নিরাপদ জ্বালানি নিশ্চিতে ভূমিকা রাখতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৭:৩৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৭ নভেম্বর ২০২২
  • / 258
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সবার জন্য নিরাপদ জ্বালানি নিশ্চিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার ৮ নভেম্বর গণপ্রকৌশল দিবস ২০২২ উপলক্ষে সোমবার এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।

ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘গণপ্রকৌশল দিবস ২০২২’ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি আইডিইবি’র সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এবছর আইডিইবি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গণপ্রকৌশল দিবসের প্রতিপাদ্য ‘টেকসই উন্নয়নে নবায়নযোগ্য জ্বালানি’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সারাবিশ্বে বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে পরিবহণ, শিল্প কারখানাসহ অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জীবাশ্ম জ্বালানি এখন শুধুমাত্র একটি ভোগ্যপণ্য নয় বরং কৌশলগত পণ্য হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। তবে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি চাহিদা বৃদ্ধির বিপরীতে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রাপ্যতা হ্রাস এবং পরিবেশের ওপর এর বিরূপ প্রভাব গভীর চিন্তার বিষয়। জাতীয় সমৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি, জ্বালানি সাশ্রয়ে কার্যক্রম গ্রহণ এবং নতুন সম্ভাবনাময় টেকসই জ্বালানির অনুসন্ধান করা খুবই জরুরি।

দেশে শতভাগ বিদ্যুৎতায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে শহরের মানুষের ন্যায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীও এখন বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে। তবে কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী জীবাশ্ম জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ফলে জাতীয় অর্থনীতি চাপের মুখে পড়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য সবাইকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব, সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী জ্বালানির উৎসের সন্ধানে মনোযোগ দিতে হবে। দেশের চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে ও উন্নয়নকে টেকসই রূপ দিতে মানবসম্পদ উন্নয়নের পাশাপাশি জ্বালানি নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রকৌশল খাতের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইডিইবি জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ সবার জন্য নিরাপদ জ্বালানি নিশ্চিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

তিনি আইডিইবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গণপ্রকৌশল দিবসের সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। সূত্র: বাসস

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নিরাপদ জ্বালানি নিশ্চিতে ভূমিকা রাখতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

আপডেট : ০৭:৩৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৭ নভেম্বর ২০২২
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সবার জন্য নিরাপদ জ্বালানি নিশ্চিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার ৮ নভেম্বর গণপ্রকৌশল দিবস ২০২২ উপলক্ষে সোমবার এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।

ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘গণপ্রকৌশল দিবস ২০২২’ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি আইডিইবি’র সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এবছর আইডিইবি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গণপ্রকৌশল দিবসের প্রতিপাদ্য ‘টেকসই উন্নয়নে নবায়নযোগ্য জ্বালানি’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সারাবিশ্বে বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে পরিবহণ, শিল্প কারখানাসহ অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জীবাশ্ম জ্বালানি এখন শুধুমাত্র একটি ভোগ্যপণ্য নয় বরং কৌশলগত পণ্য হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। তবে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি চাহিদা বৃদ্ধির বিপরীতে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রাপ্যতা হ্রাস এবং পরিবেশের ওপর এর বিরূপ প্রভাব গভীর চিন্তার বিষয়। জাতীয় সমৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি, জ্বালানি সাশ্রয়ে কার্যক্রম গ্রহণ এবং নতুন সম্ভাবনাময় টেকসই জ্বালানির অনুসন্ধান করা খুবই জরুরি।

দেশে শতভাগ বিদ্যুৎতায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে শহরের মানুষের ন্যায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীও এখন বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে। তবে কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী জীবাশ্ম জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ফলে জাতীয় অর্থনীতি চাপের মুখে পড়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য সবাইকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব, সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী জ্বালানির উৎসের সন্ধানে মনোযোগ দিতে হবে। দেশের চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে ও উন্নয়নকে টেকসই রূপ দিতে মানবসম্পদ উন্নয়নের পাশাপাশি জ্বালানি নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রকৌশল খাতের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইডিইবি জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ সবার জন্য নিরাপদ জ্বালানি নিশ্চিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

তিনি আইডিইবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গণপ্রকৌশল দিবসের সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। সূত্র: বাসস