মিটারবিহীন আবাসিক গ্যাসের বিল ৪৭ শতাংশ বাড়াতে চায় তিতাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৩:৪৩:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩
  • / 143
প্রি-পেইড মিটারের বাইরে থাকা ২৫ লাখ ২৫ হাজার আবাসিক গ্রাহকের মাসিক বিল বাড়িয়ে পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে ইতোমধ্যেই জমা দিয়েছে গ্যাস বিতরণ সংস্থা তিতাস।

এই নতুন প্রস্তাব অনুমোদন হলে বিল বাড়বে সিঙ্গেল বার্নারে ৩৯ শতাংশ এবং ডাবল বার্নারে ৪৭ শতাংশের কিছু বেশি।

এ প্রস্তাব বিবেচনায় নিলে একজন গ্রাহককে সিঙ্গেল বার্নার চুলার জন্য ১৩৭৯ টাকা এবং ডাবল বার্নার চুলার জন্য ১৫৯২ টাকা দিতে হবে।

প্রস্তাবে কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকরা মাসে যে পরিমাণ বিল দিচ্ছেন তার চেয়ে ৩৯ থেকে ৪৭ শতাংশ বেশি গ্যাস ব্যবহার করছেন। এমন দাবি করে সংস্থাটি এ হারে বাড়তি বিল নিতে চায়।

তিতাসের নতুন আবেদন বলা হচ্ছে, সিঙ্গেল বার্নারের জন্য ৭৬ দশমিক ৬৫ ঘনমিটার এবং ডাবল বার্নারের জন্য ৮৮ দশমিক ৪৪ ঘনমিটার বিবেচনা নিয়ে মাসিক বিল নির্ধারণের বিষয়টি আসছে। তবে গ্যাসের ইউনিট প্রাইস বাড়ানোর কোনো প্রস্তাব করা হয়নি।

তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, গ্যাসের দাম বাড়ানো নয়, শুধু নন মিটার গ্রাহকদের গ্যাসের ব্যবহার পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হয়েছে। তিনি বলেন, গ্যাসের ইউনিট প্রাইস আগের মতোই থাকবে।

তিনি আরও বলেন, যাদের প্রি-পেইড মিটার থাকে, তখন তারা কনসাসলি অনেক কম গ্যাস ব্যবহার করে। মিটার যখন থাকে না তখন আনলিমিটেড গ্যাস ব্যবহার করে। আমরা এটা বলার চেষ্টা করেছি।

এ ব্যাপারে তিতাসের আবেদন পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বিইআরসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন। তিনি বলেন, বিষয়টি এখনও তালিকভুক্ত করা হয়নি। কালকের মধ্যে সেটা তালিকাভুক্ত হবে। তারপর এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে।

বর্তমানে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড একটি সিঙ্গেল বার্নারের জন্য মাসিক ৯৯০ টাকা এবং একটি ডাবল বার্নারের জন্য ১,০৮০ টাকা চার্জ করে।

বর্তমানে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিতাস গ্যাসের মোট ২৮ লাখ ৫৭ হাজার আবাসিক গ্রাহক রয়েছে। তাদের মধ্যে, ২৫ লাখ ২৫ হাজার মিটারবিহীন ও ৩ লাখ ৩২ হাজার গ্রাহক প্রি-পেইড মিটার কভারেজের আওতায় রয়েছে।

এদিকে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেছেন, রেগুলেটরি কমিশন মিটারবিহীন গ্রাহকদের জন্য গড় গ্যাসের পরিমাণ যতটুকু নির্ধারণ করেছে, বাস্তবে অনেক গ্রাহক সে পরিমাণে গ্যাস ব্যবহার করেন না।

এই জ্বালানি বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, বর্তমানে গ্যাসের জন্য গ্রাহকরা যে পরিমাণে বিল পরিশোধ করে তা তাদের প্রকৃত ব্যবহারের চেয়েও বেশি। রেগুলেটরি কমিশনের কারিগরি কমিটি দেখেছে, সিঙ্গেল বার্নার ব্যবহারকারী মাসে গ্যাস ব্যবহার করে ৪৫ ইউনিটের; ডাবল বার্নার ব্যবহারকারীর বেলায় তা ৫০ ইউনিট।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মিটারবিহীন আবাসিক গ্যাসের বিল ৪৭ শতাংশ বাড়াতে চায় তিতাস

