স্বপ্নের মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট : ০৬:৩৯:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
- / 138
সুধী সমাবেশে ৫০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক নোট অবমুক্ত করেন তিনি। এ ছাড়া মেট্রোরেলের দিয়াবাড়ী স্টেশন প্রাঙ্গনে একটি তেঁতুল গাছের চারা রোপণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সবুজ পতাকা নেড়ে, লাল ফিতা কেটে প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন সকালে মেট্রোরেল উদ্বোধন করতে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে উত্তরা পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তার সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে আজ উদ্বোধন হলেও ‘স্বপ্নের বাহনে’ চড়তে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত। মেট্রোরেলে নারী, বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্যে থাকবে বিশেষ সুবিধা। এছাড়া তিন ফুটের কম উচ্চতার শিশুদের ভাড়া লাগবে না। প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে এটি।
পুরোদমে চালু হলে মেট্রোরেল ঘণ্টায় ৬০ হাজার ও দৈনিক পাঁচ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত ২২ দশমিক ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মেট্রোরেল দেশের যোগাযোগ ইতিহাসে নতুন সংযোজন।
আপাতত উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত এলাকা জনগণের যাতায়াতের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে। ২০২৪ সালের মধ্যে পুরো পথ বাণিজ্যিক যাত্রার জন্য প্রস্তুত হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশা দিচ্ছে।
এর আগে ২০১২ সালের জুলাই মাসে মেট্রোরেল প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এটি বাস্তবায়নের প্রাথমিক মেয়াদ ছিল ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। যদিও পরে মেয়াদ বাড়ানো হয়। মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
২০১৭ সালের ৩ আগস্ট মেট্রোরেল প্রকল্পের পাইলিং কাজের উদ্বোধন করেন সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনের সামনের সড়কে এর উদ্বোধন করা হয়। শুরুতে ওবায়দুল কাদের মেট্রোরেলের মূল কাজের ফলক উন্মোচন করেন। এরপর নিজেই চেপে বসেন পাইলিং মেশিনে।