বিবিয়ানায় বন্ধ থাকা ৩ কূপে ফের শুরু গ্যাস উত্তোলন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৩:৪৬:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল ২০২২
  • / 250
এশিয়ার সর্ববৃহৎ বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে বন্ধ থাকা ছয়টি কূপের মধ্যে তিনটি কূপ থেকে আবার গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। ময়লা জমার কারণে বাকি তিনটি এখনও বন্ধ রয়েছে।

বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র এশিয়ার তথা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ গ্যাসক্ষেত্র। দেশে উৎপাদিত গ্যাসের শতকরা ৪০ ভাগেরও বেশি আসে বিবিয়ান থেকে। দৈনিক এখান থেকে গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ২৭৫ মিলিয়ন ঘনফুট।

বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি শেভরন কমিউনিকেশন ম্যানেজার শেখ জাহিদুর রহমান মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে সর্বমোট ২৬টি কূপ রয়েছে গ্যাস উত্তোলনের জন্য। এগুলোর মধ্যেই ছয়টি কূপের পাইপলাইনে ময়লা জমে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেগুলোর ময়লা পরিষ্কার করে মেরামতের কাজও চলছে। আজ ভোর থেকে বন্ধ থাকা তিনটি কূপে গ্যাস উত্তোলন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়েছে। এখনও বন্ধ থাকা তিনটি কূপে গ্যাস উত্তোলন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এক ফেসবুক পোস্টে জানান, বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে সমস্যা দেখা দেয়ায় গত দুদিন দেশের কিছু কিছু এলাকায় গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছিল। আমাদের প্রকৌশলীবৃন্দের নিরলস পরিশ্রমের ফলে আমরা এ সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছি।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড থেকে দৈনিক ১২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হতো। সমস্যা দেখা দেয়ায় যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছিল। মেরামতের পর বর্তমানে ১০১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ যা ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হবে বলে আশা করছি।

এর আগে পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের ছয়টি কূপ থেকে রোববার (৩ এপ্রিল) রাতে গ্যাস উত্তোলনের সময় বালু উঠতে শুরু করে। যার ফলে তাৎক্ষনিকভাবে উৎপাদন বন্ধ করে দিতে হয়। এর জন্য প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সংকট দেখা দেয়।

এদিকে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, গ্যাস সঞ্চালন বৃদ্ধি করতেপ্রতি বছরই কূপের সঞ্চালন লাইন মেরামত করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় গত রোববার সকাল থেকে ছয়টি কূপে মেরামতের কাজ শুরু করা হয়। যার ফলে প্রায় কয়েক কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিবিয়ানায় বন্ধ থাকা ৩ কূপে ফের শুরু গ্যাস উত্তোলন

আপডেট : ০৩:৪৬:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল ২০২২
এশিয়ার সর্ববৃহৎ বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে বন্ধ থাকা ছয়টি কূপের মধ্যে তিনটি কূপ থেকে আবার গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। ময়লা জমার কারণে বাকি তিনটি এখনও বন্ধ রয়েছে।

বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র এশিয়ার তথা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ গ্যাসক্ষেত্র। দেশে উৎপাদিত গ্যাসের শতকরা ৪০ ভাগেরও বেশি আসে বিবিয়ান থেকে। দৈনিক এখান থেকে গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ২৭৫ মিলিয়ন ঘনফুট।

বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি শেভরন কমিউনিকেশন ম্যানেজার শেখ জাহিদুর রহমান মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে সর্বমোট ২৬টি কূপ রয়েছে গ্যাস উত্তোলনের জন্য। এগুলোর মধ্যেই ছয়টি কূপের পাইপলাইনে ময়লা জমে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেগুলোর ময়লা পরিষ্কার করে মেরামতের কাজও চলছে। আজ ভোর থেকে বন্ধ থাকা তিনটি কূপে গ্যাস উত্তোলন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়েছে। এখনও বন্ধ থাকা তিনটি কূপে গ্যাস উত্তোলন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এক ফেসবুক পোস্টে জানান, বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে সমস্যা দেখা দেয়ায় গত দুদিন দেশের কিছু কিছু এলাকায় গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছিল। আমাদের প্রকৌশলীবৃন্দের নিরলস পরিশ্রমের ফলে আমরা এ সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছি।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড থেকে দৈনিক ১২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হতো। সমস্যা দেখা দেয়ায় যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছিল। মেরামতের পর বর্তমানে ১০১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ যা ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হবে বলে আশা করছি।

এর আগে পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের ছয়টি কূপ থেকে রোববার (৩ এপ্রিল) রাতে গ্যাস উত্তোলনের সময় বালু উঠতে শুরু করে। যার ফলে তাৎক্ষনিকভাবে উৎপাদন বন্ধ করে দিতে হয়। এর জন্য প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সংকট দেখা দেয়।

এদিকে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, গ্যাস সঞ্চালন বৃদ্ধি করতেপ্রতি বছরই কূপের সঞ্চালন লাইন মেরামত করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় গত রোববার সকাল থেকে ছয়টি কূপে মেরামতের কাজ শুরু করা হয়। যার ফলে প্রায় কয়েক কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়।