সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার মানে প্রশাসন ব্যর্থ হচ্ছে: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৬:৩৭:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 58
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার মানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ব্যর্থ হচ্ছে। তিনি বলেন, আজকে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া হয়েছে, ভালো কথা, তার মানে প্রশাসন ফেল করছে। সেনাবাহিনীকে এ ক্ষমতা দেয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের হলরুমে জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমি মনে করি সেনাবাহিনীকে মেজিস্ট্রেসি পাওয়ার সেসব এলাকাতে দেয়া দরকার যেসব এলাকা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কিন্তু যেসব এলাকাগুলো শান্তিপূর্ণ আছে, স্থানীয় রাজনীতিক নেতা-কর্মীরা সমস্ত বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছেন, সেসব এলাকাতে মেজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে নতুন সমস্যা তৈরি করা সমীচীন হবে না, বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ করবো তারা বিষয়টি পুনঃবিবেচনায় নিবেন এবং তারা কখনোই এমন কোন ব্যবস্থা নিবেন না, যা সামগ্রিকভাবে দেশের মানুষের জন্য অসুবিধা হবে। আমি কথাটা স্পষ্ট করে বলছি, কারণ এটা বলার দায়িত্ব আমার।

তিনি আরও বলেন, আমরা ১৫-১৬ বছর ধরে ত্যাগ স্বীকার করছি, মার খাচ্ছি জেলে যাচ্ছি, শুধু মাত্র এ ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে সরিয়ে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা এখন সবাই আশাবাদী হয়ে উঠেছি, নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যারা এই জঞ্জালকে দূর করে দেশে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করবে এবং সকলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে জনগণের একটি পার্লামেন্ট তৈরি হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে মির্জা ফখরুল আহ্বান করে বলেছেন, সব দিক বিবেচনা করে সত্যিকার অর্থে যেন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দেখতে পাই। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার দেখতে পাই। মানুষের উপর যেন অন্যায় অত্যাচার না হয়। শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য আর যেন শিশুদের গুলি করে হত্যা না করা হয়। আমি জানি, আমার কথা অনেকের মনমতো নাও হতে পারে। কিন্তু সত্য উচ্চারণ করা আমার দায়িত্ব। তাই আমি উচ্চারণ করে বলছি যে আপনারা সে কাজগুলো করেন যাতে একটা সংঘাতহীন ভবিষ্যৎ, সন্ত্রাসমুক্ত ভবিষ্যৎ এবং মানুষের অধিকার যুক্ত ভবিষ্যৎ আমরা দেখতে পারি।

আমরা বিশ্বাস করি রাজনৈতিক অবস্থায় ফিরে আসা, রাজনীতিবিদদের রাজনীতির কাজ করতে দেয়া একমাত্র সমস্যার সমাধান।

‘স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনে ঠাকুরগাঁওয়ের শহীদদের পরিবার ও আহতদের সাথে সাক্ষাৎ ও সাহায্যকরণ’ শিরোনামের এই আয়োজনে নিহত চারজন ও আহত ৪১ জনের পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েসসহ জেলা, উপজেলা ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার মানে প্রশাসন ব্যর্থ হচ্ছে: ফখরুল

আপডেট : ০৬:৩৭:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার মানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ব্যর্থ হচ্ছে। তিনি বলেন, আজকে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া হয়েছে, ভালো কথা, তার মানে প্রশাসন ফেল করছে। সেনাবাহিনীকে এ ক্ষমতা দেয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের হলরুমে জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমি মনে করি সেনাবাহিনীকে মেজিস্ট্রেসি পাওয়ার সেসব এলাকাতে দেয়া দরকার যেসব এলাকা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কিন্তু যেসব এলাকাগুলো শান্তিপূর্ণ আছে, স্থানীয় রাজনীতিক নেতা-কর্মীরা সমস্ত বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছেন, সেসব এলাকাতে মেজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে নতুন সমস্যা তৈরি করা সমীচীন হবে না, বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ করবো তারা বিষয়টি পুনঃবিবেচনায় নিবেন এবং তারা কখনোই এমন কোন ব্যবস্থা নিবেন না, যা সামগ্রিকভাবে দেশের মানুষের জন্য অসুবিধা হবে। আমি কথাটা স্পষ্ট করে বলছি, কারণ এটা বলার দায়িত্ব আমার।

তিনি আরও বলেন, আমরা ১৫-১৬ বছর ধরে ত্যাগ স্বীকার করছি, মার খাচ্ছি জেলে যাচ্ছি, শুধু মাত্র এ ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে সরিয়ে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা এখন সবাই আশাবাদী হয়ে উঠেছি, নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যারা এই জঞ্জালকে দূর করে দেশে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করবে এবং সকলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে জনগণের একটি পার্লামেন্ট তৈরি হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে মির্জা ফখরুল আহ্বান করে বলেছেন, সব দিক বিবেচনা করে সত্যিকার অর্থে যেন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দেখতে পাই। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার দেখতে পাই। মানুষের উপর যেন অন্যায় অত্যাচার না হয়। শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য আর যেন শিশুদের গুলি করে হত্যা না করা হয়। আমি জানি, আমার কথা অনেকের মনমতো নাও হতে পারে। কিন্তু সত্য উচ্চারণ করা আমার দায়িত্ব। তাই আমি উচ্চারণ করে বলছি যে আপনারা সে কাজগুলো করেন যাতে একটা সংঘাতহীন ভবিষ্যৎ, সন্ত্রাসমুক্ত ভবিষ্যৎ এবং মানুষের অধিকার যুক্ত ভবিষ্যৎ আমরা দেখতে পারি।

আমরা বিশ্বাস করি রাজনৈতিক অবস্থায় ফিরে আসা, রাজনীতিবিদদের রাজনীতির কাজ করতে দেয়া একমাত্র সমস্যার সমাধান।

‘স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনে ঠাকুরগাঁওয়ের শহীদদের পরিবার ও আহতদের সাথে সাক্ষাৎ ও সাহায্যকরণ’ শিরোনামের এই আয়োজনে নিহত চারজন ও আহত ৪১ জনের পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েসসহ জেলা, উপজেলা ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।