পাঞ্জশিরের নিয়ন্ত্রণ দাবি তালেবানের, বিরোধীরা চায় আলোচনা
- আপডেট : ১১:২৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / 157
গত কয়েক দিন ধরে পাঞ্জশিরে তালেবান ও বিরোধীদের তীব্র লড়াই চলছে। অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েও গণমাধ্যমে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়। দুই পক্ষ ভিন্ন ভিন্ন দাবি করছিল।
এ প্রেক্ষপটে রোববার তীব্র লড়াই চলাকালে নিহত হন তালেবান বিরোধী এনআরএফ (ন্যাশনাল রেসিস্টেনস ফ্রন্ট অব আফগানিস্তান) নেতা ফাহিম দাশতি ও জেনারেল আব্দুল ওয়াদুদ জারা। এই জেনারেল জারা সম্পর্কে এআরএফের প্রতিষ্ঠাতা আহমাদ শাহ মাসুদের ভাগ্নে।
সোমবার আল জাজিরা জানায়, পাঞ্জশিরে ধর্মীয় নেতাদের উপস্থিতি তালেবানের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছতে প্রস্তাব দিয়েছে এআরএফ। সংগঠনটির প্রধান আহমাদ মাসুদ রোববার ফেসবুক পাতায় এ প্রস্তাব দেন।
তিনি লিখেন, ‘এনআরএফ চলমান সমস্যা সমাধানে এবং লড়াইয়ের ইতি টানতে আলোচনায় প্রস্তুত।’ তিনি লিখেছেন, ‘দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠান লক্ষ্যে এনআরএফ লড়াই থামাতে প্রস্তত এই শর্তে যে, তালেবানকে পাঞ্জশির ও আন্দারবে তাদের সামরিক অভিযান ও হামলা বন্ধ করতে হবে।’
তালেবান আক্রমণের মুখে ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছে পাঞ্জলিরের প্রতিরোধ বাহিনী এনরারএফ। এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ ঘোষণা দিয়েছেন যে, পুরো পাঞ্জশির প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ তারা হাতে নিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, পাঞ্জশির প্রদেশের গভর্নরের ভবনের সামনের ফটকে অবস্থান করছেন তালেবান যোদ্ধারা। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি এনআরএফের আহমাদ মাসুদ।
গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুলসহ সব প্রদেশের (পাঞ্জশির ছাড়া) নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। কিন্তু পাঞ্জশির প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ থেকে যায় এনআরএফের হাতে। তারা তালেবান প্রতিরোধের ঘোষণা দেয়।
সম্প্রতি এনআরএফের হাত থেকে পাঞ্জশির উদ্ধারে অভিযান শুরু করে তালেবান। এ অভিযানে তুমুল যুদ্ধে দুই পক্ষে হতাহতে ঘটনা ঘটে। তবে এতে এনআরএফের কয়েক নেতা নিহত হয়েছেন।
আফগানিস্তানে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পাঞ্জশিরে এই এনআরএফ বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন আহমাদ শাহ মাসুদ। তারা রুশ বাহিনীর প্রতিরোধ ঠেকিয়েও ছিলেন। পরে ৯০-এর দশকে তালেবানের বিরুদ্ধেও লড়ে তার বাহিনী।
২০০১ সালে আত্মঘাতী তালেবান হামলায় নিহত হন ‘পাঞ্জশিরের সিংহ’ নামে পরিচিত আহমাদ শাহ মাসুদ। সেই থেকে তালেবানের সঙ্গে তাদের দূরত্ব আরও বাড়তে থাকে। সম্প্রতি তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিলেও তারা সরকারে যাওয়া বা কোনো সমঝোতায় যাওয়ার পথে হাঁটেনি।