খুমেক শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী সংঘর্ষ: পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে বিপাকে রোগীরা

খুলনা প্রতিনিধি
  • আপডেট : ০৪:৫৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / 204
খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) শিক্ষার্থী ও ওষুধ ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো পাল্টাপাল্টি ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে হাসাপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনরা।

বুধবার সকাল ১০টায় ইর্ন্টানি ডাক্তারা হাসপাতালে না গিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে খুলনা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ও সহকারী পরিচালকের কক্ষের সামনে বিক্ষোভ করেন। এছাড়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষর কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।

এ কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীরা ইর্ন্টানি চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান। অন্যদিকে ওষুধ ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা ও দোকান ভাংচুরের প্রতিবাদে মেডিকেল কলেজের সামনের সকল ফার্মেসি বন্ধ করে ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।

ইর্ন্টানি চিকিৎসকদের ধর্মঘটের ব্যাপারে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রবিউল হাসান জানান, এই ধর্মঘটের কারণে চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। ডেঙ্গুসহ হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের চাপ সামলাতে অনেকটাই হিমসিম খেতে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী সহপাঠীসহ হাসপাতালে সামনে ওষুধ কিনতে গিয়ে ব্যবসায়ীকে কমিশন (১০ শতাংশ) বাদ দিতে বলেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও ওষুধ ব্যবসায়ীদের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রায় ১৫ জন আহত হয়। এ সময় বেশ কিছু ফার্মেসি ভাংচুর করা হয় । পরে সোমবার রাতে ইন্টার্নি চিকিৎসকদের সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এক প্রেস বিজ্ঞপিতে ধর্মঘটের ডাক দেয়। অন্যদিকে মঙ্গলবার ভোর থেকেই হাসপাতালের সামনে ও আশপাশ এলাকার সকল ফার্মেসি বন্ধ রেখে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছে ওষুধ ব্যবসায়ীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

খুমেক শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী সংঘর্ষ: পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে বিপাকে রোগীরা

আপডেট : ০৪:৫৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩
খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) শিক্ষার্থী ও ওষুধ ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো পাল্টাপাল্টি ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে হাসাপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনরা।

বুধবার সকাল ১০টায় ইর্ন্টানি ডাক্তারা হাসপাতালে না গিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে খুলনা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ও সহকারী পরিচালকের কক্ষের সামনে বিক্ষোভ করেন। এছাড়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষর কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।

এ কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীরা ইর্ন্টানি চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান। অন্যদিকে ওষুধ ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা ও দোকান ভাংচুরের প্রতিবাদে মেডিকেল কলেজের সামনের সকল ফার্মেসি বন্ধ করে ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।

ইর্ন্টানি চিকিৎসকদের ধর্মঘটের ব্যাপারে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রবিউল হাসান জানান, এই ধর্মঘটের কারণে চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। ডেঙ্গুসহ হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের চাপ সামলাতে অনেকটাই হিমসিম খেতে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী সহপাঠীসহ হাসপাতালে সামনে ওষুধ কিনতে গিয়ে ব্যবসায়ীকে কমিশন (১০ শতাংশ) বাদ দিতে বলেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও ওষুধ ব্যবসায়ীদের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রায় ১৫ জন আহত হয়। এ সময় বেশ কিছু ফার্মেসি ভাংচুর করা হয় । পরে সোমবার রাতে ইন্টার্নি চিকিৎসকদের সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এক প্রেস বিজ্ঞপিতে ধর্মঘটের ডাক দেয়। অন্যদিকে মঙ্গলবার ভোর থেকেই হাসপাতালের সামনে ও আশপাশ এলাকার সকল ফার্মেসি বন্ধ রেখে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছে ওষুধ ব্যবসায়ীরা।