অর্থপাচার মামলা

দুদকের মুখোমুখি গ্রামীণ টেলিকমের তিন পরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৬:১৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / 218
গ্রামীণ টেলিকমের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির তিন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের একটি টিম তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

পরিচালকদের মধ্যে আছেন, নাজনীন সুলতানা, নূরজাহান বেগম ও হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী। এদিন আরও দুই পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদের কথা রয়েছে।

একই মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নেবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যদের তলব করেছে দুদক। আগামী বৃহস্পতিবার ইউনূসকে দুপুর সাড়ে ১২টায় সশরীরে দুদকে দুদক কার্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়।

ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, শ্রম আদালতের মামলায় সুবিধা করতে না পেরে দুদকের মামলায় বিচার শুরু করতে তড়িঘড়ি করা হচ্ছে। যদিও ওই দিন যথাসময়ে হাজির হবেন তিনি।

এর আগে চলতি বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকম থেকে শ্রমিক কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার।

দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যানসহ বোর্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে পরস্পর যোগসাজশে ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের সত্যতা পাওয়া যায়।

মামলার আসামিরা হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, পরিচালক নাজনীন সুলতানা, পরিচালক মো. শাহজাহান, পরিচালক নুরজাহান বেগম, পরিচালক এসএম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

আইনজীবী দুই আসামির মধ্যে রয়েছেন- অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ।

শ্রমিক ইউনিয়নের তিন আসামির মধ্যে রয়েছেন- গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান এবং শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অর্থপাচার মামলা

দুদকের মুখোমুখি গ্রামীণ টেলিকমের তিন পরিচালক

আপডেট : ০৬:১৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩
গ্রামীণ টেলিকমের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির তিন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের একটি টিম তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

পরিচালকদের মধ্যে আছেন, নাজনীন সুলতানা, নূরজাহান বেগম ও হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী। এদিন আরও দুই পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদের কথা রয়েছে।

একই মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নেবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যদের তলব করেছে দুদক। আগামী বৃহস্পতিবার ইউনূসকে দুপুর সাড়ে ১২টায় সশরীরে দুদকে দুদক কার্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়।

ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, শ্রম আদালতের মামলায় সুবিধা করতে না পেরে দুদকের মামলায় বিচার শুরু করতে তড়িঘড়ি করা হচ্ছে। যদিও ওই দিন যথাসময়ে হাজির হবেন তিনি।

এর আগে চলতি বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকম থেকে শ্রমিক কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার।

দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যানসহ বোর্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে পরস্পর যোগসাজশে ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের সত্যতা পাওয়া যায়।

মামলার আসামিরা হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, পরিচালক নাজনীন সুলতানা, পরিচালক মো. শাহজাহান, পরিচালক নুরজাহান বেগম, পরিচালক এসএম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

আইনজীবী দুই আসামির মধ্যে রয়েছেন- অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ।

শ্রমিক ইউনিয়নের তিন আসামির মধ্যে রয়েছেন- গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান এবং শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।