দুর্নীতির দায়ে চাকরি হারালেন সহকারী পুলিশ সুপার

সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াকুব হোসেন
  • আপডেট : ০৫:৫৫:৩৮ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১ জুলাই ২০২৪
  • / 144

রবিবার (৩০ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার কথা জানানো হয়।

এএসপি ইয়াকুব সর্বশেষ রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ইয়াকুব হোসেন আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে একটি টিম গঠন করেন। এই টিমের সদস্য ছিলেন এসআই জীবন বিশ্বাস, কনস্টেবল আল আমিন, কনস্টেবল মো. আবদুস সবুর, গাড়িচালক কনস্টেবল সামিউল ও কনস্টেবল অনিক।

এতে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি রাতে এই দলের সদস্য জীবন বিশ্বাস, আল আমিন ও সবুর পরিকল্পনা অনুযায়ী মিরপুর পৌর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লিপি কমিশনারের বাড়িতে আকস্মিকভাবে ঢুকে পড়েন। সেখানে মায়া নামের এক নারীর সঙ্গে মো. আশরাফ হোসেন ও মো. শামীম রেজা অবস্থান করছিলেন। পুলিশ সদস্যরা ওই দুইজনকে “অবৈধ কাজ করার অভিযোগে” হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে বেধড়ক মারধর করে এবং অর্ধনগ্ন অবস্থায় তাদের ছবি তোলেন।

পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, পরে মিরপুর বাজারের এমএসএফ (মুঠোফোনে অর্থ লেনদেন) ব্যবসায়ী সোহেল রানার মাধ্যমে ওই দুইজনের কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেন।

“তৎকালীন এএসপি ইয়াকুব এই বিষয়টি অবগত থাকার পরেও আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের অপকর্মে সহায়তা করেছেন”- বলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর ইয়াকুব হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮–এর বিধি ৩(খ) ও ৩(ঘ) অনুযায়ী অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী জারি করা হয়। পরে ওই বিভাগীয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে ইয়াকুব হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে মতামত পাওয়া যায়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিধি অনুযায়ী “অসদাচরণ” ও “দুর্নীতির” অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের “বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান” গুরুদণ্ডের বিষয়ে সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দুর্নীতির দায়ে চাকরি হারালেন সহকারী পুলিশ সুপার

আপডেট : ০৫:৫৫:৩৮ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১ জুলাই ২০২৪

রবিবার (৩০ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার কথা জানানো হয়।

এএসপি ইয়াকুব সর্বশেষ রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ইয়াকুব হোসেন আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে একটি টিম গঠন করেন। এই টিমের সদস্য ছিলেন এসআই জীবন বিশ্বাস, কনস্টেবল আল আমিন, কনস্টেবল মো. আবদুস সবুর, গাড়িচালক কনস্টেবল সামিউল ও কনস্টেবল অনিক।

এতে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি রাতে এই দলের সদস্য জীবন বিশ্বাস, আল আমিন ও সবুর পরিকল্পনা অনুযায়ী মিরপুর পৌর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লিপি কমিশনারের বাড়িতে আকস্মিকভাবে ঢুকে পড়েন। সেখানে মায়া নামের এক নারীর সঙ্গে মো. আশরাফ হোসেন ও মো. শামীম রেজা অবস্থান করছিলেন। পুলিশ সদস্যরা ওই দুইজনকে “অবৈধ কাজ করার অভিযোগে” হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে বেধড়ক মারধর করে এবং অর্ধনগ্ন অবস্থায় তাদের ছবি তোলেন।

পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, পরে মিরপুর বাজারের এমএসএফ (মুঠোফোনে অর্থ লেনদেন) ব্যবসায়ী সোহেল রানার মাধ্যমে ওই দুইজনের কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেন।

“তৎকালীন এএসপি ইয়াকুব এই বিষয়টি অবগত থাকার পরেও আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের অপকর্মে সহায়তা করেছেন”- বলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর ইয়াকুব হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮–এর বিধি ৩(খ) ও ৩(ঘ) অনুযায়ী অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী জারি করা হয়। পরে ওই বিভাগীয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে ইয়াকুব হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে মতামত পাওয়া যায়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিধি অনুযায়ী “অসদাচরণ” ও “দুর্নীতির” অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের “বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান” গুরুদণ্ডের বিষয়ে সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।