জনগণ আমার একমাত্র শক্তির উৎস: শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৬:৩৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / 152
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার একমাত্র শক্তির উৎস হলো বাংলাদেশের জনগণ। তাদের জন্য আমরা আমার বাবার মতো জীবন উৎসর্গ করে পথে নেমেছি। গোলা-বারুদ, বোমা, গ্রেনেড হামলা কোনো কিছুই আমাকে বাধা দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ ভোটে বিশ্বাসী। আমরাই ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করেছি। জিয়াউর রহমান যখন ভোট চুরির জন্য হ্যাঁ না ভোট করেছিলেন, আওয়ামী লীগ তখন জনগণের ভোটের অধিকার ফিরেয়ে দিয়েছে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব এই স্লোগানটিও আমাদের দেয়া। আমরাই জনগণের হাতে ভোটাধিকার এনে দিয়েছি।

সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির কলাবাগান মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বক্তব্যের শুরুতেই শেখ হাসিনা বলেন, নতুন বছরে (২০২৪) পদার্পণ করলাম। সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

বঙ্গবন্ধুর দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ৭৫ এর পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল। তারা ক্ষমতায় এসেছিল অস্ত্র হাতে নিয়ে। মানুষের ভাগ্য গড়েনি। এই দেশটাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়। যে জয় বাংলা স্লোগানে দেশের মানুষ তাজা রক্ত দিয়েছিল, সেটিও নিষিদ্ধ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্পূর্ণ জলাঞ্জলি দিয়ে দেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, যেদিন বাংলাদেশে ফিরে আসি। আমার ফেলে রাখা আপনজনদের পাইনি। পেয়েছি, হাজার হাজার মানুষ। সেদিন ঘোষণা দিয়েছিলাম, এ বাংলাদেশের মানুষই আমার পরিবার। তাদের মধ্যেই আমি খুঁজে পাবো, বাবা-মা ভাইবোনের স্নেহ। হ্যাঁ, এটা পেয়েছি। একটা প্রত্যয় ছিল, সবার মুখে খাদ্য তুলে দেবো। কেউ গৃহহীন ভূমিহীন থাকবে না। সবাইকে উন্নত জীবন দেবো। ক্ষমতায় এসে সেই কাজ শুরুও করেছিলাম। কিন্তু গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিইনি বলে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি।

তিনি বলেন, তবে তাদের দুর্নীতির কারণে ২০০৮ সালে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা ২৩৩ আসন পেয়ে সরকার গঠন করেছি। ২০১৩-১৪ সালে আগুনে মানুষ পুড়িয়েছে, কিন্তু নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। ২০১৮ সালে নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। তারেক জিয়া দেয় নমিনেশন, গুলশান থেকে ফখরুল দেয় নমিনেশন, পল্টন অফিস থেকে রিজভী দেয়। ওইভাবে নমিনেশন বিক্রির ফলে তাদের নির্বাচন ভেস্তে যায়। দোষ দেয় আমাদের ওপর।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অথচ আওয়ামী লীগ ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য আমাদের নেতাকর্মীরা অত্যাচার সয়েছে, জেলে খেটেছে। এখন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করে দিয়েছে।

দুপুরের আগ থেকেই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে নেতারা মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে আসতে থাকেন। রাজধানীর বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, ইউনিটের নেতারা আলাদা মিছিল নিয়ে আসছেন। ঢাকার দুই সিটির কাউন্সিলররাও লোকজন নিয়ে জনসভায় আসেন। মিছিলে ঢাকঢোল পেটানোর পাশাপাশি ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু‘, ‘শেখ হাসিনার সালাম নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন’সহ নানান নির্বাচনী স্লোগান দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরাও এসেছেন সদলবলে। এ সময় তাদের অনুসারীদের নানা ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জনগণ আমার একমাত্র শক্তির উৎস: শেখ হাসিনা

আপডেট : ০৬:৩৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার একমাত্র শক্তির উৎস হলো বাংলাদেশের জনগণ। তাদের জন্য আমরা আমার বাবার মতো জীবন উৎসর্গ করে পথে নেমেছি। গোলা-বারুদ, বোমা, গ্রেনেড হামলা কোনো কিছুই আমাকে বাধা দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ ভোটে বিশ্বাসী। আমরাই ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করেছি। জিয়াউর রহমান যখন ভোট চুরির জন্য হ্যাঁ না ভোট করেছিলেন, আওয়ামী লীগ তখন জনগণের ভোটের অধিকার ফিরেয়ে দিয়েছে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব এই স্লোগানটিও আমাদের দেয়া। আমরাই জনগণের হাতে ভোটাধিকার এনে দিয়েছি।

সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির কলাবাগান মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বক্তব্যের শুরুতেই শেখ হাসিনা বলেন, নতুন বছরে (২০২৪) পদার্পণ করলাম। সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

বঙ্গবন্ধুর দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ৭৫ এর পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল। তারা ক্ষমতায় এসেছিল অস্ত্র হাতে নিয়ে। মানুষের ভাগ্য গড়েনি। এই দেশটাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়। যে জয় বাংলা স্লোগানে দেশের মানুষ তাজা রক্ত দিয়েছিল, সেটিও নিষিদ্ধ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্পূর্ণ জলাঞ্জলি দিয়ে দেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, যেদিন বাংলাদেশে ফিরে আসি। আমার ফেলে রাখা আপনজনদের পাইনি। পেয়েছি, হাজার হাজার মানুষ। সেদিন ঘোষণা দিয়েছিলাম, এ বাংলাদেশের মানুষই আমার পরিবার। তাদের মধ্যেই আমি খুঁজে পাবো, বাবা-মা ভাইবোনের স্নেহ। হ্যাঁ, এটা পেয়েছি। একটা প্রত্যয় ছিল, সবার মুখে খাদ্য তুলে দেবো। কেউ গৃহহীন ভূমিহীন থাকবে না। সবাইকে উন্নত জীবন দেবো। ক্ষমতায় এসে সেই কাজ শুরুও করেছিলাম। কিন্তু গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিইনি বলে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি।

তিনি বলেন, তবে তাদের দুর্নীতির কারণে ২০০৮ সালে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা ২৩৩ আসন পেয়ে সরকার গঠন করেছি। ২০১৩-১৪ সালে আগুনে মানুষ পুড়িয়েছে, কিন্তু নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। ২০১৮ সালে নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। তারেক জিয়া দেয় নমিনেশন, গুলশান থেকে ফখরুল দেয় নমিনেশন, পল্টন অফিস থেকে রিজভী দেয়। ওইভাবে নমিনেশন বিক্রির ফলে তাদের নির্বাচন ভেস্তে যায়। দোষ দেয় আমাদের ওপর।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অথচ আওয়ামী লীগ ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য আমাদের নেতাকর্মীরা অত্যাচার সয়েছে, জেলে খেটেছে। এখন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করে দিয়েছে।

দুপুরের আগ থেকেই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে নেতারা মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে আসতে থাকেন। রাজধানীর বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, ইউনিটের নেতারা আলাদা মিছিল নিয়ে আসছেন। ঢাকার দুই সিটির কাউন্সিলররাও লোকজন নিয়ে জনসভায় আসেন। মিছিলে ঢাকঢোল পেটানোর পাশাপাশি ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু‘, ‘শেখ হাসিনার সালাম নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন’সহ নানান নির্বাচনী স্লোগান দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরাও এসেছেন সদলবলে। এ সময় তাদের অনুসারীদের নানা ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।