বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে ফাস্ট ট্র্যাক টোল পদ্ধতি চালু
- আপডেট : ০৬:৪১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩
- / 112
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে এই মহাসড়কের ধলেশ্বরী সেতু এবং ভাঙ্গা টোল প্লাজার একটি করে লেনে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল দিচ্ছে যানবাহন। ‘উপায়’র মাধ্যমে এই টোল কেটে রাখা হচ্ছে।
বিআরটিএ থেকে নিবন্ধিত সব যানবাহনের তথ্য ফাস্ট ট্র্যাকের সিস্টেমে রাখা আছে। ফাস্ট ট্র্যাকের জন্য নির্ধারিত লেনে সেন্সর বসানো আছে। একটা গাড়ি যখন যাবে তখন সেন্সর গাড়ির ডিজিটাল নম্বর প্লেট অনুযায়ী সেটি কী ধরনের যানবাহন, তা শনাক্ত করবে। সে অনুযায়ী নির্ধারিত টোলের টাকা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কেটে নেবে বলে জানিয়েছে সওজ।
এছাড়া আরএফআইডি (রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন) কার্ড গাড়ির উইনশিল্ডে লাগানো থাকলে তাও শনাক্ত করে টোল কেটে নেয়া হয়। এজন্য ‘উপায়’-এ পর্যাপ্ত টাকা থাকতে হবে। সেখানে পর্যাপ্ত টাকা না থাকলে টোল প্লাজার ব্যারিয়ার উঠবে না।
আগে থেকেই মেঘনা এবং মেঘনা-গোমতী সেতুতে এ পদ্ধতিতে টোল আদায়ে আলাদা লেন রয়েছে। এখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কেও (ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) তা চালু হলো।
উল্লেখ্য, ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) বা স্বয়ংক্রিয় টোল সংগ্রহ ব্যবস্থা এমন একটি ডিজিটাল প্রযুক্তি, যা বাধাহীনভাবে যানবাহনকে টোল প্রদানের মাধ্যমে টোল প্লাজা অতিক্রম নিশ্চিত করে। এই প্রযুক্তির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধা হলো- এটি টোল প্লাজার নিকটস্থ যানজট হ্রাস করে।
অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে- জ্বালানি সাশ্রয়, টোল সংগ্রহের ক্ষেত্রে সময় সাশ্রয়, মহাসড়কের সক্ষমতা বৃদ্ধি, টোল সারিতে অপেক্ষা করার সময় সংক্ষিপ্ত করা, যানবাহনের ধোঁয়া নির্গমন কমিয়ে পরিবেশের অবক্ষয় হ্রাস করা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব সঠিক পরিমাণে তহবিলে জমা করা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে দেশের প্রথম আধুনিক মহাসড়ক। এই মহাসড়ক পদ্মাসেতু হয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২টি জেলার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ স্থাপন করেছে।
সার্ভিস লেনসহ ছয় লেনের এই সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। এই সড়কে ৪৪টি কালভার্ট, ১৯টি আন্ডারপাস, চারটি বড় সেতু, ২৫টি ছোট সেতু, পাঁচটি ফ্লাইওভার, দুটি ইন্টারচেঞ্জ, চারটি রেলওয়ে ওভারপাস রয়েছে।
গত বছরের ১১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মহাসড়ক উদ্বোধন করেন।