‘সবসময় একটা কেক নিয়ে বসে থাকতাম’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:২৯:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১
  • / 221

মডেল ও অভিনেত্রী তটিনী

::বিনোদন প্রতিবেদক::

২ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৯ সালের শুরুতে ‘রান আউট ফিল্মস’ প্রোডাকশনের নির্মাতা সাবরিনা আইরিনের হাত ধরেই শোবিজে আসেন তানজিম সাইয়ারা তটিনি। এরপর কাজ করেন প্যারাসুটের বিজ্ঞাপনে। সেটি প্রচারে আসার পর একই বছরে ডাক পান সিটি ব্যাংক, বাটারফ্লাই, বিকাশ, নেরোলাক এর বিজ্ঞাপনে। এছাড়াও তিনি কাজ করেন এয়ারটেল, পন্ডস, রবি, ইস্পাহানি বিস্কুট, ইস্পাহানি মির্জাপুর চায়ের বিজ্ঞাপনে। পরিচিতি পান ইস্পাহানি বিস্কুট লাইট বাইটের বিজ্ঞাপন দিয়ে। এরপর সৈয়দ শাওকী পরিচালিত ‘তাকদীর’ ওয়েব ফিল্মে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। এরপরই যুক্ত হন ধারাবাহিক ‘হাউজ নং ৯৬’ নাটকে। নাটকটি দিয়ে দর্শকমহলে দারুণ পরিচিতি পান।

আজ এই মিষ্টি হাসির তরুণীর জন্মদিন। জন্মদিনে শুভাকাঙ্খীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন। তবে এই দিনকে ঘিরে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই তার। পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটাবেন।

তটিনি বলেন, সত্যি বলতে জন্মদিনটা আমার কাছে মনে হয় প্রাইভেটলি উপভোগ করা উচিত। পরিবারের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোটাই আমার কাছে সেরা মনে হয়। এটা নিয়ে পাবলিকলি কিছু করাটা আমার কাছে ভালো লাগে না। সবাই উইশ করে, এটা ভালো লাগে। এবার তেমন কোন প্ল্যান নেই। বন্ধুদের অনেকেই ঢাকার বাইরে, তারা থাকলে হয়তো আসতো! এদিনে আম্মু আমার পছন্দ অনুযায়ী খাবার রান্না করে সবসময়। এবারও তাই। আর এই পরিবারের সঙ্গে কাটানো এই মুহূর্তটাই আমার কাছে বেস্ট মনে হয়।

অন্যান্যবার যেটা হতো, আমি সবসময় একটা কেক নিয়ে বসে থাকতাম। আর আমার ভাবী অনেক আয়োজন করতো। কিন্তু এবার ভাবী ঢাকায় নেই, বাড়ীতে গিয়েছেন। সবাই যে আমাকে এত ভালোবাসেন, যত্নে আর আদরে রাখেন; এটাই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে এবার যেটা ব্যতিক্রম হয়েছে সেটা হলো, অন্যান্যবারের চেয়ে এবার অনেক বেশি শুভেচ্ছা পেয়েছি আমি। এবারের মতো করে আগে কখনো পাইনি।

অল্প সময়ের ক্যারিয়ারে যতটুকুই কাজ করেছেন কিংবা প্রশংসিত হয়েছেন এতেই সন্তুষ্ট তটিনি। তার মতে, আমার কোনো তাড়াহুড়ো নেই। আমি একটু একটু করেই খুব বেছে বেছে কাজ করতে চাই। এখন পর্যন্ত দর্শকের যে ভালোবাসা পেয়েছি, এটা অনেক।

তিনি বলেন, নিজের পড়াশোনাটা আগে। সেই সময়ের ফাঁকে ফাঁকে কিছু কাজ করি। কোনো রেস কিংবা প্রতিযোগিতায় নামতে চাই না। অনেক কাজের প্রস্তাব আসে, কিন্তু সেগুলো মনোঃপুত হয় না। আবার অনেক ক্ষেত্রে কমফোর্ট জোন পাই না, যেটা মাহমুদুর রহমান হিমি ভাইয়ার সেটে পাই। উনার সঙ্গে কাজ করে অনেক আরাম পাই। মনেই হয় না যে শুটিং করি!

