টিকার পেটেন্ট উন্মুক্তের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের সায়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:৫১:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মে ২০২১
  • / 275

সংগৃহীত ছবি।

::যুগের কন্ঠ ডেস্ক::

করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের পেটেন্ট সবার জন্য উন্মুক্ত করার প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এই সিদ্ধান্ত নিতে প্রেসিডেন্টকে চাপ দিয়েছিলেন ডেমোক্রেটিক দলের আইন প্রণেতারা। তবে ধারণা করা হচ্ছে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হবে।

করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় টিকাসহ জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামগুলোর মেধাসম্পদ উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়ে গত অক্টোবরে ডব্লিউটিও‘তে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এ পর্যন্ত তাদের ওই প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে ১০০টিরও বেশি দেশ।

মেধাসম্পদ উন্মুক্ত হলে বিশ্বজুড়ে টিকার উৎপাদন বাড়বে এবং দরিদ্র দেশগুলোর টিকাপ্রাপ্তির পথ আরও সুগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাইডেন প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস। তিনি এটিকে করোনা মহামারির বিরুদ্ধে একটি ‘স্মরণীয় মুহূর্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন।

নির্বাচনের আগে থেকেই করোনা টিকার মেধাসম্পদ উন্মুক্ত করার কথা বলে আসছিলেন জো বাইডেন। ক্ষমতালাভের পরে সেই অবস্থান বদলাননি তিনি। আগে মেধাসম্পদ উন্মুক্তের প্রস্তাবে তীব্র বিরোধিতা করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথেরিন টাই বলেছেন, অসাধারণ সময়ই অসাধারণ পদক্ষেপের জন্য ডাক দেয়।

তবে টিকার মেধাসম্পদ উন্মুক্ত করার বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ১৬০ সদস্য দেশের ঐকমত্যে পৌঁছাতে আরও অনেক সময় লাগতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

যুক্তরাজ্য-জাপানের মতো যেসব দেশ টিকার মেধাসম্পদ উন্মুক্ত করার প্রস্তাবে এখনো বিরোধিতা করছে, তাদের দ্রুত মত পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছে চিকিৎসা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ)।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

টিকার পেটেন্ট উন্মুক্তের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের সায়

আপডেট : ০২:৫১:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মে ২০২১
::যুগের কন্ঠ ডেস্ক::

করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের পেটেন্ট সবার জন্য উন্মুক্ত করার প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এই সিদ্ধান্ত নিতে প্রেসিডেন্টকে চাপ দিয়েছিলেন ডেমোক্রেটিক দলের আইন প্রণেতারা। তবে ধারণা করা হচ্ছে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হবে।

করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় টিকাসহ জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামগুলোর মেধাসম্পদ উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়ে গত অক্টোবরে ডব্লিউটিও‘তে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এ পর্যন্ত তাদের ওই প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে ১০০টিরও বেশি দেশ।

মেধাসম্পদ উন্মুক্ত হলে বিশ্বজুড়ে টিকার উৎপাদন বাড়বে এবং দরিদ্র দেশগুলোর টিকাপ্রাপ্তির পথ আরও সুগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাইডেন প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস। তিনি এটিকে করোনা মহামারির বিরুদ্ধে একটি ‘স্মরণীয় মুহূর্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন।

নির্বাচনের আগে থেকেই করোনা টিকার মেধাসম্পদ উন্মুক্ত করার কথা বলে আসছিলেন জো বাইডেন। ক্ষমতালাভের পরে সেই অবস্থান বদলাননি তিনি। আগে মেধাসম্পদ উন্মুক্তের প্রস্তাবে তীব্র বিরোধিতা করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথেরিন টাই বলেছেন, অসাধারণ সময়ই অসাধারণ পদক্ষেপের জন্য ডাক দেয়।

তবে টিকার মেধাসম্পদ উন্মুক্ত করার বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ১৬০ সদস্য দেশের ঐকমত্যে পৌঁছাতে আরও অনেক সময় লাগতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

যুক্তরাজ্য-জাপানের মতো যেসব দেশ টিকার মেধাসম্পদ উন্মুক্ত করার প্রস্তাবে এখনো বিরোধিতা করছে, তাদের দ্রুত মত পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছে চিকিৎসা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ)।