সঙ্কট নিরসনে পরিত্যাক্ত স্থাপনাকে বাসযোগ্য করার কাজ করছে গণপূর্ত : প্রকৌশলী শামীম আখতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ১১:২২:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / 174

২০২০ সালের ডিসেম্বরে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পান মোহাম্মদ শামীম আখতার। তিনি আসলেন এবং জয় করলেন আমলাতন্ত্রে এমন প্রত্যাশাকে উচ্চাভিলাষী বলা যায়, তবে পরিবর্তন দৃশ্যমান। এবছরের শুরুতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে তাদের আধুনিক রাজস্ব ভবন বুঝে নিয়েছে। তাঁর সময়কালে সরকার একসঙ্গে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে, ইতিমধ্যে ২৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করে জনসাধারণের জন্য খুলেও দেওয়া দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নবনির্মিত বহুতল ভবন ‘বিজয়-৭১’ ও হস্তান্তর করা হয়েছে এবছর।

পরিত্যক্ত সরকারি স্থাপনাকে বাসযোগ্য স্থাপনায় রূপান্তর করায় কিছুটা হলেও স্বস্তি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের আবাসন সঙ্কটের। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য ইতিমধ্যে ঢাকায় অনেকগুলো পুরানো বাড়িকে বাসযোগ্য করার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া দেশজুড়ে পরিত্যক্ত বাড়ি সরকারের কাজের ব্যবহার উপযোগী করছে এ অধিদপ্তর ।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে আজিমপুর জাজেস কমপ্লেক্সে জাজদের জন্য ৯০টি, তেজগাঁওয়ে সরকারি কর্মচারিদের জন্য ৬টি ১৩ তলা ভবনে ২৮৮টি, নোয়াখালীতে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৯টি ১০ তলা ভবনে ৩২৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ, গণপূর্ত অধিদফতরের মাধ্যমে বাস্তবায়ন শেষে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির ছন্দপতন ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে নির্মাণ সামগ্রীর উচ্চমূল্যের বাজারে সরকারি প্রকল্পের ব্যয় নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেলেও সামাল দিয়েছেন সিদ্ধহস্তে ।

মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়ে শামীম আখতার বলেন, ঐতিহাসিক ভাবে আমরা মসজিদের বহুমুখী ব্যবহার দেখছি মুসলিম রেঁনেসার কালে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজের চিন্তায় জাতিকে সেই রেনেসাঁ কাল ফিরিয়ে দিয়েছেন। মডেল মসজিদে শুধু নামাজ আদায় নয়, ইসলামি গবেষণা, সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করবে। সমাজ বিনির্মানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এমন নেক কর্মের সাথে যুক্ত থেকে গণপূর্তের প্রতিটি কর্মকর্তা কর্মচারী কৃতজ্ঞতা অনুভব করে।

উল্লেখ্য, বিশ্বের কোথাও কোনো সরকার একসঙ্গে ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ করছে এমন কোনো রেকর্ড নেই। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত দৃষ্টিনন্দন এসব মসজিদের ভৌত অবকাঠামোর কাজ করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর।

অফিসার্স ক্লাবের বহুতল ভবন নির্মাণের অগ্রগতি প্রসঙ্গে প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার বলেন, মূল নকশা থেকে শুরু করে প্রকল্প মেয়াদ ও নির্মাণ ব্যয়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে। নতুন নকশায় ভবনের মোট আয়তন বাড়বে ২,০০,০০০ বর্গফুট প্রায়। প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা ও নির্মাণ ব্যয় বাড়া নিয়ে তিনি বলেন, নির্মাণ ব্যয় বেড়েছে তা অনুমোদনও করেছে মন্ত্রণালয়। দেশের প্রথম সারির কর্মকর্তা, আমলাসহ সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ অফিসার্স ক্লাব, এমন একটা ইনফ্রাস্টাচার হবে যা ৫০/১০০ বছর পরে গিয়ে সময়োপযোগী মনে হয়।

