বুড়িগঙ্গায় ওয়াটার বাসডুবি, গ্রেপ্তার ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৭:৩৩:২৬ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
  • / 114
সরদঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে ওয়াটার বাস ডুবে প্রাণহানির ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বাল্কহেডের মাস্টার মো. শরিফুল ইসলাম (৩৫), চালক মো. আনছার আলী (৩৭), সুকানী মো. সজীব সরদার (২৭), লস্কর মো. সিয়াম বেপারী (২০), মো. সফিউল গাজী (২২) ও বাবুর্চি মো. মাসুদ মুন্সি (৪৮)।

এই ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে নৌ পুলিশের ঢাকা বিভাগের এএসপি আবু মো. দিলওয়ার হাসান ইনাম বলেন, ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ওয়াটার বাসটি যে বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়, সেটিও জব্দ করা হয়েছে।

রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এমভি আরাবি নামে বালু্বাহী বাল্ক হেডের ধাক্কায় প্রায় অর্ধশত যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় ওয়াটার বাসটি।

বিআইডব্লিউটিসির ওয়াটার বাসটি সদরঘাটের ওপারে কেরানীগঞ্জের তেলঘাট থেকে শ্যামবাজারের পাশে লালকুঠি ঘাটে আসছিল।

দুর্ঘটনার পর অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও কয়েকজন নিখোঁজ হন।

নৌ পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা রাত সাড়ে ১০টার দিকে চারজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। তারা হলেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মোহাম্মদ আলিফ (১৪), দোহারের মোহাম্মদ ফাহিম (৩০) এবং আনুমানিক ৫০ বছর বছর বয়সী একজন।

প্রায় ৯ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সোমবার ভোর ৫টার দিকে ওয়াটার বাসটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়। উদ্ধারের পর এর ভেতরে আর কোনো মরদেহ না পাওয়ার কথা জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বালু্বাহী বাল্ক হেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি লালকুঠি ঘাট থেকে তেল ঘাট, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ যাওয়ার সময় ডুবে যায় বলে একজন বেঁচে যাওয়া যাত্রী উল্লেখ করেন।

বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী টাগবোট অগ্রদূত রাত পৌনে ৯টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি উদ্ধার করতে ব্যর্থ হলে নারায়নগঞ্জ থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’ যাত্র শুরু করে। কিন্তু পোস্তগোলা ব্রিজের জন্য উদ্ধার যানটি পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। পরে অগ্রদূত টাগবোটাটি ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি টেনে পোস্তগোলার পাশে হাসনাবাদ এলাকায় নিয়ে যায়। সোমবার সকাল ৭টা ৫০মিনিটে উদ্ধাকারী জাহাজ রুস্তম ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি পানি থেকে ওঠায়।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিসহ নৌ টহল বিদ্যমান থাকবে। কোনো মরদেহ ভেসে উঠলে বা ভেসে উঠার সংবাদ পেলে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বুড়িগঙ্গায় ওয়াটার বাসডুবি, গ্রেপ্তার ৬

আপডেট : ০৭:৩৩:২৬ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
সরদঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে ওয়াটার বাস ডুবে প্রাণহানির ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বাল্কহেডের মাস্টার মো. শরিফুল ইসলাম (৩৫), চালক মো. আনছার আলী (৩৭), সুকানী মো. সজীব সরদার (২৭), লস্কর মো. সিয়াম বেপারী (২০), মো. সফিউল গাজী (২২) ও বাবুর্চি মো. মাসুদ মুন্সি (৪৮)।

এই ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে নৌ পুলিশের ঢাকা বিভাগের এএসপি আবু মো. দিলওয়ার হাসান ইনাম বলেন, ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ওয়াটার বাসটি যে বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়, সেটিও জব্দ করা হয়েছে।

রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এমভি আরাবি নামে বালু্বাহী বাল্ক হেডের ধাক্কায় প্রায় অর্ধশত যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় ওয়াটার বাসটি।

বিআইডব্লিউটিসির ওয়াটার বাসটি সদরঘাটের ওপারে কেরানীগঞ্জের তেলঘাট থেকে শ্যামবাজারের পাশে লালকুঠি ঘাটে আসছিল।

দুর্ঘটনার পর অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও কয়েকজন নিখোঁজ হন।

নৌ পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা রাত সাড়ে ১০টার দিকে চারজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। তারা হলেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মোহাম্মদ আলিফ (১৪), দোহারের মোহাম্মদ ফাহিম (৩০) এবং আনুমানিক ৫০ বছর বছর বয়সী একজন।

প্রায় ৯ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সোমবার ভোর ৫টার দিকে ওয়াটার বাসটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়। উদ্ধারের পর এর ভেতরে আর কোনো মরদেহ না পাওয়ার কথা জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বালু্বাহী বাল্ক হেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি লালকুঠি ঘাট থেকে তেল ঘাট, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ যাওয়ার সময় ডুবে যায় বলে একজন বেঁচে যাওয়া যাত্রী উল্লেখ করেন।

বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী টাগবোট অগ্রদূত রাত পৌনে ৯টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি উদ্ধার করতে ব্যর্থ হলে নারায়নগঞ্জ থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’ যাত্র শুরু করে। কিন্তু পোস্তগোলা ব্রিজের জন্য উদ্ধার যানটি পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। পরে অগ্রদূত টাগবোটাটি ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি টেনে পোস্তগোলার পাশে হাসনাবাদ এলাকায় নিয়ে যায়। সোমবার সকাল ৭টা ৫০মিনিটে উদ্ধাকারী জাহাজ রুস্তম ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি পানি থেকে ওঠায়।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিসহ নৌ টহল বিদ্যমান থাকবে। কোনো মরদেহ ভেসে উঠলে বা ভেসে উঠার সংবাদ পেলে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হবে।