ঢাকা ০৭:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিংড়ি ও পিঁপড়ার মহাকাশ যাত্রা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:২৯:২৭ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১
  • / 181
মহাকাশ অভিযানে প্রথমবাড়ের মতো পাঠানো হলো চিংড়ি ও পিঁপড়াকে। ধনকুবের এলন মাস্কের সংস্থা স্পেস-এক্সের ‘ফ্যালকন’ রকেট করে চিংড়ি ও পিঁপড়াসহ চিনি, আইসক্রিম, লেবু ও অন্যান্য সামগ্রী মহাকাশে রওনা হয়েছে।

মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে রোববার ভোরে ফ্যালকন রকেটটি উড্ডয়ন করে। চিংড়ি ও পিঁপড়াসহ এসব সামগ্রীর গন্তব্য হলো ভূপৃষ্ঠের ৩৭০ কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। সোমবারের মধ্যেই রকেটটি মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার কথা।

স্পেস-এক্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নাসার পাঠানো জিনিসপত্র পৌঁছে দিতে গত এক দশকে মহাকাশ স্টেশনে গেছে তাদের তৈরি ২৩টি শক্তিশালি রকেট। এবারের যাত্রায় মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান করা মহাকাশচারীদের জন্য আইসক্রিম, ফল আর নানা ধরনের খাবার পাঠানো হয়েছে।

পিঁপড়া আর চিংড়ি মাছ পাঠানোর বিষয়ে সংস্থাটি জানায়, মহাকাশ স্টেশনে ভরশূন্য অবস্থা চলছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষানিরীক্ষা। এই কাজেই কিছু পিঁপড়া আর চিংড়ির চাহিদার কথা জানিয়েছেন মহাকাশ স্টেশনের গবেষকরা।

এছাড়া ফ্যালকন রকেটে করে স্টেশনে পাঠানো হয়েছে মানুষ আকৃতি ‘রোবটিক আর্ম’ বা রোবট বাহু পাঠানো হয়েছে। মহাকাশে ভরশূন্য অবস্থায় এটি কতটা কার্যকর হয়, তা বুঝতেই জাপানের একটি সংস্থার বানানো বিশাল রোবট বাহুটিকে মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, দীর্ঘ সাড়ে ৪ দশক পর ২০২৪ সালে ‘আর্টেমিস’ অভিযানে কয়েকজন মহাকাশচারীকে ফের চাঁদের মাটিতে নামানো প্রস্তুতি নিচ্ছে নাসা। সেই অভিযানের বিভিন্ন পর্যায়ে এই রোবট বাহুর ব্যাপক ব্যবহার হবে। চাঁদে সভ্যতার একটি স্থায়ী বেস বা আস্তানা গড়ে তুলতে ও খনিজ সম্পদের সন্ধান ও সংগ্রহে এই রোবট বাহুটিকে ব্যবহার করা হবে বলে জানায় নাসা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চিংড়ি ও পিঁপড়ার মহাকাশ যাত্রা

আপডেট : ১২:২৯:২৭ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১
মহাকাশ অভিযানে প্রথমবাড়ের মতো পাঠানো হলো চিংড়ি ও পিঁপড়াকে। ধনকুবের এলন মাস্কের সংস্থা স্পেস-এক্সের ‘ফ্যালকন’ রকেট করে চিংড়ি ও পিঁপড়াসহ চিনি, আইসক্রিম, লেবু ও অন্যান্য সামগ্রী মহাকাশে রওনা হয়েছে।

মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে রোববার ভোরে ফ্যালকন রকেটটি উড্ডয়ন করে। চিংড়ি ও পিঁপড়াসহ এসব সামগ্রীর গন্তব্য হলো ভূপৃষ্ঠের ৩৭০ কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। সোমবারের মধ্যেই রকেটটি মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার কথা।

স্পেস-এক্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নাসার পাঠানো জিনিসপত্র পৌঁছে দিতে গত এক দশকে মহাকাশ স্টেশনে গেছে তাদের তৈরি ২৩টি শক্তিশালি রকেট। এবারের যাত্রায় মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান করা মহাকাশচারীদের জন্য আইসক্রিম, ফল আর নানা ধরনের খাবার পাঠানো হয়েছে।

পিঁপড়া আর চিংড়ি মাছ পাঠানোর বিষয়ে সংস্থাটি জানায়, মহাকাশ স্টেশনে ভরশূন্য অবস্থা চলছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষানিরীক্ষা। এই কাজেই কিছু পিঁপড়া আর চিংড়ির চাহিদার কথা জানিয়েছেন মহাকাশ স্টেশনের গবেষকরা।

এছাড়া ফ্যালকন রকেটে করে স্টেশনে পাঠানো হয়েছে মানুষ আকৃতি ‘রোবটিক আর্ম’ বা রোবট বাহু পাঠানো হয়েছে। মহাকাশে ভরশূন্য অবস্থায় এটি কতটা কার্যকর হয়, তা বুঝতেই জাপানের একটি সংস্থার বানানো বিশাল রোবট বাহুটিকে মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, দীর্ঘ সাড়ে ৪ দশক পর ২০২৪ সালে ‘আর্টেমিস’ অভিযানে কয়েকজন মহাকাশচারীকে ফের চাঁদের মাটিতে নামানো প্রস্তুতি নিচ্ছে নাসা। সেই অভিযানের বিভিন্ন পর্যায়ে এই রোবট বাহুর ব্যাপক ব্যবহার হবে। চাঁদে সভ্যতার একটি স্থায়ী বেস বা আস্তানা গড়ে তুলতে ও খনিজ সম্পদের সন্ধান ও সংগ্রহে এই রোবট বাহুটিকে ব্যবহার করা হবে বলে জানায় নাসা।