আমাদের অভ্যন্তরীণ মিটিং ছিল এই প্রজেক্ট নিয়ে, সেখানেও এই প্রশ্ন করেছিলেন অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, বারবার নকশা পরিবর্তনজনিত কারণে প্রকল্পের ধীর অগ্রগতির কথা বলছেন, সবাই মিলেই কিন্তু একটা চেষ্টা ছিল এখন ইনট্রিগ্রেডেড কমপ্লেক্সে রূপ নিবে এর সংশোধনী নকশা, সেখানে অফিসার্স ক্লাবের মেম্বারদের মত ছিল এবং তারাও বারবার নতুন নতুন বিষয় নকশায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে যোগদান করে, দুই বছরের মধ্যে নিজের উদ্যোগে এবং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ৩০ বছর দুই মন্ত্রণালয়ের চলমান বিবাদের অবসান করিয়েছেন তিনি। রাজস্ব ভবনের জন্য অপেক্ষার দীর্ঘ ৩০ বছর নিয়ে তিনি জানান, ২০০৮ সালে পাঁচ বছর মেয়াদে ১৪১ কোটি টাকার প্রকল্প পাশ হয়। জমি নিয়ে মামলা নিষ্পত্তি হয় ২০১৪ সালে ৬ বছর এখানে, তারপর প্রথম প্রকল্প ভবনের নকশা পরিবর্তন করে পরিসর বাড়ানো হয়, সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (আরডিপিপি) অনুমোদন ছাড়াই ৩০ তলা ভিত্তির ওপর ভবন নির্মাণ শুরু হয়। এতে প্রকল্পের ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। এর মধ্যে আবার বিপত্তি বাধে সরকারি দুই দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্প সংশোধনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু তা নেয়নি এনবিআর। এ নিয়ে সরকারি দুই সংস্থার মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি গড়ায় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত। সংশোধনী প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০ তলা না করে ১২ তলা ভবন করতে হবে। কেননা বিমানবন্দর কাছাকাছি রয়েছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে ১৯৮২ সালে এসএসসি এবং ১৯৮৪ সালে এইচএসসি পাস করেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ১৯৯১ সালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) ডিগ্রি লাভ করেন।

পরবর্তিতে তিনি আইসিটি বিষয়ে ২০০২ সালে বুয়েট হতে পোষ্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা এবং ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ফিন্যান্স বিষয়ে এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি বিসিএস (পাবলিক ওয়ার্কস) ক্যাডারে ১৫ তম (১৯৯৫) ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। এর আগে তিনি হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সঙ্কট নিরসনে পরিত্যাক্ত স্থাপনাকে বাসযোগ্য করার কাজ করছে গণপূর্ত : প্রকৌশলী শামীম আখতার

আপডেট : ১১:২২:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩

২০২০ সালের ডিসেম্বরে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পান মোহাম্মদ শামীম আখতার। তিনি আসলেন এবং জয় করলেন আমলাতন্ত্রে এমন প্রত্যাশাকে উচ্চাভিলাষী বলা যায়, তবে পরিবর্তন দৃশ্যমান। এবছরের শুরুতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে তাদের আধুনিক রাজস্ব ভবন বুঝে নিয়েছে। তাঁর সময়কালে সরকার একসঙ্গে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে, ইতিমধ্যে ২৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করে জনসাধারণের জন্য খুলেও দেওয়া দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নবনির্মিত বহুতল ভবন ‘বিজয়-৭১’ ও হস্তান্তর করা হয়েছে এবছর।

পরিত্যক্ত সরকারি স্থাপনাকে বাসযোগ্য স্থাপনায় রূপান্তর করায় কিছুটা হলেও স্বস্তি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের আবাসন সঙ্কটের। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য ইতিমধ্যে ঢাকায় অনেকগুলো পুরানো বাড়িকে বাসযোগ্য করার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া দেশজুড়ে পরিত্যক্ত বাড়ি সরকারের কাজের ব্যবহার উপযোগী করছে এ অধিদপ্তর ।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে আজিমপুর জাজেস কমপ্লেক্সে জাজদের জন্য ৯০টি, তেজগাঁওয়ে সরকারি কর্মচারিদের জন্য ৬টি ১৩ তলা ভবনে ২৮৮টি, নোয়াখালীতে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৯টি ১০ তলা ভবনে ৩২৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ, গণপূর্ত অধিদফতরের মাধ্যমে বাস্তবায়ন শেষে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির ছন্দপতন ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে নির্মাণ সামগ্রীর উচ্চমূল্যের বাজারে সরকারি প্রকল্পের ব্যয় নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেলেও সামাল দিয়েছেন সিদ্ধহস্তে ।

মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়ে শামীম আখতার বলেন, ঐতিহাসিক ভাবে আমরা মসজিদের বহুমুখী ব্যবহার দেখছি মুসলিম রেঁনেসার কালে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজের চিন্তায় জাতিকে সেই রেনেসাঁ কাল ফিরিয়ে দিয়েছেন। মডেল মসজিদে শুধু নামাজ আদায় নয়, ইসলামি গবেষণা, সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করবে। সমাজ বিনির্মানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এমন নেক কর্মের সাথে যুক্ত থেকে গণপূর্তের প্রতিটি কর্মকর্তা কর্মচারী কৃতজ্ঞতা অনুভব করে।

উল্লেখ্য, বিশ্বের কোথাও কোনো সরকার একসঙ্গে ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ করছে এমন কোনো রেকর্ড নেই। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত দৃষ্টিনন্দন এসব মসজিদের ভৌত অবকাঠামোর কাজ করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর।

অফিসার্স ক্লাবের বহুতল ভবন নির্মাণের অগ্রগতি প্রসঙ্গে প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার বলেন, মূল নকশা থেকে শুরু করে প্রকল্প মেয়াদ ও নির্মাণ ব্যয়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে। নতুন নকশায় ভবনের মোট আয়তন বাড়বে ২,০০,০০০ বর্গফুট প্রায়। প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা ও নির্মাণ ব্যয় বাড়া নিয়ে তিনি বলেন, নির্মাণ ব্যয় বেড়েছে তা অনুমোদনও করেছে মন্ত্রণালয়। দেশের প্রথম সারির কর্মকর্তা, আমলাসহ সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ অফিসার্স ক্লাব, এমন একটা ইনফ্রাস্টাচার হবে যা ৫০/১০০ বছর পরে গিয়ে সময়োপযোগী মনে হয়।

আমাদের অভ্যন্তরীণ মিটিং ছিল এই প্রজেক্ট নিয়ে, সেখানেও এই প্রশ্ন করেছিলেন অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, বারবার নকশা পরিবর্তনজনিত কারণে প্রকল্পের ধীর অগ্রগতির কথা বলছেন, সবাই মিলেই কিন্তু একটা চেষ্টা ছিল এখন ইনট্রিগ্রেডেড কমপ্লেক্সে রূপ নিবে এর সংশোধনী নকশা, সেখানে অফিসার্স ক্লাবের মেম্বারদের মত ছিল এবং তারাও বারবার নতুন নতুন বিষয় নকশায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে যোগদান করে, দুই বছরের মধ্যে নিজের উদ্যোগে এবং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ৩০ বছর দুই মন্ত্রণালয়ের চলমান বিবাদের অবসান করিয়েছেন তিনি। রাজস্ব ভবনের জন্য অপেক্ষার দীর্ঘ ৩০ বছর নিয়ে তিনি জানান, ২০০৮ সালে পাঁচ বছর মেয়াদে ১৪১ কোটি টাকার প্রকল্প পাশ হয়। জমি নিয়ে মামলা নিষ্পত্তি হয় ২০১৪ সালে ৬ বছর এখানে, তারপর প্রথম প্রকল্প ভবনের নকশা পরিবর্তন করে পরিসর বাড়ানো হয়, সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (আরডিপিপি) অনুমোদন ছাড়াই ৩০ তলা ভিত্তির ওপর ভবন নির্মাণ শুরু হয়। এতে প্রকল্পের ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। এর মধ্যে আবার বিপত্তি বাধে সরকারি দুই দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্প সংশোধনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু তা নেয়নি এনবিআর। এ নিয়ে সরকারি দুই সংস্থার মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি গড়ায় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত। সংশোধনী প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০ তলা না করে ১২ তলা ভবন করতে হবে। কেননা বিমানবন্দর কাছাকাছি রয়েছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে ১৯৮২ সালে এসএসসি এবং ১৯৮৪ সালে এইচএসসি পাস করেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ১৯৯১ সালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) ডিগ্রি লাভ করেন।

পরবর্তিতে তিনি আইসিটি বিষয়ে ২০০২ সালে বুয়েট হতে পোষ্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা এবং ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ফিন্যান্স বিষয়ে এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি বিসিএস (পাবলিক ওয়ার্কস) ক্যাডারে ১৫ তম (১৯৯৫) ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। এর আগে তিনি হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।