আপডেট : ০৩:৪৩:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩
প্রি-পেইড মিটারের বাইরে থাকা ২৫ লাখ ২৫ হাজার আবাসিক গ্রাহকের মাসিক বিল বাড়িয়ে পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে ইতোমধ্যেই জমা দিয়েছে গ্যাস বিতরণ সংস্থা তিতাস।

এই নতুন প্রস্তাব অনুমোদন হলে বিল বাড়বে সিঙ্গেল বার্নারে ৩৯ শতাংশ এবং ডাবল বার্নারে ৪৭ শতাংশের কিছু বেশি।

এ প্রস্তাব বিবেচনায় নিলে একজন গ্রাহককে সিঙ্গেল বার্নার চুলার জন্য ১৩৭৯ টাকা এবং ডাবল বার্নার চুলার জন্য ১৫৯২ টাকা দিতে হবে।

প্রস্তাবে কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকরা মাসে যে পরিমাণ বিল দিচ্ছেন তার চেয়ে ৩৯ থেকে ৪৭ শতাংশ বেশি গ্যাস ব্যবহার করছেন। এমন দাবি করে সংস্থাটি এ হারে বাড়তি বিল নিতে চায়।

তিতাসের নতুন আবেদন বলা হচ্ছে, সিঙ্গেল বার্নারের জন্য ৭৬ দশমিক ৬৫ ঘনমিটার এবং ডাবল বার্নারের জন্য ৮৮ দশমিক ৪৪ ঘনমিটার বিবেচনা নিয়ে মাসিক বিল নির্ধারণের বিষয়টি আসছে। তবে গ্যাসের ইউনিট প্রাইস বাড়ানোর কোনো প্রস্তাব করা হয়নি।

তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, গ্যাসের দাম বাড়ানো নয়, শুধু নন মিটার গ্রাহকদের গ্যাসের ব্যবহার পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হয়েছে। তিনি বলেন, গ্যাসের ইউনিট প্রাইস আগের মতোই থাকবে।

তিনি আরও বলেন, যাদের প্রি-পেইড মিটার থাকে, তখন তারা কনসাসলি অনেক কম গ্যাস ব্যবহার করে। মিটার যখন থাকে না তখন আনলিমিটেড গ্যাস ব্যবহার করে। আমরা এটা বলার চেষ্টা করেছি।

এ ব্যাপারে তিতাসের আবেদন পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বিইআরসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন। তিনি বলেন, বিষয়টি এখনও তালিকভুক্ত করা হয়নি। কালকের মধ্যে সেটা তালিকাভুক্ত হবে। তারপর এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে।

বর্তমানে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড একটি সিঙ্গেল বার্নারের জন্য মাসিক ৯৯০ টাকা এবং একটি ডাবল বার্নারের জন্য ১,০৮০ টাকা চার্জ করে।

বর্তমানে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিতাস গ্যাসের মোট ২৮ লাখ ৫৭ হাজার আবাসিক গ্রাহক রয়েছে। তাদের মধ্যে, ২৫ লাখ ২৫ হাজার মিটারবিহীন ও ৩ লাখ ৩২ হাজার গ্রাহক প্রি-পেইড মিটার কভারেজের আওতায় রয়েছে।

এদিকে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেছেন, রেগুলেটরি কমিশন মিটারবিহীন গ্রাহকদের জন্য গড় গ্যাসের পরিমাণ যতটুকু নির্ধারণ করেছে, বাস্তবে অনেক গ্রাহক সে পরিমাণে গ্যাস ব্যবহার করেন না।

এই জ্বালানি বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, বর্তমানে গ্যাসের জন্য গ্রাহকরা যে পরিমাণে বিল পরিশোধ করে তা তাদের প্রকৃত ব্যবহারের চেয়েও বেশি। রেগুলেটরি কমিশনের কারিগরি কমিটি দেখেছে, সিঙ্গেল বার্নার ব্যবহারকারী মাসে গ্যাস ব্যবহার করে ৪৫ ইউনিটের; ডাবল বার্নার ব্যবহারকারীর বেলায় তা ৫০ ইউনিট।