রবিবার, ১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লা বোর্ডে ৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজনও পাস করেনি

কুমিল্লা প্রতিনিধি
অক্টোবর ১৬, ২০২৫ ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একজন পরীক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর শামসুল আলম এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

ঘোষিত ফলাফল বিবরণী বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের ৬টি জেলার ১৯২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এ বছর ৯৯ হাজার ৫৭৬ জন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৪৮ হাজার ৬৫৭ জন। পাসের হার ৪৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৩টি, লক্ষ্মীপুরের ৩টি, কুমিল্লার ২টি এবং চাঁদপুরের ১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩টি হলো- নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বিজয়নগর উপজেলার নিদ্রাবাদ ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চানপুর আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

লক্ষ্মীপুরের জেলার ৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লক্ষ্মীপুর সদরের ক্যামব্রিজ সিটি কলেজ, রামগতি উপজেলার সেবা গ্রাম ফজলুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এছাড়া কুমিল্লার ২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলো- ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহিত্যশালা আদর্শ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং লালমাই উপজেলার সুরুজ মেমোরিয়াল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

অন্যদিকে চাঁদপুর জেলা থেকে শতভাগ ফেল করা একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি হলো মতলব উত্তরের জিবগাঁও জেনারেল হক হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

ফল বিপর্যয়ের বিষয়ে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর শামছুল আলম বলেন, এবার শতভাগ নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। ইংরেজিতে ফেলের হার বেশি থাকায় সামগ্রিক ফলাফলে প্রভাব পড়েছে। অন্যান্য সময়ে ভেন্যুকেন্দ্রের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। এবার ১৬২টি ভেন্যুকেন্দ্র বাতিল করা হয়েছে। ভেন্যুকেন্দ্রের কারণে অনেক সুবিধা নিত। এ বছর সে সুযোগ ছিল না। এসব কারণে ফলাফল খারাপ হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এবার পাশের হার ৪৮ দশমিক ৮৬। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৭০৭ জন।