আওয়ামী লীগই ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৪:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • / 136
আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যাতে কেউ ভোট চুরি করতে না পারে ও আগেই সিল মেরে ব্যালট বক্স ভরে রাখতে না পারে, সেজন্য স্বচ্ছ ব্যালট বক্সের ব্যবস্থা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।’

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করে দিয়েছে, তাদের আর্থিক সক্ষমতা তাদের হাতে দিয়ে দিয়েছে।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আযোজিত সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের শ্লোগান ছিল ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব।’ মানুষের ভোট দেয়ার অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার আওয়ামী লীগই নিশ্চিত করেছে। আমরা নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিয়েছি। তাদের আর্থিক সক্ষমতা তাদের হাতে দিয়ে দিয়েছি। সবাইকে ভোটার আইডি কার্ড করে দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন-২০২২ আমরাই করেছি।

২২তম জাতীয় সম্মেলনে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যদি ভোট চুরির নিয়ত থাকতো, তাহলে তো খালেদা জিয়ার মতো আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন করতে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করিনি। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু কারো ভোট চুরি করলে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেয় না, এদেশের মানুষ মেনে নেয়নি।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের কিছু দিন লোডশেডিং দিতে হয়েছিল। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা দুর্নীতি করতে ক্ষমতায় আসিনি। আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা বেঁচে থাকতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দেব না। বাংলাদেশের এতটুকু স্বার্থ আমার জীবন থাকতে কারও হাতে তুলে দেব না, এটাই ছিল আমার প্রতিজ্ঞা।

সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ। তিনি দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য, তিনি সেটা পারেননি। আমরা সেটা করছি।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। দুর্নীতি করে টাকা বানাতে ক্ষমতায় আসেনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’ এ স্লোগানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন শুরু হয়।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আওয়ামী লীগই ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে

আপডেট : ০৪:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২
আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যাতে কেউ ভোট চুরি করতে না পারে ও আগেই সিল মেরে ব্যালট বক্স ভরে রাখতে না পারে, সেজন্য স্বচ্ছ ব্যালট বক্সের ব্যবস্থা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।’

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করে দিয়েছে, তাদের আর্থিক সক্ষমতা তাদের হাতে দিয়ে দিয়েছে।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আযোজিত সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের শ্লোগান ছিল ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব।’ মানুষের ভোট দেয়ার অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার আওয়ামী লীগই নিশ্চিত করেছে। আমরা নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিয়েছি। তাদের আর্থিক সক্ষমতা তাদের হাতে দিয়ে দিয়েছি। সবাইকে ভোটার আইডি কার্ড করে দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন-২০২২ আমরাই করেছি।

২২তম জাতীয় সম্মেলনে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যদি ভোট চুরির নিয়ত থাকতো, তাহলে তো খালেদা জিয়ার মতো আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন করতে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করিনি। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু কারো ভোট চুরি করলে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেয় না, এদেশের মানুষ মেনে নেয়নি।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের কিছু দিন লোডশেডিং দিতে হয়েছিল। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা দুর্নীতি করতে ক্ষমতায় আসিনি। আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা বেঁচে থাকতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দেব না। বাংলাদেশের এতটুকু স্বার্থ আমার জীবন থাকতে কারও হাতে তুলে দেব না, এটাই ছিল আমার প্রতিজ্ঞা।

সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ। তিনি দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য, তিনি সেটা পারেননি। আমরা সেটা করছি।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। দুর্নীতি করে টাকা বানাতে ক্ষমতায় আসেনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’ এ স্লোগানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন শুরু হয়।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।