রমজানে একসঙ্গে পুরো মাসের পণ্য না কেনার অনুরোধ
- আপডেট : ০৬:২৭:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩
- / 161
বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের পঞ্চম সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আহ্বান জানান।
এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে সাতটা ইস্যু নিয়ে কথা হয়েছে। চিনির মজুত পরিস্থিতি ভালো। তবু দাম একটু বেশি। রমজানে দাম নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, অনেক সময় ছোটো সংকটকে আমরা বড় করে দেখি। আমাদের ভোক্তা অধিকার সক্রিয় রয়েছে।
তিনি বলেন, রোজা শুরু হওয়ার প্রথম সাতদিন পণ্য কেনায় যে উপচেপড়া ভিড় থাকে, তা দরকার নেই। সবাই ভাবে একমাসের পণ্য কিনবেন, তারও দরকার নেই।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, মশুর ডাল, ছোলা, খেজুর ও চিনি রমজান মাসে দরকারি পণ্য। এ ৬ পণ্য মজুত রাখার ব্যবস্থা করা হবে।
আগামী রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না বলেও আশ্বাস দেন টিপু মুনশি।
চিনির দাম অন্যান্য পণ্যের তুলনায় একটু বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চিনির ওপর ডিউটি কমানোর জন্য একটি চিঠি পাঠানো হবে।
পেঁয়াজ, ছোলা ও খেজুরের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো রয়েছে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারেও এসব পণ্যের দাম তেমন একটা বাড়েনি।
সয়াবিন তেল ও পাম তেল নিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম তেমন একটা বাড়েনি। তাই এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামীতে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম বাড়বে না। তবে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হলে হয়ত দামের ওপর প্রভাব পড়বে। আমরা লক্ষ্য করেছি, পণ্য দুইটির দাম ভালো পরিস্থিতিতে রয়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে টিপু মুনশি বলেন, এলসি খোলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, আমরা এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলবো। আশা করি এ সমস্যা শিগগিরই সমাধান হবে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা কী পরিমাণ পণ্য কী দামে কিনেছে সেটির গড় মূল্য ধরেই রমজানে পণ্য মূল্য নির্ধারণ করা হবে। তাছাড়া পণ্যের যে দাম নির্ধারণ করা হবে, সেটি বাজারে কার্যকর করার জন্য মনিটরিং করা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পণ্য আমদানি ও সরবরাহের সঙ্গে সমন্বয় করে যে দাম নির্ধারণ হবে, তা খুচরা বাজারে যেন মেনে চলা হয়, এ জন্য তদারকি করা হবে।