আরও চাল আমদানির অনুমতি দিলো খাদ্য মন্ত্রণালয়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:০০:৫৪ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১
  • / 200
খাদ্য মন্ত্রণালয় ৪১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬ লাখ ৯৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল ১৪ লাখ ৮৩ হাজার টন এবং আতপ চাল ২ লাখ ১০ হাজার টন।

কমানো শুল্কহারে চাল আমদানিতে আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদনের শেষ দিনে এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে আমদানির জন্য বরাদ্দ দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, গত ১৭ আগস্ট ৪১টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ১০ হাজার টন, ১৮ আগস্ট ৬৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ১৮ হাজার টন, ২১ আগস্ট ৯১টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৯১ হাজার টন, ২২ আগস্ট ২ লাখ ২২ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৭৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেয়া হয়।

এছাড়া ২৩ আগস্ট ৯৪ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৪১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান এবং ২৪ আগস্ট ৫৭ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৩৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেয়া হয়েছে।

চাল আমদানির শর্তের মধ্যে রয়েছে- আমদানি করা চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে। বরাদ্দ আদেশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট-ঋণপত্র) খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের পুরো চাল দেশে বাজারজাত করতে হবে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে। এছাড়া প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে।

বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ১২ আগস্ট চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে সংস্থাটি। এ সুবিধা আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আরও চাল আমদানির অনুমতি দিলো খাদ্য মন্ত্রণালয়

আপডেট : ১২:০০:৫৪ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১
খাদ্য মন্ত্রণালয় ৪১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬ লাখ ৯৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল ১৪ লাখ ৮৩ হাজার টন এবং আতপ চাল ২ লাখ ১০ হাজার টন।

কমানো শুল্কহারে চাল আমদানিতে আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদনের শেষ দিনে এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে আমদানির জন্য বরাদ্দ দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, গত ১৭ আগস্ট ৪১টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ১০ হাজার টন, ১৮ আগস্ট ৬৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ১৮ হাজার টন, ২১ আগস্ট ৯১টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৯১ হাজার টন, ২২ আগস্ট ২ লাখ ২২ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৭৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেয়া হয়।

এছাড়া ২৩ আগস্ট ৯৪ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৪১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান এবং ২৪ আগস্ট ৫৭ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৩৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেয়া হয়েছে।

চাল আমদানির শর্তের মধ্যে রয়েছে- আমদানি করা চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে। বরাদ্দ আদেশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট-ঋণপত্র) খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের পুরো চাল দেশে বাজারজাত করতে হবে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে। এছাড়া প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে।

বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ১২ আগস্ট চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে সংস্থাটি। এ সুবিধা আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে।