ভারত যাচ্ছে ৪ হাজার টন ইলিশ
- আপডেট : ০৫:২৯:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / 180
শর্তে বলা হয়, রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে, শুল্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রপ্তানির অনুমতি পাওয়া পণ্যের কায়িক পরীক্ষা যথাযথভাবে করতে হবে, প্রতিটি কনসাইনমেন্ট জাহাজীকরণ শেষে রপ্তানি সংক্রান্ত সব কাগজপত্র ই-মেইল করতে হবে এবং অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি রপ্তানি করা যাবে না।
প্রতিটি পণ্যচালান রপ্তানিকালে শুল্ক কর্তৃপক্ষ এসোডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম পরীক্ষা করে অনুমোদিত পরিমাণের অতিরিক্ত পণ্য রপ্তানি না করার বিষয়টি নিশ্চিত হবেন, এ অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে।
এতে আরও বলা হয়, সরকার প্রয়োজনে যেকোনো সময় ইলিশ মাছ রপ্তানি বন্ধ করতে পারবে। এ অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য নয় এবং অনুমোদিত রপ্তানিকারক ব্যতীত সাব কন্ট্রাক্টে রপ্তানি করা যাবে না।
এর আগে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছিলেন, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও ভারতে ৫ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি করা হতে পারে।
সেসময় তিনি বলেন, ইলিশ আমরা নিয়মিত রপ্তানি করি না। শুধু দুর্গাপূজায় যেসব বাঙালি আমাদের মতো ইলিশ খেয়ে থাকেন, তাদের জন্য এই উৎসবের সময় শুভেচ্ছাস্বরূপ ইলিশ দেয়া হয়। যেমন আমের সময়, আমরা আম পাঠাই। সারা বছর কিন্তু আমরা এক ছটাকও ইলিশ রপ্তানি করিনি। এই ১৫ দিন কিংবা এক মাসের জন্য টোকেনস্বরূপ কিছু ইলিশ রপ্তানি করব।
মন্ত্রী বলেন, দেশে বছরে ছয় লাখ টন ইলিশ উৎপাদন হয়। সেই হিসাবে প্রতিদিন যদি আমরা ধরি, তাহলে গড়ে দুই হাজার টন ইলিশ ধরা হয়। সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি করবো। তাতে সারা বছরের দুই দিনের উৎপাদন আমরা তাদের দেব এই পূজার সময়। পাঁচ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি আমাদের লক্ষ্য। গত বছর একই সমপরিমাণ দিয়েছি।
এতে বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন টিপু মুনশি। কবে থেকে এটা কার্যকর হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা পূজার সময়ে প্রতি বছর দেই। এবারও দেব।