বঙ্গবন্ধুর ৪ হাজার ৬৮২ দিনের কারাগার জীবন
- আপডেট : ০৫:২৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ ২০২২
- / 397
১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম। স্কুলে পড়া অবস্থাতেই জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। গ্রেপ্তার হয়ে সাতদিন জেলও খাটেন।
কলকাতায় মুসলিম লীগের উদারপন্থী অংশের নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে পরিচয় আর তখনকার বাস্তবতা তাকে মুসলিম লীগের রাজনীতিতে যুক্ত করে। গোপালগঞ্জে ফিরে মুসলিম লীগ গঠন করেন।
১৯৪১ সালে মেট্রিক পাশ করে কলকাতায় ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন। রাজনীতি হয়ে উঠে তার জীবনের ধ্যানজ্ঞান। মুসলিম লীগের হয়ে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করলেও ভাবনায় ছিল লাহোর প্রস্তাব অনুযায়ী ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশের ভূখণ্ডের সাথে আরও কিছু এলাকা নিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হলে ঢাকায় ফিরে মুসলিম লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে থাকলেও অল্পদিনেই টের পেয়ে যান এর অসাড়ত্ব। সাড়ে চার মাসের মধ্যেই ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করলেন। আর ২২ মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করলেন আওয়ামী মুসলিম লীগ।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ সালের কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। ফলে অমুসলিমরাও এই দলে যোগ দেয়ার সুযোগ পান।
১৯৬৯-এর অসহযোগ আন্দোলন তাকে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুতে। আর ৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় তার হাতে তুলে দেয় স্বাধীন রাষ্ট্র ছিনিয়ে আনার দায়িত্ব।
একাত্তরের ২৫শে মার্চের কালরাতে পাকিস্তানী বাহিনী গ্রেপ্তার করার আগেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান বঙ্গবন্ধু। তাকে রাষ্ট্রপতি করেই গঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার, চলে স্বাধীনতা যুদ্ধ।
বঙ্গবন্ধুর ৫৫ বছর চার মাস ২৯ দিনের ছোট্ট জীবনের প্রায় ১৩ বছরই কাটাতে হয়েছে জেলে। বৃটিশ আমল থেকে পাকিস্তান আমল, বার বার মানুষের অধিকার, ভাষার অধিকার, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় শাসকগোষ্ঠীর নির্মম নির্যাতন সহ্য করতে হয় তাকে।
দৃঢ়চেতা বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের ২৮৮ দিনের জেল জীবনের ভয়ঙ্কর সময় পার করে, ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি স্বাধীন দেশে ফিরেছিলেন। স্বাধীন দেশ পরিচালনা করেছিলেন মাত্র এক হাজার একশ তেতাল্লিশ দিন।
পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে স্বপরিবারে প্রাণ দিতে হয় তাকে।