অথবা মেসের অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো র‌্যাগিং।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হত্যাকান্ড ঘটনা র‌্যাগিং নিয়ে আমাদের ভাবতে বাধ্য করেছে। র‌্যাগিং এর কারণে শিক্ষার্থীর মানসিক এবং শারীরিক দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব পরে।

বডি শেমিং এবং বুলিং হলো হোস্টেলের অন্যতম প্রধান সমস্যা। বডি শেমিং এর শিকার ব্যক্তিকে দীর্ঘ মেয়াদি মানসিক সমস্যা, সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপূর্ণ হতে হয়।বডি শেমিং এর কারণে সবচেয়ে বেশী যে ইফেক্ট পরে ‘আত্মবিশ্বাসের’ উপর। বডি শেমিং কখনও পজেটিভ হতে পারেনা, বরং এটা ব্যক্তিকে ধীরে ধীরে ডিপ্রেসড করে দেয়; সাথে সাথে ব্যক্তির আত্মবিশ্বাসকে তলানিতে নামিয়ে আনে যা দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষতিসাধন করে।

এরপরে আসে নেপোটিজম বা স্বজনপ্রীতি। নিজের পরিবার বা আত্নীয় বিশেষ কাউকে বিশেষ সুবিধা প্রদান করাই নেপোটিজম।
হোস্টেলে এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। নিজের পরিচিত কাউকে অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করে, অন্যদেরকে সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়। এটা বর্তমানের অন্যতম মারাত্মক সমস্যার মধ্যে একটি।

উপরক্ত ঘটনাগুলো হরহামেশাই দেখা যায়। প্রজেক্ট সেকেন্ড হোম, শুরু থেকেই ব্যাচেলরদের নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য বাসস্থান প্রোভাইড করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এছাড়া সমাজবিরোধী এবং নেগেটিভ ইনফ্লুয়েন্সিভ (প্রথম রুপক গল্পের অনুরুপ) কর্মকান্ডে জড়িত বা এরুপ ইনফ্লুয়েন্সিভ কেউ প্রজেক্ট সেকেন্ড হোমে কঠোর ভাবে রেস্টিকটেড।

র‌্যগিং মুক্ত একটি রেসিডেন্স প্রোভাইড করা আমাদের অন্যতম মূল লক্ষ্য এবং এর বিরুদ্ধে আমরা সবসময় শক্ত অবস্থানে থাকি। কারও বিরুদ্ধে র‌্যগিং এর অভিযোগ পাওয়া গেলে, প্রমাণ সাপেক্ষে নোটিশ দেওয়া পূর্বক তার সিট বাতিল করা হয়।
এছাড়া বুলিং এবং বডি শেমিং এর বিপক্ষে আমাদের কঠোর অবস্থান, আমাদের গেস্টদের নির্ভরযোগ্য বাসস্থান প্রোভাইড করার পথটা আরও সুগম করেছে। বুলিং এবং বডি শেমিং এ জড়িতদের আমরা নোটিশ দেয়া পূর্বক সিট বাতিল করে দিই।

প্রত্যেক গেস্টের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করাটা আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। সুতরাং নেপোটিজম মুক্ত একটা পরিবেশ খুব সহজেই আমরা প্রোভাইড করতে পারি।

পরিশেষে; ঢাকা শহরের ব্যাচেলরদের উন্নত জীবন ব্যবস্থা, নিরাপদ-নির্ভরযোগ্য আবাসন প্রোভাইড করাই প্রজেক্ট সেকেন্ড হোমের মূল লক্ষ্য এবং এই বিষয়ে আমরা সর্বদা সচেষ্ট।সুতরাং প্রউডলি আমরা বলতে পারি, প্রজেক্ট সেকেন্ড হোমে পোকা নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

একজন নারী উদ্যোক্তার গল্প

আপডেট : ১০:৫৫:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

সুমী (রুপক নাম), মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে সুমী ঢাকা শহরে এসেছে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে।
স্বপ্ন পূরণের এই যাত্রায় নানান মানুষের সাথে পরিচিত হয় সে। নীলা(রুপক নাম) নামের একটা মেয়ের সাথে একই রুমে থাকে সে। নীলা সম্পর্কে খুব একটা বেশী ধারণা নেই সুমী’র। নীলা বলেছে সে একটা পার্লারে জব করে, সকালে বের হয়ে গভীর রাতে বাসার ফিরে সে। মাঝে মাঝে রাতটা বাইরে কাটায়।

