আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী গঠনের পরিকল্পনায় পাকিস্তান, আজারবাইজান এবং ইন্দোনেশিয়া সেনা পাঠাতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) তুরস্কভিত্তিক গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, একজন বর্তমান ও একজন সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ২০০৫ সাল থেকে ইসরাইলের স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সেনা পাঠানোর ক্ষেত্রে এই তিনটি মুসলিম দেশ “সবচেয়ে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেছে।”
কর্মকর্তারা পলিটিকোকে বলেন, “স্থিতিশীলতা বাহিনী গঠনের বিষয়ে আলোচনা চলছে, তবে এখনো কোনো দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিশ্রুতি দেয়নি। তবু পাকিস্তান, আজারবাইজান ও ইন্দোনেশিয়া এ বিষয়ে সর্বাধিক আগ্রহ দেখিয়েছে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০-দফা শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র তার আরব, মুসলিম ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে মিলে গাজায় একটি “অস্থায়ী আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী ” মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে। এই বাহিনী ফিলিস্তিনি পুলিশকে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দেবে এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখতে ভূমিকা রাখবে।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, গাজায় কোনো মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হবে না; তবে যুদ্ধবিরতি সমন্বয়ে সহায়তার জন্য ইসরাইলে প্রায় ২০০ সেনা মোতায়েন থাকবে।
এর আগে তুরস্ক, মিশর ও কাতার ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করে গণহত্যা বন্ধে মার্কিন উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। এবং বর্তমান যুদ্ধবিরতির গ্যারান্টি হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ট্রাম্পের পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে গাজায় একটি নতুন শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, বহুজাতিক বাহিনী গঠন এবং হামাসকে নিরস্ত্রীকরণসহ বিভিন্ন প্রস্তাব থাকতে পারে।