বেগমপাড়া: বার বার চাওয়ার পরও তথ্য পাচ্ছে না দুদক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৭:৪৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২
  • / 178
কানাডার কথিত বেগমপাড়ায় বাড়ির মালিকদের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, অর্থ পাচারে রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী থাকলেও সরকারি কর্মচারীই বেশি। এরপর হাই কোর্ট অর্থ পাচারকারীদের পরিচয় জানাতে বলেছিলো। দুদক সেই তদন্তে নামলেও এখনও কিছু জানাতে পারেনি। লিস্ট পাওয়ার তো কোনো মেকানিজম আমাদের নেই। বেগমপাড়ায় কার কার বাড়ি আছে, ওই তালিকা পাওয়ার মেকানিজম তো আমাদের নেই। তিনি আরও বলেন, যিনি বলছেন যে তার কাছে তালিকা আছে, উনাদের কাছে বার বার চাওয়ার পরও তো পাচ্ছি না। আমরা কীভাবে আগাবো? আমরা পেলে অবশ্যই দেখব। আর আমরা যেগুলো পেয়েছি, সেগুলো নিয়ে কাজ করছি।

তাদের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে মানি লন্ডারিংয়ের কিছু আছে। বেগমপাড়ার কোনো তালিকা নেই, আমাদেরকে দেয়নি। এ ছাড়া অর্থ পাচারের বিষয়েও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কাছে তথ্য চেয়ে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান দুদক চেয়ারম্যান।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের নভেম্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে কানাডায় টাকা পাচারের সত্যতা পাওয়ার কথা জানানোর পরই ‘বেগমপাড়ার’ বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে, এরপর এ বিষয়ে আর কোন অগ্রগতি চোখে পড়েনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বেগমপাড়া: বার বার চাওয়ার পরও তথ্য পাচ্ছে না দুদক

আপডেট : ০৭:৪৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২
কানাডার কথিত বেগমপাড়ায় বাড়ির মালিকদের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, অর্থ পাচারে রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী থাকলেও সরকারি কর্মচারীই বেশি। এরপর হাই কোর্ট অর্থ পাচারকারীদের পরিচয় জানাতে বলেছিলো। দুদক সেই তদন্তে নামলেও এখনও কিছু জানাতে পারেনি। লিস্ট পাওয়ার তো কোনো মেকানিজম আমাদের নেই। বেগমপাড়ায় কার কার বাড়ি আছে, ওই তালিকা পাওয়ার মেকানিজম তো আমাদের নেই। তিনি আরও বলেন, যিনি বলছেন যে তার কাছে তালিকা আছে, উনাদের কাছে বার বার চাওয়ার পরও তো পাচ্ছি না। আমরা কীভাবে আগাবো? আমরা পেলে অবশ্যই দেখব। আর আমরা যেগুলো পেয়েছি, সেগুলো নিয়ে কাজ করছি।

তাদের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে মানি লন্ডারিংয়ের কিছু আছে। বেগমপাড়ার কোনো তালিকা নেই, আমাদেরকে দেয়নি। এ ছাড়া অর্থ পাচারের বিষয়েও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কাছে তথ্য চেয়ে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান দুদক চেয়ারম্যান।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের নভেম্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে কানাডায় টাকা পাচারের সত্যতা পাওয়ার কথা জানানোর পরই ‘বেগমপাড়ার’ বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে, এরপর এ বিষয়ে আর কোন অগ্রগতি চোখে পড়েনি।