স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ার সুযোগ চাই: শেখ হাসিনা
- আপডেট : ০৭:৫৩:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪
- / 164
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এ ভাষণ দেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, দারিদ্র্য হ্রাস, ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারগুলোর ঘরবাড়ি ও জীবন-জীবিকার স্থায়ী ব্যবস্থা করা, যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থায় আমাদের আজকের শিশু এবং তরুণদের সুশিক্ষিত করা, স্বাস্থ্যসেবা আরও উন্নত করা, ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, প্রতি উপজেলায় কারিগরি ও কম্পিউটার ট্রেনিংয়ের যে সুযোগ সৃষ্টি করেছি তা সম্পন্ন করা, দক্ষ জনশক্তি রফতানির জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন কর্মক্ষেত্র খুঁজে বের করা, গ্রামের মানুষের জন্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা, রাস্তাঘাট উন্নত করা, বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনের যে ব্যবস্থা নিয়েছি; তা টেকসই করে সব মানুষের জীবনমান উন্নত করাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য। আপনাদের মূল্যবান ভোটে নির্বাচিত হয়ে আরেকবার সরকার গঠন করতে পারলে আমাদের গৃহীত কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন করে আপনাদের জীবনমান আরও উন্নত করার সুযোগ পাব।
শেখ হাসিনা বলেন, নদী, খাল, পুকুর, জলাধার খনন, ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ, বনায়ন সৃষ্টি, উপকূলীয় অঞ্চলে সবুজ বেষ্টনী তৈরি করে সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, নদীভাঙনের হাত থেকে দেশের জনগণকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা করব। সড়ক, রেল, নৌ, বিমানপথ ও সেবা উন্নত করে যোগাযোগ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে।
তিনি বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, অধিক ফসল উৎপাদন, খাদ্য সংরক্ষণ, খাদ্য ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করা, দেশের চাহিদা পূরণ করা ও বিদেশে রফতানির উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার কাজ অব্যাহত থাকবে। রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে নতুন বাজার খুঁজে বের করা, উপযুক্ত পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে। সে ক্ষেত্রে ডিজিটাল ডিভাইস, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত, ওষুধ, কুটিরশিল্প, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ভারী শিল্প উৎপাদন, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ রিসাইক্লিনিং শিল্প এবং কারখানা গড়ে তোলার কাজ অব্যাহত থাকবে। ব্যাপক বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, এই লক্ষ্যে কৃষিপণ্য, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান, প্রযুক্তি বিজ্ঞান, পরমাণু গবেষণা, অ্যারোস্পেস ও এভিয়েশন গবেষণা, সমুদ্র গবেষণা, জলবায়ু পরিবর্তন গবেষণার জন্য ইনস্টিটিউশন ও গবেষণাগার তৈরির কাজ সম্পন্ন করতে হবে।