জেনিভায় বৈঠকে বসবেন বাইডেন-পুতিন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৭:৪৯:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১
  • / 230

ছবি: সংগৃহীত

::যুগের কন্ঠ ডেস্ক::
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

হোয়াইট হাউজের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আগামী ১৬ জুন সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় দুই প্রেসিডেন্টের বৈঠক হবে।

ইউক্রেইন, সাইবার হামলা এবং রাশিয়ার নতুন পারমানবিক অস্ত্র মোতায়েনের পদক্ষেপ নিয়ে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে প্রথম মুখোমুখি বৈঠক করতে যাচ্ছেন দুই প্রেসিডেন্ট। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে শীতল সম্পর্ক বিরাজ করছে।

জেনিভাতেই পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ১৯৮৫ সালে তৎকালীন সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্ভাচেভ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক হয়েছিল।

দুই দেশের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতা যাতে না বাড়ে, আসন্ন বৈঠকে তার ওপরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই বৈঠকে আরও কিছু বিষয় আলোচনায় তুলতে চান, যেগুলো নিয়ে তিনি টেলিফোনে পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন অর্থনৈতিক অবরোধ ঘোষণার সময়।

এর মধ্যে পুতিনবিরোধী রুশ নেতা আলেক্সেই নাভালনির বিরুদ্ধে তদন্ত ও তাকে আটক রাখার বিষয়টিও রয়েছে। যাকে রুশ গোয়েন্দারা বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করেছিল। এছাড়া সোলারউইন্ডসসহ যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক স্থাপনায় ধারাবাহিক সাইবার হামলার বিষয়টিও আলোচনায় উঠতে পারে।

দুই সপ্তাহ আগে বাইডেন জানান, কলোনিয়াল পাইপলাইনে সাইবার হামলার মাধ্যমে যে মুক্তিপণ আদায় করা হয়েছে, সে বিষয়টিও পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে তুলবেন তিনি। ওই হামলার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের এলাকাগুলোয় জ্বালানি তেল সরবাহের প্রায় অর্ধেক বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। একটি অপরাধ চক্র এই হামলা চালালেও বাইডেনের অভিযোগ, এসব অপরাধীদের সহযোগিতা করছে রাশিয়া।

উন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭ এবং ন্যাটো জোটের মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে পরপর বৈঠক শেষে পুতিনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন বাইডেন। বৈঠক শেষে জেনিভা থেকে ব্রাসেলসে যাবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

তবে এতসব উত্তেজনার পরও বাইডেন বরাবরই বলে আসছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার অবশ্যই একটি পথ খুঁজে নিতে হবে, যেখানে দুই দেশের মধ্যে একটি ‘স্থিতিশীল’ সম্পর্ক বজায় থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জেনিভায় বৈঠকে বসবেন বাইডেন-পুতিন

আপডেট : ০৭:৪৯:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১
::যুগের কন্ঠ ডেস্ক::
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

হোয়াইট হাউজের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আগামী ১৬ জুন সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় দুই প্রেসিডেন্টের বৈঠক হবে।

ইউক্রেইন, সাইবার হামলা এবং রাশিয়ার নতুন পারমানবিক অস্ত্র মোতায়েনের পদক্ষেপ নিয়ে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে প্রথম মুখোমুখি বৈঠক করতে যাচ্ছেন দুই প্রেসিডেন্ট। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে শীতল সম্পর্ক বিরাজ করছে।

জেনিভাতেই পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ১৯৮৫ সালে তৎকালীন সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্ভাচেভ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক হয়েছিল।

দুই দেশের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতা যাতে না বাড়ে, আসন্ন বৈঠকে তার ওপরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই বৈঠকে আরও কিছু বিষয় আলোচনায় তুলতে চান, যেগুলো নিয়ে তিনি টেলিফোনে পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন অর্থনৈতিক অবরোধ ঘোষণার সময়।

এর মধ্যে পুতিনবিরোধী রুশ নেতা আলেক্সেই নাভালনির বিরুদ্ধে তদন্ত ও তাকে আটক রাখার বিষয়টিও রয়েছে। যাকে রুশ গোয়েন্দারা বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করেছিল। এছাড়া সোলারউইন্ডসসহ যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক স্থাপনায় ধারাবাহিক সাইবার হামলার বিষয়টিও আলোচনায় উঠতে পারে।

দুই সপ্তাহ আগে বাইডেন জানান, কলোনিয়াল পাইপলাইনে সাইবার হামলার মাধ্যমে যে মুক্তিপণ আদায় করা হয়েছে, সে বিষয়টিও পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে তুলবেন তিনি। ওই হামলার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের এলাকাগুলোয় জ্বালানি তেল সরবাহের প্রায় অর্ধেক বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। একটি অপরাধ চক্র এই হামলা চালালেও বাইডেনের অভিযোগ, এসব অপরাধীদের সহযোগিতা করছে রাশিয়া।

উন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭ এবং ন্যাটো জোটের মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে পরপর বৈঠক শেষে পুতিনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন বাইডেন। বৈঠক শেষে জেনিভা থেকে ব্রাসেলসে যাবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

তবে এতসব উত্তেজনার পরও বাইডেন বরাবরই বলে আসছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার অবশ্যই একটি পথ খুঁজে নিতে হবে, যেখানে দুই দেশের মধ্যে একটি ‘স্থিতিশীল’ সম্পর্ক বজায় থাকে।