আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত পুলিশ
- আপডেট : ০৬:২৩:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
- / 123
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। অতীতেও নির্বাচনকালে বাংলাদেশ পুলিশ দায়িত্ব পালন করেছে। আগামীতেও বাংলাদেশ পুলিশ পেশাদারত্বের সাথে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে।
শনিবার সকালে সিলেট জেলা পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) ও সিলেট জেলা পুলিশের আয়োজনে সিলেটে কর্মরত অফিসারদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ প্রধান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করছে। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশের জনবল, প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা রয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত।
আইজিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত নীতির আলোকে বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্য, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, জনগণ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সকলে মিলে আমরা একযোগে কাজ করেছি। এর ফলে আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, কেউ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে তা মোকাবেলা করার প্রস্ততি এবং সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে পুলিশের আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন খাত বিকশিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠন করে দিয়েছেন। পর্যটন এলাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রম রয়েছে। দেশী-বিদেশী পর্যটকদের নিরাপত্তায় আগামীতে ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রম আরও বাড়ানো হবে।
মতবিনিময় সভায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. ইলিয়াস শরীফ, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, এপিবিএন’র ডিআইজি শাহ মো. আবিদ হোসেন, সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, রেঞ্জাধীন জেলার পুলিশ সুপার এবং রেঞ্জ ও মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে আইজিপি ৭ এপিবিএন এবং আরআরএফ এর চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।