লালমনিরহাটের আওয়ামী লীগ নেতা হুন্ডি সুমন গ্রেপ্তার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • আপডেট : ০৩:০৪:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • / 17
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান ওরফে হুন্ডি সুমনকে ৪ শত কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার তিস্তা সেতুর টোলপ্লাজা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ। গত ৫ আগস্ট থেকে আত্মগোপনে থাকা ওই আওয়ামী লীগ নেতা গতকাল একটি নৈশকোচে ঢাকা যাওয়ার চেষ্টা করছিল। গ্রেপ্তারের পর তাকে সদর থানায় নিয়ে আসা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম ফজলুল হক জানান, গ্রেপ্তার সুমন খানের বিরুদ্ধে রাজধানীর আশুলিয়া, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, লালবাগ ও মোহাম্মদপুর থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

লালমনিরহাট সদর থানার দুটি দ্রুত বিচার আইন ও একটি মানি লন্ডারিং মামলারও এজাহারভুক্ত আসামি সে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগ থাকায় এলাকায় সে ‘হুন্ডি সুমন’ নামে পরিচিত।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ৩১ অক্টোবর সুমন খান, তার স্ত্রী নাহিদা আক্তার রুমা ও কর্মচারী তৌকির আহমেদ মাসুমের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করে সিআইডি। এতে বলা হয়, ওই তিনজনের ১৫টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় চার শ ঊনত্রিশ কোটি টাকা লেনদেনের অস্তিত পাওয়া গেছে।

সুমন খানের বিরুদ্ধে জমি দখল, হুন্ডি ব্যবসা, চোরাচালান, টেন্ডারবাজি, মুদ্রা ও স্বর্ণ পাচারের অভিযোগ রয়েছে বলে সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সিআইডি। বিজ্ঞপ্তিতে তাকে ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ হিসাবেও উল্লেখ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

লালমনিরহাটের আওয়ামী লীগ নেতা হুন্ডি সুমন গ্রেপ্তার

আপডেট : ০৩:০৪:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান ওরফে হুন্ডি সুমনকে ৪ শত কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার তিস্তা সেতুর টোলপ্লাজা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ। গত ৫ আগস্ট থেকে আত্মগোপনে থাকা ওই আওয়ামী লীগ নেতা গতকাল একটি নৈশকোচে ঢাকা যাওয়ার চেষ্টা করছিল। গ্রেপ্তারের পর তাকে সদর থানায় নিয়ে আসা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম ফজলুল হক জানান, গ্রেপ্তার সুমন খানের বিরুদ্ধে রাজধানীর আশুলিয়া, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, লালবাগ ও মোহাম্মদপুর থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

লালমনিরহাট সদর থানার দুটি দ্রুত বিচার আইন ও একটি মানি লন্ডারিং মামলারও এজাহারভুক্ত আসামি সে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগ থাকায় এলাকায় সে ‘হুন্ডি সুমন’ নামে পরিচিত।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ৩১ অক্টোবর সুমন খান, তার স্ত্রী নাহিদা আক্তার রুমা ও কর্মচারী তৌকির আহমেদ মাসুমের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করে সিআইডি। এতে বলা হয়, ওই তিনজনের ১৫টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় চার শ ঊনত্রিশ কোটি টাকা লেনদেনের অস্তিত পাওয়া গেছে।

সুমন খানের বিরুদ্ধে জমি দখল, হুন্ডি ব্যবসা, চোরাচালান, টেন্ডারবাজি, মুদ্রা ও স্বর্ণ পাচারের অভিযোগ রয়েছে বলে সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সিআইডি। বিজ্ঞপ্তিতে তাকে ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ হিসাবেও উল্লেখ করা হয়।