যেহেতু কাজ করছি ধীরে ধীরেই করে যেতে চাই আর নিজের সাথে নিজে প্রতিযোগিতা করতে চাই সবসময়। আমার কোনো একটা কাজ যদি বেঞ্চমার্ক ক্রিয়েট করে তবে চেষ্টা থাকবে পরবর্তী কাজে সেটা থেকে আরও ভালো করার। অন্য কাউকে অনুসরণ করে কিছু করতে চাই না। তবে হ্যাঁ, যেটা অনুসরণ করা যেতে পারে সেটা হলো কারও ‘ওয়ে অব সাকসেস কিংবা ওয়ে অব স্ট্রাগল’। আর আমি সেভাবেই চলতে পছন্দ করি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘সবসময় একটা কেক নিয়ে বসে থাকতাম’

আপডেট : ০১:২৯:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১
::বিনোদন প্রতিবেদক::

২ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৯ সালের শুরুতে ‘রান আউট ফিল্মস’ প্রোডাকশনের নির্মাতা সাবরিনা আইরিনের হাত ধরেই শোবিজে আসেন তানজিম সাইয়ারা তটিনি। এরপর কাজ করেন প্যারাসুটের বিজ্ঞাপনে। সেটি প্রচারে আসার পর একই বছরে ডাক পান সিটি ব্যাংক, বাটারফ্লাই, বিকাশ, নেরোলাক এর বিজ্ঞাপনে। এছাড়াও তিনি কাজ করেন এয়ারটেল, পন্ডস, রবি, ইস্পাহানি বিস্কুট, ইস্পাহানি মির্জাপুর চায়ের বিজ্ঞাপনে। পরিচিতি পান ইস্পাহানি বিস্কুট লাইট বাইটের বিজ্ঞাপন দিয়ে। এরপর সৈয়দ শাওকী পরিচালিত ‘তাকদীর’ ওয়েব ফিল্মে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। এরপরই যুক্ত হন ধারাবাহিক ‘হাউজ নং ৯৬’ নাটকে। নাটকটি দিয়ে দর্শকমহলে দারুণ পরিচিতি পান।

আজ এই মিষ্টি হাসির তরুণীর জন্মদিন। জন্মদিনে শুভাকাঙ্খীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন। তবে এই দিনকে ঘিরে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই তার। পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটাবেন।

তটিনি বলেন, সত্যি বলতে জন্মদিনটা আমার কাছে মনে হয় প্রাইভেটলি উপভোগ করা উচিত। পরিবারের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোটাই আমার কাছে সেরা মনে হয়। এটা নিয়ে পাবলিকলি কিছু করাটা আমার কাছে ভালো লাগে না। সবাই উইশ করে, এটা ভালো লাগে। এবার তেমন কোন প্ল্যান নেই। বন্ধুদের অনেকেই ঢাকার বাইরে, তারা থাকলে হয়তো আসতো! এদিনে আম্মু আমার পছন্দ অনুযায়ী খাবার রান্না করে সবসময়। এবারও তাই। আর এই পরিবারের সঙ্গে কাটানো এই মুহূর্তটাই আমার কাছে বেস্ট মনে হয়।

অন্যান্যবার যেটা হতো, আমি সবসময় একটা কেক নিয়ে বসে থাকতাম। আর আমার ভাবী অনেক আয়োজন করতো। কিন্তু এবার ভাবী ঢাকায় নেই, বাড়ীতে গিয়েছেন। সবাই যে আমাকে এত ভালোবাসেন, যত্নে আর আদরে রাখেন; এটাই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে এবার যেটা ব্যতিক্রম হয়েছে সেটা হলো, অন্যান্যবারের চেয়ে এবার অনেক বেশি শুভেচ্ছা পেয়েছি আমি। এবারের মতো করে আগে কখনো পাইনি।

অল্প সময়ের ক্যারিয়ারে যতটুকুই কাজ করেছেন কিংবা প্রশংসিত হয়েছেন এতেই সন্তুষ্ট তটিনি। তার মতে, আমার কোনো তাড়াহুড়ো নেই। আমি একটু একটু করেই খুব বেছে বেছে কাজ করতে চাই। এখন পর্যন্ত দর্শকের যে ভালোবাসা পেয়েছি, এটা অনেক।

তিনি বলেন, নিজের পড়াশোনাটা আগে। সেই সময়ের ফাঁকে ফাঁকে কিছু কাজ করি। কোনো রেস কিংবা প্রতিযোগিতায় নামতে চাই না। অনেক কাজের প্রস্তাব আসে, কিন্তু সেগুলো মনোঃপুত হয় না। আবার অনেক ক্ষেত্রে কমফোর্ট জোন পাই না, যেটা মাহমুদুর রহমান হিমি ভাইয়ার সেটে পাই। উনার সঙ্গে কাজ করে অনেক আরাম পাই। মনেই হয় না যে শুটিং করি!

যেহেতু কাজ করছি ধীরে ধীরেই করে যেতে চাই আর নিজের সাথে নিজে প্রতিযোগিতা করতে চাই সবসময়। আমার কোনো একটা কাজ যদি বেঞ্চমার্ক ক্রিয়েট করে তবে চেষ্টা থাকবে পরবর্তী কাজে সেটা থেকে আরও ভালো করার। অন্য কাউকে অনুসরণ করে কিছু করতে চাই না। তবে হ্যাঁ, যেটা অনুসরণ করা যেতে পারে সেটা হলো কারও ‘ওয়ে অব সাকসেস কিংবা ওয়ে অব স্ট্রাগল’। আর আমি সেভাবেই চলতে পছন্দ করি।