নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়েই অনুষ্ঠিত হবে: সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৭:৫১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২
  • / 134
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে সব দলকে অংশ নেয়ার আহ্বান করে যাব, কিন্তু নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়েই অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন হেলাফেলার বিষয় নয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি শাসকদল নির্বাচিত হবে ও তারা সরকার গঠন করবে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এসব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার- এরকম প্রস্তাবনা অন্যান্য দল থেকেও এসেছে। এগুলো আসলে রাজনৈতিক বিষয়। আপনাদের দাবিগুলো সরকারকে জানানো হবে। আপনাদের দাবির যৌক্তিকতা কতটুকু তা সরকারকে বুঝতে দিতে হবে।

সিইসি বলেন, আমরা প্রথমবারের মতো কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করেছি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ ব্যবস্থা আরও বিস্তৃত হবে। আমরা মনে করি, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের যে প্রস্তাব যে আপনারা দিয়েছেন তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। তবে, আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব।

দলটির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সংলাপে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বলছে, নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে সহিংসতা, অর্থশক্তি, পেশি শক্তি প্রয়োগ করা হয়। এ বিষয়টি নিয়ে আপনাদের সবার বক্তব্যে ঐকমত্য আছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখব। আসলে পেশিশক্তি, অর্থশক্তি গোপনে প্রয়োগ করা হয়। যদি প্রকাশ্যে এ ধরণের আচরণ আমাদের কিংবা আপনাদের চোখে পড়ে তাহলে তা নিয়ন্ত্রণে আপনারা আমাদের সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, শেষ সময়ে পোলিং স্টেশনগুলোতে নির্বাচন কমিশন একা কাজ করবে না। সে সময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এমনকী সেনাবাহিনীর অংশ নেওয়ার দরকার হতে পারে।

সিইসি বলেন, ইভিএম নিয়ে আপনাদের মধ্যে সংশয় ও আস্থাহীনতা রয়েছে তা আমরা জানি। আমাদের পক্ষ থেকেও ইভিএম নিয়ে চার মাস ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, আলাপ-আলোচনা করা হচ্ছে। এর সুবিধা-অসুবিধাগুলো আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছি। আমরা অন্ধভাবে ইভিএম নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।

তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছি, কোনো রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে আমরা তাদের বাধ্য করতে পারব না। তবে, আমরা বারবার তাদের অনুরোধ করে যাব। নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে আমরা আপনাদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।

সংলাপে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ মুকিতের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। অন্যদিকে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়েই অনুষ্ঠিত হবে: সিইসি

আপডেট : ০৭:৫১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে সব দলকে অংশ নেয়ার আহ্বান করে যাব, কিন্তু নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়েই অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন হেলাফেলার বিষয় নয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি শাসকদল নির্বাচিত হবে ও তারা সরকার গঠন করবে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এসব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার- এরকম প্রস্তাবনা অন্যান্য দল থেকেও এসেছে। এগুলো আসলে রাজনৈতিক বিষয়। আপনাদের দাবিগুলো সরকারকে জানানো হবে। আপনাদের দাবির যৌক্তিকতা কতটুকু তা সরকারকে বুঝতে দিতে হবে।

সিইসি বলেন, আমরা প্রথমবারের মতো কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করেছি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ ব্যবস্থা আরও বিস্তৃত হবে। আমরা মনে করি, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের যে প্রস্তাব যে আপনারা দিয়েছেন তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। তবে, আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব।

দলটির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সংলাপে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বলছে, নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে সহিংসতা, অর্থশক্তি, পেশি শক্তি প্রয়োগ করা হয়। এ বিষয়টি নিয়ে আপনাদের সবার বক্তব্যে ঐকমত্য আছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখব। আসলে পেশিশক্তি, অর্থশক্তি গোপনে প্রয়োগ করা হয়। যদি প্রকাশ্যে এ ধরণের আচরণ আমাদের কিংবা আপনাদের চোখে পড়ে তাহলে তা নিয়ন্ত্রণে আপনারা আমাদের সাহায্য করবেন।

তিনি বলেন, শেষ সময়ে পোলিং স্টেশনগুলোতে নির্বাচন কমিশন একা কাজ করবে না। সে সময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এমনকী সেনাবাহিনীর অংশ নেওয়ার দরকার হতে পারে।

সিইসি বলেন, ইভিএম নিয়ে আপনাদের মধ্যে সংশয় ও আস্থাহীনতা রয়েছে তা আমরা জানি। আমাদের পক্ষ থেকেও ইভিএম নিয়ে চার মাস ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, আলাপ-আলোচনা করা হচ্ছে। এর সুবিধা-অসুবিধাগুলো আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছি। আমরা অন্ধভাবে ইভিএম নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।

তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছি, কোনো রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে আমরা তাদের বাধ্য করতে পারব না। তবে, আমরা বারবার তাদের অনুরোধ করে যাব। নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে আমরা আপনাদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।

সংলাপে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ মুকিতের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। অন্যদিকে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।