৩ বছরে প্রায় শত কোটি টাকার অনিয়ম
বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার পরিচালনা ও মেরামত খাতের অনিয়ম তদন্তের দাবি
- আপডেট : ০১:৪০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২
- / 319
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর নদী খনন ও নিয়মিত পলি অপসারণে ব্যবহৃত ড্রেজারগুলো সংরক্ষণ, পরিচালনা ও মেরামত খাতে গত ৩ বছরে প্রায় শত কোটি টাকা ভুয়া বিল ভাউচারে আত্মসা/ করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন পেশার নাগরিকরা। রাষ্ট্রীয় অর্থের অপব্যবহার ও অপচয় বন্ধে এ খাতের গত তিন বছরের অনিয়ম,দুর্নীতির তথ্য উদ্ঘাটনে একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
বুধবার (২নভেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের ২৩ জন প্রতিনিধি এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নৌযান চলাচলের উপযোগী নাব্যতা উন্নয়ন ও সংরক্ষণে নদী খনন ও নিয়মিত নৌপথের পলি অপসারণ করে থাকে। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এ কাজের জন্য সংস্থার বহরে ৪৫টি ড্রেজারসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক জলযান রয়েছে। এগুলো সংরক্ষণ, পরিচালনা ও মেরামতের জন্য বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের অধীনে রয়েছে আলাদা কয়েকটি ‘ড্রেজারবেইজ’।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ড্রেজার ও সহায়ক জলযানগুলো সংরক্ষণ, পরিচালনা ও মেরামত খাতে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে জলযানগুলোর মিটার টেম্পারিং করে জ্বালানি তেল আত্মসাৎ ও মেরামতের নামে সরকারি টাকা হরিলুট অন্যতম। বিবৃতিদাতারা এ খাতের গত তিন বছরের অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান। এছাড়া স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে প্রতি মাসে খাতভিত্তিক খরচের তথ্য গণমাধ্যমে সরবরাহ ও সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশের দাবিও জানানো হয়।
বিবৃতিদাতারা হলেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, বিশিষ্ট শিশু সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) কার্যকরী সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, নৌপ্রকৌশলী মো. আবদুল হামিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, প্রভারটি ইমুলিনেশন অ্যাসিস্ট্যান্স সেন্টার ফর এভরিহোয়্যারের (পিস) নির্বাহী পরিচালক ইফমা হুসেইন, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের সদস্যসচিব আমিনুর রসুল বাবুল, আলোকিত গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাপ্পিদেব বর্মণ, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম, মিডিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডেভেলপমেন্টের (মেড) নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াৎ, লেখক ও শিশুসংগঠক রাজন ভট্টাচার্য, জনলোকের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম সুজন, সচেতন সংস্থার আহ্বায়ক সাকিলা পারভীন, কমিটি টু প্রোটেক্ট রিভার অ্যান্ড কোস্টের (সিপিআরসি) সভাপতি কামরুজ্জামান নাছিম, ঢাকা উত্তর সিটি নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তফা কামাল আকন্দ, পুরোনো ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন ও মুক্তি শিখার আহ্বায়ক জিহাদ আরিফ।
এ ক্ষেত্রে প্রায় সকল বিবৃতিদাতাই বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেককে দায়ী করেছেন।