ঢাকা মেডিকেলে টিকা না পেয়ে প্রবাসীদের বিক্ষোভ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:১১:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 208
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে না পেরে বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসীরা। এ সময় তাদেরকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগ টিকাকেন্দ্রের সামনে তারা এই বিক্ষোভ করেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। পরে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন।

বিক্ষুব্ধ প্রবাসীদের অভিযোগ,ঢাকা মেডিকেল কেন্দ্রে টিকা গ্রহণের তারিখ ছিল তাদের। টিকাপ্রত্যাশীদের অনেকেই রাজধানীর বাইরে এমনকি দূরের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকায় আসেন। অনেকে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় ওঠেন। সেখান থেকে ভোরে টিকাকেন্দ্রে যান। কিন্তু ঢামেকের টিকাকেন্দ্রে কর্মরতরা জানান, আজ টিকা দেওয়া হবে না। এরপর কবে যে টিকা দেওয়া হবে তা-ও নির্দিষ্ট করে বলতে পারেন না। এখন টিকা নিতে না পারলে আবার নতুন করে গ্রাম থেকে আসতে হবে তাদের। এ কারণে টিকার দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা।

বিক্ষুব্ধ প্রবাসীরা জানান, টিকা নিতে না পেরে ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। পরে হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের হাসপাতাল সীমানার বাইরে বের করে দেন। এর পর তারা পাশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। সেখানে তারা টিকার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। এর কিছুক্ষণ পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তা তাদের ‘তিন দিনের মধ্যে টিকার ব্যবস্থা করে দেবেন’ মর্মে আশ্বস্ত করলে তারা যার যার বাসায় ফিরে যান।

টিকাপ্রত্যাশী প্রবাসীরা জানান, তাদের অধিকাংশ প্রবাসীর ভিসার মেয়াদ চলে যাচ্ছে। সবাই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোক। তারা সবাই এজেন্সিতে টাকা দিয়ে রেখেছেন। কর্তৃপক্ষ তাদের কোনো আশ্বস্তও করতে পারছে না কবে টিকা পেতে পারবেন। তাদের দাবি, যেন দ্রুত টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় প্রবাসীদের।

ঢামেক হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, আমরা কোনো প্রবাসীকেই আজ প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার জন্য টিকা দেইনি। আজ যারা এসেছেন তাদের আগের তারিখে টিকা নেওয়ার দিন ছিল। তখন তারা বিভিন্ন কারণে আসতে পারেননি, এখন তারা এসে টিকা নিতে চাচ্ছেন।

নাজমুল হক আরও বলেন, আমাদের এখানে প্রথম ডোজ সিনোফার্মার আছে, তাদের সিনোফার্মার টিকা নিতে অফার করেছি। বলেছি, আমাদের এখানে সিনোফার্মা চলছে, আপনারা এটা নিতে পারেন। কিছু প্রবাসী যাদের সিনোফার্মা নিলে চলে, যেমন থাইল্যান্ড, ওমানপ্রবাসী, তারা সিনোফার্মা নিচ্ছে। আর যাদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার, ফাইজার ও মডার্না না নিলে চলবে না তাদের আমরা বলেছি আপনারা খবর রাখেন, যখন সরকার এগুলো চালু করবে তখন আপনারা আসবেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, সকালে টিকা নিতে না পারা প্রবাসীরা কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল। পরে তাদের বুঝিয়ে টিকাকেন্দ্র থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন হাসপাতালের পরিবেশ স্বাভাবিক।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঢাকা মেডিকেলে টিকা না পেয়ে প্রবাসীদের বিক্ষোভ

আপডেট : ১১:১১:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে না পেরে বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসীরা। এ সময় তাদেরকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগ টিকাকেন্দ্রের সামনে তারা এই বিক্ষোভ করেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। পরে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন।

বিক্ষুব্ধ প্রবাসীদের অভিযোগ,ঢাকা মেডিকেল কেন্দ্রে টিকা গ্রহণের তারিখ ছিল তাদের। টিকাপ্রত্যাশীদের অনেকেই রাজধানীর বাইরে এমনকি দূরের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকায় আসেন। অনেকে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় ওঠেন। সেখান থেকে ভোরে টিকাকেন্দ্রে যান। কিন্তু ঢামেকের টিকাকেন্দ্রে কর্মরতরা জানান, আজ টিকা দেওয়া হবে না। এরপর কবে যে টিকা দেওয়া হবে তা-ও নির্দিষ্ট করে বলতে পারেন না। এখন টিকা নিতে না পারলে আবার নতুন করে গ্রাম থেকে আসতে হবে তাদের। এ কারণে টিকার দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা।

বিক্ষুব্ধ প্রবাসীরা জানান, টিকা নিতে না পেরে ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। পরে হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের হাসপাতাল সীমানার বাইরে বের করে দেন। এর পর তারা পাশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। সেখানে তারা টিকার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। এর কিছুক্ষণ পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তা তাদের ‘তিন দিনের মধ্যে টিকার ব্যবস্থা করে দেবেন’ মর্মে আশ্বস্ত করলে তারা যার যার বাসায় ফিরে যান।

টিকাপ্রত্যাশী প্রবাসীরা জানান, তাদের অধিকাংশ প্রবাসীর ভিসার মেয়াদ চলে যাচ্ছে। সবাই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোক। তারা সবাই এজেন্সিতে টাকা দিয়ে রেখেছেন। কর্তৃপক্ষ তাদের কোনো আশ্বস্তও করতে পারছে না কবে টিকা পেতে পারবেন। তাদের দাবি, যেন দ্রুত টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় প্রবাসীদের।

ঢামেক হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, আমরা কোনো প্রবাসীকেই আজ প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার জন্য টিকা দেইনি। আজ যারা এসেছেন তাদের আগের তারিখে টিকা নেওয়ার দিন ছিল। তখন তারা বিভিন্ন কারণে আসতে পারেননি, এখন তারা এসে টিকা নিতে চাচ্ছেন।

নাজমুল হক আরও বলেন, আমাদের এখানে প্রথম ডোজ সিনোফার্মার আছে, তাদের সিনোফার্মার টিকা নিতে অফার করেছি। বলেছি, আমাদের এখানে সিনোফার্মা চলছে, আপনারা এটা নিতে পারেন। কিছু প্রবাসী যাদের সিনোফার্মা নিলে চলে, যেমন থাইল্যান্ড, ওমানপ্রবাসী, তারা সিনোফার্মা নিচ্ছে। আর যাদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার, ফাইজার ও মডার্না না নিলে চলবে না তাদের আমরা বলেছি আপনারা খবর রাখেন, যখন সরকার এগুলো চালু করবে তখন আপনারা আসবেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, সকালে টিকা নিতে না পারা প্রবাসীরা কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল। পরে তাদের বুঝিয়ে টিকাকেন্দ্র থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন হাসপাতালের পরিবেশ স্বাভাবিক।