মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় বেতন বাড়বে সরকারি চাকরিজীবীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৬:১৪:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
  • / 304
সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ছে। সম্প্রতি এ তথ্য জানা গেছে। মহার্ঘ্য ভাতা নয়, মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় বাড়নো হচ্ছে এই বেতন।

একই সঙ্গে অর্থ বছর শেষে মিলবে ইনক্রিমেন্টও। এরইমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আগামী বাজেটে থাকছে এ সংক্রান্ত ঘোষণা। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মহার্ঘ্য ভাতায় এখন যাচ্ছে না সরকার। তবে অন্য কৌশলে বেতন বাড়বে।

মাস শেষে মানুষ যে আয় করছে, তার চেয়ে বেশি হচ্ছে ব্যয়। মূলত উচ্চমূল্যস্ফীতি খেয়ে ফেলছে মানুষের আয়। ডাবল ডিজিট ছুঁইছুঁই করছে মূল্যস্ফীতির হার। এমন অবস্থায় সব পর্যায় থেকে উঠেছে বেতন বাড়ানোর দাবি।

নির্বাচনের আগে, সরকারি চাকরিজীবীরাও এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই। মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় এরই মধ্যে মহার্ঘ্য ভাতার দাবি তুলেছে সরকারি চাকরিজীবীরা। আর্থিক সংকুলানের অভাবে সেই দাবিতে সায় দিচ্ছে না সরকার। তবে, অন্য কৌশলে বাড়ছে বেতন।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, মহার্ঘ্য ভাতা যেভাবে বিবেচনা করা হতো আমাদের অঞ্চলে, সেটা করা হবে না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বা মূল্যস্ফীতির যে প্রভাব তা প্রশমনে সেই অনুপাতে সরাসরি কিছু টাকা দেয়া হবে সরকারি কর্মচারিদের, যারা আমলাতন্ত্রের মধ্যে আছেন।

প্রতিবারের মতো এবারও অর্থবছরের শুরুতে সরকারি চাকরিজীবীরা ৫ শতাংশ হারে পাবেন ইনক্রিমেন্ট। অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্টের প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগতে পারে দুই থেকে তিন মাস।

সরকারি সূত্রগুলো জানাচ্ছে, বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির হার কোনটি ধরা হবে— আগামী ১ জুন বাজেট ঘোষণার পর তা নিয়ে কাজ করবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকেই এ ব্যাপারে নতুন করে ভাবা শুরু করেছে অর্থ বিভাগ। আগে তারা এমন হিসাব কষে রেখেছিল যে ১০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতায় ৪ হাজার কোটি, ১৫ শতাংশে ৬ হাজার কোটি এবং ২০ শতাংশে ৮ হাজার কোটি টাকা বাড়তি প্রয়োজন হবে।

সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বেসরকারি খাতে মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় মজুরির ওপরে এক ধরনের চাপ থাকবে। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত যেগুলো আছে সেখানে মজুরি হয়তো স্বাভাবিকভাবেই বাজারের সাথে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সমন্বয় করা হবে। সরকার কিন্তু অনেকগুলো খাতেরই মজুরির হার নির্ধারণ করে। আমি মনে করি, মজুরি বোর্ডের কার্যক্রম শুরু করা উচিত।

বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীর পদ সংখ্যা ১২ লাখ ৪৬ হাজার। চলতি অর্থবছরে বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ আছে ৭৪ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্যে খসড়া প্রাক্কলনে আছে ৭৭ হাজার কোটি টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় বেতন বাড়বে সরকারি চাকরিজীবীদের

আপডেট : ০৬:১৪:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ছে। সম্প্রতি এ তথ্য জানা গেছে। মহার্ঘ্য ভাতা নয়, মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় বাড়নো হচ্ছে এই বেতন।

একই সঙ্গে অর্থ বছর শেষে মিলবে ইনক্রিমেন্টও। এরইমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আগামী বাজেটে থাকছে এ সংক্রান্ত ঘোষণা। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মহার্ঘ্য ভাতায় এখন যাচ্ছে না সরকার। তবে অন্য কৌশলে বেতন বাড়বে।

মাস শেষে মানুষ যে আয় করছে, তার চেয়ে বেশি হচ্ছে ব্যয়। মূলত উচ্চমূল্যস্ফীতি খেয়ে ফেলছে মানুষের আয়। ডাবল ডিজিট ছুঁইছুঁই করছে মূল্যস্ফীতির হার। এমন অবস্থায় সব পর্যায় থেকে উঠেছে বেতন বাড়ানোর দাবি।

নির্বাচনের আগে, সরকারি চাকরিজীবীরাও এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই। মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় এরই মধ্যে মহার্ঘ্য ভাতার দাবি তুলেছে সরকারি চাকরিজীবীরা। আর্থিক সংকুলানের অভাবে সেই দাবিতে সায় দিচ্ছে না সরকার। তবে, অন্য কৌশলে বাড়ছে বেতন।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, মহার্ঘ্য ভাতা যেভাবে বিবেচনা করা হতো আমাদের অঞ্চলে, সেটা করা হবে না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বা মূল্যস্ফীতির যে প্রভাব তা প্রশমনে সেই অনুপাতে সরাসরি কিছু টাকা দেয়া হবে সরকারি কর্মচারিদের, যারা আমলাতন্ত্রের মধ্যে আছেন।

প্রতিবারের মতো এবারও অর্থবছরের শুরুতে সরকারি চাকরিজীবীরা ৫ শতাংশ হারে পাবেন ইনক্রিমেন্ট। অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্টের প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগতে পারে দুই থেকে তিন মাস।

সরকারি সূত্রগুলো জানাচ্ছে, বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির হার কোনটি ধরা হবে— আগামী ১ জুন বাজেট ঘোষণার পর তা নিয়ে কাজ করবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকেই এ ব্যাপারে নতুন করে ভাবা শুরু করেছে অর্থ বিভাগ। আগে তারা এমন হিসাব কষে রেখেছিল যে ১০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতায় ৪ হাজার কোটি, ১৫ শতাংশে ৬ হাজার কোটি এবং ২০ শতাংশে ৮ হাজার কোটি টাকা বাড়তি প্রয়োজন হবে।

সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বেসরকারি খাতে মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় মজুরির ওপরে এক ধরনের চাপ থাকবে। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত যেগুলো আছে সেখানে মজুরি হয়তো স্বাভাবিকভাবেই বাজারের সাথে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সমন্বয় করা হবে। সরকার কিন্তু অনেকগুলো খাতেরই মজুরির হার নির্ধারণ করে। আমি মনে করি, মজুরি বোর্ডের কার্যক্রম শুরু করা উচিত।

বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীর পদ সংখ্যা ১২ লাখ ৪৬ হাজার। চলতি অর্থবছরে বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ আছে ৭৪ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্যে খসড়া প্রাক্কলনে আছে ৭৭ হাজার কোটি টাকা।