ববিতে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ

ববি প্রতিনিধি
  • আপডেট : ০৪:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
  • / 70
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ফের উত্তাপ্ত হয়েছে।সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা ৩টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়।এসময় রাস্তায় মাগরিবের নামাজ আদায় করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ চলমান।
বঙ্গবন্ধু হল, শেরে বাংলা হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে পড়েন।এসময় স্লোগান দিতে দেখা যায় ‘তুমি কে, আমি কে? রাজাকার রাজাকার’।এর আগে গতকাল মধ্যরাতে প্রধানমন্ত্রীর এক বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে তাঁরা।
শেরে বাংলা হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী জানান,আমরা দীর্ঘদিন যাবত প্রধানমন্ত্রীর ওপরে আস্থা রেখে আন্দোলন করে আসছিলাম কিন্তু আজকে যখন উনি বাংলাদেশের ৯৯% সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরোক্ষভাবে রাজাকার তকমা দিলেন তখন আমরা আসলে আশাহত হয়েছি এবং আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে।
মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অন্য এক শিক্ষার্থী জানান, ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে হয়েছে।আমাদের ভাইদের রক্তাক্ত করা হয়েছে।এমনকি অনেক মেয়েদের উপরও হামলা করা হয়।সাধারণ শিক্ষার্থীরা অধিকার আদায় করতে এসে যদি এমন রক্তাক্ত হয়,তাহলে এর দ্বায়ভার কার? আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে কেন ব্যাঘাত ঘটালো।সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হোক।নাহলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ববিতে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ

আপডেট : ০৪:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ফের উত্তাপ্ত হয়েছে।সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা ৩টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়।এসময় রাস্তায় মাগরিবের নামাজ আদায় করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ চলমান।
বঙ্গবন্ধু হল, শেরে বাংলা হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে পড়েন।এসময় স্লোগান দিতে দেখা যায় ‘তুমি কে, আমি কে? রাজাকার রাজাকার’।এর আগে গতকাল মধ্যরাতে প্রধানমন্ত্রীর এক বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে তাঁরা।
শেরে বাংলা হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী জানান,আমরা দীর্ঘদিন যাবত প্রধানমন্ত্রীর ওপরে আস্থা রেখে আন্দোলন করে আসছিলাম কিন্তু আজকে যখন উনি বাংলাদেশের ৯৯% সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরোক্ষভাবে রাজাকার তকমা দিলেন তখন আমরা আসলে আশাহত হয়েছি এবং আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে।
মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অন্য এক শিক্ষার্থী জানান, ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে হয়েছে।আমাদের ভাইদের রক্তাক্ত করা হয়েছে।এমনকি অনেক মেয়েদের উপরও হামলা করা হয়।সাধারণ শিক্ষার্থীরা অধিকার আদায় করতে এসে যদি এমন রক্তাক্ত হয়,তাহলে এর দ্বায়ভার কার? আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে কেন ব্যাঘাত ঘটালো।সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হোক।নাহলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।