ঝুঁকি পূণ খাজুরা ব্রীজের দুই পাশ্বে রাস্তা: নেই কর্তৃপক্ষের নজরদারী

কামাল উদ্দিন টগর,নওগাঁ
  • আপডেট : ০৪:২৪:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩
  • / 270

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বুক দিয়ে বয়ে চলা আত্রাই নদীর উপরে অবস্থিত দুই উপজেলা (আত্রাই- খাজুরা) অংশকে সংযুক্ত করা একমাত্র খাজুরা ব্রীজের উত্তর- দক্ষিণ অংশ রাস্তা দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না করায় তা দিন দিন যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, প্রতিদিনই জীবনের ঝঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে হাজার হাজার পথচারীসহ ছোট-বড় যানবাহনকে। এ অবস্থায় যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। সচেতন কোন একজন পথ চারী একজন সিএনজি চালককে সতক করতেই সেই রাস্তার পার্শ্বে ডোবাই অসাবধানতার বসত সিএনজি উল্টে গিয়ে প্রাণ হারাতে হয়েছে সিএনজি চালকের।

এছাড়া ব্রীজের উত্তর পার্র্শ্বে একটু বৃষ্টি হলেই ব্রীজে উঠতে একদিকে পথচারীদের বুক কাঁপে অপর দিকেজীবনের মায়ায় যানবাহন থেকে কাদা-পানির মধ্যে যানবাহন থেকে নেমে খালি সিএনজি, ব্যাটারি চালিত অটো, ভ্যান সতর্কভাবে যানবাহন এবং লোকজন কোনমতে ব্রীজ পারাপার হন।এটি খাজুরা বাজার সংলগ্ন একমাত্র ব্রীজ।

প্র্রতিদিন শতশত যানবাহন এবং মানুষের যাতায়াতের এই ব্রীজটি দিনের পর দিন এমন ‘দৈন্যদশা’ থাকতে হয় দুই উপজেলার দুই পাশ্বের পথচারীদের।ব্রীজের দুই পার্শ্বের রাস্তার সংস্কারের কোন উদ্যোগই নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ব্রীজ নির্মানের পর হতে নদীর উভয় পাশের মধ্যে সেতুবন্ধন ঘটায় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ যোগাযোগ ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরির্তন আসে।আত্রাই নদীর উপর খাজুরা ব্রীজ দিয়ে নাটোর, নওগাঁ, বগুড়া এবং রাজশাহী জেলার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার মিলনবন্ধন হয়।

এ ব্রীজ পারাপারে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যানবাহনচালক এবং এলাকাবাসী।পথচারী দূর্লোভপুর গ্রামের মিজানুর রহমান, খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি সদস্য মোঃ রইচ উদ্দিন, খাজুরা গ্রামের হাজী মোঃ বেলাল হোসেন, গোপালবাটি গ্রামের আয়ের উদ্দিন,বাগমারা থানার পথচারী জহুরা খাতুনসহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সরকার কিংস্বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন জরুরী পদক্ষেপ নেই।

প্রতিনিয়ত এ ব্রীজ দিয়ে উঠা নামা করতে ভয়ে থাকতে হয় কখন যে যানবাহন উল্টে গিয়ে প্রাণ হারাতে হয়।দীর্ঘদিন ধরে এটি বেহাল অবস্থায় থাকলেও কোন সংস্কার হয় না। আর রাতের বেলায় ব্রীজে কোন সড়ক বাতি না থাকায় সন্ধ্যার পরই ভূতড়ে অবস্থা বিরাজ করে।

আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকতেখারুল ইসলাম মোবাইলে বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ঝুকি পূর্ণ স্থান পরির্দশন করে জনগনের দূর্ভোগ থেকে রেহায় এবং চলাচলের জন্য সংস্কার করার নির্দ্দেশ দেয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঝুঁকি পূণ খাজুরা ব্রীজের দুই পাশ্বে রাস্তা: নেই কর্তৃপক্ষের নজরদারী

আপডেট : ০৪:২৪:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বুক দিয়ে বয়ে চলা আত্রাই নদীর উপরে অবস্থিত দুই উপজেলা (আত্রাই- খাজুরা) অংশকে সংযুক্ত করা একমাত্র খাজুরা ব্রীজের উত্তর- দক্ষিণ অংশ রাস্তা দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না করায় তা দিন দিন যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, প্রতিদিনই জীবনের ঝঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে হাজার হাজার পথচারীসহ ছোট-বড় যানবাহনকে। এ অবস্থায় যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। সচেতন কোন একজন পথ চারী একজন সিএনজি চালককে সতক করতেই সেই রাস্তার পার্শ্বে ডোবাই অসাবধানতার বসত সিএনজি উল্টে গিয়ে প্রাণ হারাতে হয়েছে সিএনজি চালকের।

এছাড়া ব্রীজের উত্তর পার্র্শ্বে একটু বৃষ্টি হলেই ব্রীজে উঠতে একদিকে পথচারীদের বুক কাঁপে অপর দিকেজীবনের মায়ায় যানবাহন থেকে কাদা-পানির মধ্যে যানবাহন থেকে নেমে খালি সিএনজি, ব্যাটারি চালিত অটো, ভ্যান সতর্কভাবে যানবাহন এবং লোকজন কোনমতে ব্রীজ পারাপার হন।এটি খাজুরা বাজার সংলগ্ন একমাত্র ব্রীজ।

প্র্রতিদিন শতশত যানবাহন এবং মানুষের যাতায়াতের এই ব্রীজটি দিনের পর দিন এমন ‘দৈন্যদশা’ থাকতে হয় দুই উপজেলার দুই পাশ্বের পথচারীদের।ব্রীজের দুই পার্শ্বের রাস্তার সংস্কারের কোন উদ্যোগই নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ব্রীজ নির্মানের পর হতে নদীর উভয় পাশের মধ্যে সেতুবন্ধন ঘটায় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ যোগাযোগ ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরির্তন আসে।আত্রাই নদীর উপর খাজুরা ব্রীজ দিয়ে নাটোর, নওগাঁ, বগুড়া এবং রাজশাহী জেলার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার মিলনবন্ধন হয়।

এ ব্রীজ পারাপারে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যানবাহনচালক এবং এলাকাবাসী।পথচারী দূর্লোভপুর গ্রামের মিজানুর রহমান, খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি সদস্য মোঃ রইচ উদ্দিন, খাজুরা গ্রামের হাজী মোঃ বেলাল হোসেন, গোপালবাটি গ্রামের আয়ের উদ্দিন,বাগমারা থানার পথচারী জহুরা খাতুনসহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সরকার কিংস্বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন জরুরী পদক্ষেপ নেই।

প্রতিনিয়ত এ ব্রীজ দিয়ে উঠা নামা করতে ভয়ে থাকতে হয় কখন যে যানবাহন উল্টে গিয়ে প্রাণ হারাতে হয়।দীর্ঘদিন ধরে এটি বেহাল অবস্থায় থাকলেও কোন সংস্কার হয় না। আর রাতের বেলায় ব্রীজে কোন সড়ক বাতি না থাকায় সন্ধ্যার পরই ভূতড়ে অবস্থা বিরাজ করে।

আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকতেখারুল ইসলাম মোবাইলে বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ঝুকি পূর্ণ স্থান পরির্দশন করে জনগনের দূর্ভোগ থেকে রেহায় এবং চলাচলের জন্য সংস্কার করার নির্দ্দেশ দেয়া হয়েছে।