হঠাৎ দুই স্কুলছাত্রের অ্যাকাউন্টে ১১১৫ কোটি টাকা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৫৫:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 137
ভারতের বিহার রাজ্যের দুই স্কুলছাত্রের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মিলল ৯৬০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১১৫ কোটি টাকা)। ওই দুই শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্টে কীভাবে এত টাকা জমা পড়ল তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে সারাদেশে। শুরু হয়েছে তদন্তও। খবর আনন্দবাজারের।

ঘটনা বিহারের কাটিহার জেলার বাগাউরা পঞ্চায়েতের পাসতিয়া গ্রামে। এই গ্রামেরই দুই শিক্ষার্থী গুরুচন্দ্র বিশ্বাস এবং অসিত কুমার। গুরুচন্দ্র এবং অসিতের অ্যাকাউন্টে যথাক্রমে ৬০ কোটি এবং ৯০০ কোটি রুপি জমা পড়েছে। আর এই ঘটনাকে ঘিরেই কাটিহার জেলায় হৈইচৈই পড়ে গেছে।

স্টেট ব্যাংকের স্থানীয় সেন্ট্রালাইজড প্রসেসিং সেন্টার (সিপিসি)-এ স্কুলের পোশাকের টাকা জমা পড়েছে কি না তা দেখতেই গিয়েছিল গুরুচন্দ্র এবং অসিত দু’জনে। অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে কি না তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে কোটি কোটি টাকা জমা পড়েছে দেখে চমকে উঠে। ঘটনাটি মুহূর্তে জানাজানি হয়ে যায় গোটা গ্রামে।

উত্তর বিহার গ্রামীণ ব্যাংকে গুরুচন্দ্র এবং অসিতের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ওই ব্যাংকের ম্যানেজার মনোজ গুপ্ত খবরটি শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ওই দু’জনের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকার লেনদেনের প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেন। কীভাবে এত টাকা দুই শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্টে ঢুকল তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউ।

এর দু’দিন আগে বিহারেরই খাগাড়িয়া জেলার এক শিক্ষকের অ্যাকাউন্টে হঠাৎই সাড়ে পাঁচ লাখ রুপি ঢোকে। ব্যাংকের প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এমনটা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ পর্যন্ত তাও ঠিক ছিল। কিন্তু এই টাকা পেয়ে শিক্ষক রঞ্জিত দাস সেটা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। শুধু অস্বীকারই নয়, ওই টাকা থেকে এক লাখ ৬০ হাজার ৯৭০ রুপি খরচও করে ফেলেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়লে পুলিশ রঞ্জিতকে গ্রেপ্তার করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হঠাৎ দুই স্কুলছাত্রের অ্যাকাউন্টে ১১১৫ কোটি টাকা!

আপডেট : ১১:৫৫:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
ভারতের বিহার রাজ্যের দুই স্কুলছাত্রের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মিলল ৯৬০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১১৫ কোটি টাকা)। ওই দুই শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্টে কীভাবে এত টাকা জমা পড়ল তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে সারাদেশে। শুরু হয়েছে তদন্তও। খবর আনন্দবাজারের।

ঘটনা বিহারের কাটিহার জেলার বাগাউরা পঞ্চায়েতের পাসতিয়া গ্রামে। এই গ্রামেরই দুই শিক্ষার্থী গুরুচন্দ্র বিশ্বাস এবং অসিত কুমার। গুরুচন্দ্র এবং অসিতের অ্যাকাউন্টে যথাক্রমে ৬০ কোটি এবং ৯০০ কোটি রুপি জমা পড়েছে। আর এই ঘটনাকে ঘিরেই কাটিহার জেলায় হৈইচৈই পড়ে গেছে।

স্টেট ব্যাংকের স্থানীয় সেন্ট্রালাইজড প্রসেসিং সেন্টার (সিপিসি)-এ স্কুলের পোশাকের টাকা জমা পড়েছে কি না তা দেখতেই গিয়েছিল গুরুচন্দ্র এবং অসিত দু’জনে। অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে কি না তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে কোটি কোটি টাকা জমা পড়েছে দেখে চমকে উঠে। ঘটনাটি মুহূর্তে জানাজানি হয়ে যায় গোটা গ্রামে।

উত্তর বিহার গ্রামীণ ব্যাংকে গুরুচন্দ্র এবং অসিতের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ওই ব্যাংকের ম্যানেজার মনোজ গুপ্ত খবরটি শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ওই দু’জনের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকার লেনদেনের প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেন। কীভাবে এত টাকা দুই শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্টে ঢুকল তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউ।

এর দু’দিন আগে বিহারেরই খাগাড়িয়া জেলার এক শিক্ষকের অ্যাকাউন্টে হঠাৎই সাড়ে পাঁচ লাখ রুপি ঢোকে। ব্যাংকের প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এমনটা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ পর্যন্ত তাও ঠিক ছিল। কিন্তু এই টাকা পেয়ে শিক্ষক রঞ্জিত দাস সেটা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। শুধু অস্বীকারই নয়, ওই টাকা থেকে এক লাখ ৬০ হাজার ৯৭০ রুপি খরচও করে ফেলেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়লে পুলিশ রঞ্জিতকে গ্রেপ্তার করে।