সুমী কিছুটা বিভ্রান্ত; ঢাকা শহরের কোনো পার্লার মধ্যরাত পর্যন্ত খোলা থাকে কিনা সেই সম্পর্কে তাঁর কোন ধারণা নেই। তবে নীলা’র চলাফেরায় অতিরঞ্জিত আভিজাত্যের ছাপই বলে দেয় যে, সে অসামাজিক কাজে লিপ্ত।ঢাকা শহরের যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হল বা হোস্টেল অথবা মেসের অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো র‌্যাগিং।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হত্যাকান্ড ঘটনা র‌্যাগিং নিয়ে আমাদের ভাবতে বাধ্য করেছে। র‌্যাগিং এর কারণে শিক্ষার্থীর মানসিক এবং শারীরিক দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব পরে।

বডি শেমিং এবং বুলিং হলো হোস্টেলের অন্যতম প্রধান সমস্যা। বডি শেমিং এর শিকার ব্যক্তিকে দীর্ঘ মেয়াদি মানসিক সমস্যা, সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপূর্ণ হতে হয়।বডি শেমিং এর কারণে সবচেয়ে বেশী যে ইফেক্ট পরে ‘আত্মবিশ্বাসের’ উপর। বডি শেমিং কখনও পজেটিভ হতে পারেনা, বরং এটা ব্যক্তিকে ধীরে ধীরে ডিপ্রেসড করে দেয়; সাথে সাথে ব্যক্তির আত্মবিশ্বাসকে তলানিতে নামিয়ে আনে যা দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষতিসাধন করে।

এরপরে আসে নেপোটিজম বা স্বজনপ্রীতি। নিজের পরিবার বা আত্নীয় বিশেষ কাউকে বিশেষ সুবিধা প্রদান করাই নেপোটিজম।
হোস্টেলে এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। নিজের পরিচিত কাউকে অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করে, অন্যদেরকে সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়। এটা বর্তমানের অন্যতম মারাত্মক সমস্যার মধ্যে একটি।

উপরক্ত ঘটনাগুলো হরহামেশাই দেখা যায়। প্রজেক্ট সেকেন্ড হোম, শুরু থেকেই ব্যাচেলরদের নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য বাসস্থান প্রোভাইড করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এছাড়া সমাজবিরোধী এবং নেগেটিভ ইনফ্লুয়েন্সিভ (প্রথম রুপক গল্পের অনুরুপ) কর্মকান্ডে জড়িত বা এরুপ ইনফ্লুয়েন্সিভ কেউ প্রজেক্ট সেকেন্ড হোমে কঠোর ভাবে রেস্টিকটেড।

র‌্যগিং মুক্ত একটি রেসিডেন্স প্রোভাইড করা আমাদের অন্যতম মূল লক্ষ্য এবং এর বিরুদ্ধে আমরা সবসময় শক্ত অবস্থানে থাকি। কারও বিরুদ্ধে র‌্যগিং এর অভিযোগ পাওয়া গেলে, প্রমাণ সাপেক্ষে নোটিশ দেওয়া পূর্বক তার সিট বাতিল করা হয়।
এছাড়া বুলিং এবং বডি শেমিং এর বিপক্ষে আমাদের কঠোর অবস্থান, আমাদের গেস্টদের নির্ভরযোগ্য বাসস্থান প্রোভাইড করার পথটা আরও সুগম করেছে। বুলিং এবং বডি শেমিং এ জড়িতদের আমরা নোটিশ দেয়া পূর্বক সিট বাতিল করে দিই।

প্রত্যেক গেস্টের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করাটা আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। সুতরাং নেপোটিজম মুক্ত একটা পরিবেশ খুব সহজেই আমরা প্রোভাইড করতে পারি।

পরিশেষে; ঢাকা শহরের ব্যাচেলরদের উন্নত জীবন ব্যবস্থা, নিরাপদ-নির্ভরযোগ্য আবাসন প্রোভাইড করাই প্রজেক্ট সেকেন্ড হোমের মূল লক্ষ্য এবং এই বিষয়ে আমরা সর্বদা সচেষ্ট।সুতরাং প্রউডলি আমরা বলতে পারি, প্রজেক্ট সেকেন্ড হোমে পোকা নেই।