বেনজীরের ফ্ল্যাটের তালা খুলতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ
- আপডেট : ০৮:০৪:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪
- / 68
রোববার (৩০ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন।
এর আগে, গত ৬ জুন তারিখে পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মির্জা ও মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর, তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর, জারা জেরিন বিনতে বেনজীরের স্থাবর সম্পত্তির রিসিভার নিয়োগের আদেশ দেওয়া হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, বেনজির ও তার পরিবারের স্থাবর সম্পতি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন দেন আদালত। এ সম্পত্তির মধ্যে গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট ছাড়া অন্যসব স্থাবর সম্পত্তি রিসিভার নিয়োগের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রিসিভর নিয়োগের জন্য অনুমতি দেন।
রিসিভারের কাজ কী হবে তা জানতে চাইলে মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, যাকে রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হবে, তিনি মূলত ক্রোক করা সম্পত্তিগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। ওই সম্পত্তির আয়-ব্যয়ের হিসাব একটা নির্দিষ্ট সময়ে আদালতকে জানাবেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে ওই সম্পত্তি বাজেয়াপ্তও করা হতে পারে। তখনও রিসিভার (তত্ত্বাবধায়ক) আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করবেন।
এর আগে গত ২৩ ও ২৬ মে দুই দফায় বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ৬২১ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমির মালিক বেনজীরের স্ত্রী জীশান মীর্জা। তার নামে প্রায় ৫২১ বিঘা জমি খুঁজে পেয়েছে দুদক। বাকি ১০০ বিঘার মতো জমি রয়েছে বেনজীর, তার তিন মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর, তাহসিন রাইশা বিনতে বেনজীর ও জারা জেরিন বিনতে বেনজীর এবং আত্মীয় আবু সাঈদ মো. খালেদের নামে।
এছাড়াও বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে মাদারীপুরের সাতপাড় ডুমুরিয়া মৌজায় ২৭৬ বিঘা জমি পাওয়া গেছে। ২০২১ ও ২০২২ সালের বিভিন্ন সময় ১১৩টি দলিলে এসব জমি কেনা হয়। দলিলমূল্য দেখানো হয় মোট ১০ কোটি ২২ লাখ টাকা। ৮৩টি দলিলে ৩৪৫ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। যার দলিলমূল্য দেখানো হয়েছিল ১৬ কোটি ১৫ টাকার কিছু বেশি।
এছাড়া বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে ঢাকার গুলশানে চারটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন আদালত। তার মধ্যে তিনটি তার স্ত্রীর নামে এবং একটি ছোট মেয়ের নামে। দুটি ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ৩৫৩ বর্গফুট, দাম ৫৬ লাখ টাকা করে। বাকি দুই ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ২৪৩ বর্গফুট করে, যার দাম সাড়ে ৫৩ লাখ টাকা করে। চারটি ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে একই দিন একই ভবনে। ভবনটির নাম র্যাংকন আইকন টাওয়ার।