রেলে অব্যবস্থাপনা, কমলাপুর স্টেশনে ঢাবি ছাত্রের অবস্থান

ঢাবি প্রতিনিধি
  • আপডেট : ০৮:২৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২
  • / 233
বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট নিয়ে অব্যবস্থাপনা ও ভোগান্তি সৃষ্টির অভিযোগ তুলে ৬ দফা দাবিতে গণস্বাক্ষর ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।

তার ৬ দফা দাবিগুলো হলো

১. সহজ.কম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে অথবা সহজকে বয়কট করতে হবে।

২. টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

৩. টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

৪. ট্রেনে জনসাধারণের জানমালের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৫. ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে; এবং

৬. ট্রেনের আসন সংখ্যা বাড়ানো অথবা ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এর সঙ্গে সঠিক সেবার মান ও তথ্যের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে শক্তিশালী মনিটরিং টিম গঠন করতে হবে।

এ বিষয়ে মহিউদ্দিন রনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের ই টিকেটিং সিস্টেম— সহজ.কম দ্বারা টিকিট করতে গিয়ে দেশের লাখ লাখ মানুষ এই ঈদে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে আমিও একজন। গত ১৩ জুন আমি রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে ঢাকা-রাজশাহীর সিট বুক করার চেষ্টা করি। কিন্ত বিকাশ থেকে ভেরিফিকেশন কোড দিয়ে আমার পিন কোড ছাড়াই আমার টাকা কেটে নেয়া হয়। কিন্ত তারা আমাকে কোনো সিট দেয়নি। কেন টাকা নিলো তার কোনো ডকুমেন্টসও দেয়নি।

রনি জানান, ওইদিন কমলাপুর রেলস্টেশনে রেলওয়ের সার্ভার রুমে অভিযোগ জানালে তারা সিস্টেম ফল করার কথা বলে ১৫ দিনের মধ্যে টাকা না পেলে আবার আসতে বলেন।

তার অভিযোগ, ওই সময় পাশে বসা কম্পিউটার অপারেটর ৬৮০ টাকার সিট ১২০০ টাকায় বিক্রি করে। এরপর তিনি গত ১৪ ও ১৫ জুন দুইবার ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে অভিযোগ করলেও এখনো পর্যন্ত শুনানির ডাক আসেনি বলে জানান তিনি।

অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে রনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এখনো পর্যন্ত আমি একা অবস্থান করছি। এখানে খুব গরম। আমার রেলমন্ত্রী কাছে কোনো এক্সপেক্টেশন নেই। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী চাইলেই এই রেলওয়ে সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব। আমি দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সবাইকে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রেলে অব্যবস্থাপনা, কমলাপুর স্টেশনে ঢাবি ছাত্রের অবস্থান

আপডেট : ০৮:২৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২
বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট নিয়ে অব্যবস্থাপনা ও ভোগান্তি সৃষ্টির অভিযোগ তুলে ৬ দফা দাবিতে গণস্বাক্ষর ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।

তার ৬ দফা দাবিগুলো হলো

১. সহজ.কম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে অথবা সহজকে বয়কট করতে হবে।

২. টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

৩. টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

৪. ট্রেনে জনসাধারণের জানমালের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৫. ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে; এবং

৬. ট্রেনের আসন সংখ্যা বাড়ানো অথবা ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এর সঙ্গে সঠিক সেবার মান ও তথ্যের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে শক্তিশালী মনিটরিং টিম গঠন করতে হবে।

এ বিষয়ে মহিউদ্দিন রনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের ই টিকেটিং সিস্টেম— সহজ.কম দ্বারা টিকিট করতে গিয়ে দেশের লাখ লাখ মানুষ এই ঈদে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে আমিও একজন। গত ১৩ জুন আমি রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে ঢাকা-রাজশাহীর সিট বুক করার চেষ্টা করি। কিন্ত বিকাশ থেকে ভেরিফিকেশন কোড দিয়ে আমার পিন কোড ছাড়াই আমার টাকা কেটে নেয়া হয়। কিন্ত তারা আমাকে কোনো সিট দেয়নি। কেন টাকা নিলো তার কোনো ডকুমেন্টসও দেয়নি।

রনি জানান, ওইদিন কমলাপুর রেলস্টেশনে রেলওয়ের সার্ভার রুমে অভিযোগ জানালে তারা সিস্টেম ফল করার কথা বলে ১৫ দিনের মধ্যে টাকা না পেলে আবার আসতে বলেন।

তার অভিযোগ, ওই সময় পাশে বসা কম্পিউটার অপারেটর ৬৮০ টাকার সিট ১২০০ টাকায় বিক্রি করে। এরপর তিনি গত ১৪ ও ১৫ জুন দুইবার ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে অভিযোগ করলেও এখনো পর্যন্ত শুনানির ডাক আসেনি বলে জানান তিনি।

অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে রনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এখনো পর্যন্ত আমি একা অবস্থান করছি। এখানে খুব গরম। আমার রেলমন্ত্রী কাছে কোনো এক্সপেক্টেশন নেই। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী চাইলেই এই রেলওয়ে সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব। আমি দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সবাইকে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানাই।