পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ৫৪৯ জনের নামে ১১ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৮:২২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩
  • / 166
রাজধানীতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রবেশ মুখে শনিবার বিএনপির ডাকা অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে ১১ থানায় মামলা করেছে।

রোববার দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পৃথক ১১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৪৯ বিএনপি নেতাকর্মীকে।

রাজধানীর বংশাল, সূত্রাপুর ও কদমতলী থানায় একটি করে, যাত্রাবাড়ি থানায় দুটি, বিমানবন্দর থানায় একটি, উত্তরা পশ্চিম থানায় দুটি, উত্তরা পূর্ব থানায় তিনটি।

দায়েরকৃত এসব পৃথক মামলায় নাম উল্লেখ করা হয়েছে আসামি ৪৬৯ জনের, অজ্ঞাত আসামি ৭০ থেকে ৮০ জন। ১১ মামলায় ৯টি পুলিশ বাদী, দুটি মামলার বাদী ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।

ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, গতকাল ডিএমপি অনুমতি না দেয়া সত্ত্বেও বিএনপি একটি বেআইনি সমাবেশ করে। বিএনপির বেআইনি সমাবেশ থেকে অগ্নিসংযোগ করে বাস ভাঙচুর করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, এপিসি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে।

এসব অপরাধে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় মোট সাতটি থানায় ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এসব মামলায় এজাহারে উল্লেখিত আসামি ৪৬৯ জন। মামলায় উল্লেখিত আসামিসহ অন্যান্য আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে ১৪৯ জন। ডিবি পুলিশ, ক্রাইম ডিভিশনসহ অন্যান্য বিভাগের টিম এই আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করছে।

দায়েরকৃত এসব মামলার বাইরেও আরও কয়েকটি থানায় (দারুস সালাম, ডেমরা ও উত্তরা পশ্চিম থানা) বেশ কয়েকটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি। সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমানুল্লাহ আমানকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাদের কোনো মামলায় আসামি করা হয়েছে কিনা তা মামলার এজহার পর্যালোচনা করলে জানা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ৫৪৯ জনের নামে ১১ মামলা

আপডেট : ০৮:২২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩
রাজধানীতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রবেশ মুখে শনিবার বিএনপির ডাকা অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে ১১ থানায় মামলা করেছে।

রোববার দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পৃথক ১১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৪৯ বিএনপি নেতাকর্মীকে।

রাজধানীর বংশাল, সূত্রাপুর ও কদমতলী থানায় একটি করে, যাত্রাবাড়ি থানায় দুটি, বিমানবন্দর থানায় একটি, উত্তরা পশ্চিম থানায় দুটি, উত্তরা পূর্ব থানায় তিনটি।

দায়েরকৃত এসব পৃথক মামলায় নাম উল্লেখ করা হয়েছে আসামি ৪৬৯ জনের, অজ্ঞাত আসামি ৭০ থেকে ৮০ জন। ১১ মামলায় ৯টি পুলিশ বাদী, দুটি মামলার বাদী ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।

ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, গতকাল ডিএমপি অনুমতি না দেয়া সত্ত্বেও বিএনপি একটি বেআইনি সমাবেশ করে। বিএনপির বেআইনি সমাবেশ থেকে অগ্নিসংযোগ করে বাস ভাঙচুর করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, এপিসি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে।

এসব অপরাধে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় মোট সাতটি থানায় ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এসব মামলায় এজাহারে উল্লেখিত আসামি ৪৬৯ জন। মামলায় উল্লেখিত আসামিসহ অন্যান্য আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে ১৪৯ জন। ডিবি পুলিশ, ক্রাইম ডিভিশনসহ অন্যান্য বিভাগের টিম এই আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করছে।

দায়েরকৃত এসব মামলার বাইরেও আরও কয়েকটি থানায় (দারুস সালাম, ডেমরা ও উত্তরা পশ্চিম থানা) বেশ কয়েকটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি। সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমানুল্লাহ আমানকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাদের কোনো মামলায় আসামি করা হয়েছে কিনা তা মামলার এজহার পর্যালোচনা করলে জানা যাবে।