রংপুর সিটি নির্বাচনে ৬০ শতাংশ ভোটের আশা: সিইসি
- আপডেট : ০৬:৪৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
- / 136
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ইভিএমের গতি ‘অবশ্যই’ ব্যালটের চেয়ে ধীর হবে। কারণ পুরনো পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ মেলানোর কোনো বিষয় ছিল না।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনেক কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে ধীর গতির অভিযোগ পাওয়া যায়। তবুও দিন শেষে ৬০ শতাংশ ভোট পড়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
মঙ্গলবার বিকেলে ভোট শেষে ঢাকায় নির্বাচন ভবনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন এ কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, যেটা কাস্ট হয়েছে- ৪টা পর্যন্ত কোথাও ৬৭ শতাংশও পাচ্ছি, আবার কোথাও ৩৯ শতাংশও পাচ্ছি। এভারেজ অনুমান করছি এটা ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ এবং পরিশেষ ৬০ শতাংশের ওপরে বা কমও হতে পারে। এটা অনুমান করে বলছি। চূড়ান্ত গণণার পর দেখা যাবে কত হল।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ২২৯টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলে বলে জানা যায়। এসময় কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা বা গোলযোগ ঘটেনি।
শীতের সকালে কুয়াশার মধ্যে ভোটার উপস্থিতি তুলনামুলক কম থাকলেও বেলা বাড়ার পর কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটার বাড়তে থাকে। তারপারও প্রথম পাঁচ ঘণ্টায় ২৫ শতাংশের মত ভোট পড়ে থাকতে পারে বলে ধারণা দিয়েছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন।
তবে মেয়র পদে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা ইভিএমের ‘ত্রুটি’ এবং ভোটগ্রহণে ধীর গতির অভিযোগ করেছেন। ইভিএম জটিলতায় তার নিজেরও ভোট দিতে আধা ঘণ্টা দেরি হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে রংপুরে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বসানো সিসি ক্যামেরায় মাধ্যমে ভোটের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন সিইসি।
সিসি ক্যামেরায় কেন্দ্র পরিস্থিতি দেখে তিনি বলেন, প্রচুর ভিড় আছে। যেহেতু ভোটটা স্লো হয়, বাইরে প্রচুর ভিড় আছে এবং আগ্রহী ভোটারের সংখ্যা প্রচুর। আমরা বলে দিয়েছি- সাড়ে ৪টার মধ্যে যারা সীমানা মধ্যে থাকবে, রাত যতটাই হোক, তাদের সবার ভোট নিতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি এই ভোট পড়ার হার অনেকটা বাড়বে।
বিকেল সাড়ে ৪টায় ভোট শেষে সিইসি বলেন, রংপুর সিটি নির্বাচন ‘অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ’ হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি ‘ব্যাপক’ ছিল. ‘স্বতস্ফূর্ত’ ছিল।