শিক্ষার্থীদের টিকা নিয়ে স্বাস্থ্যের উল্টো সুর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৪০:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 355

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

করোনা প্রতিরোধে আগামী বিশ দিনের মধ্যে ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা এলেও এখন উল্টো কথা বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এর আগে গতকাল শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আমেরিকার ফাইজারের টিকা দেয়া হবে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের। এজন্য আমার কাজ করছি।

এ বিষয়ে আজ রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম ভার্চুয়াল বুলেটিনে বলেন, এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। টিকা বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটিসহ অন্যান্য সবার পরামর্শ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

দেশে আবারও গণটিকা কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি। যদি এরকম পরিকল্পনা হয়- সেটি নিশ্চয়ই জানানো হবে।

দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, গত সাত দিনে শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৫৮ জন, তার আগের সপ্তাহের চাইতে তিন হাজার ৭৫৮ জন কম। মৃত্যু সংখ্যাও কমেছে।

স্বাস্থ্যের এই কর্মকর্তা বলেন, পুরো সপ্তাহের প্রথম দুদিন শনাক্তের হার সাত শতাংশের কিছুটা বেশি ছিল, এরপরের দিনগুলোতে থেকে ছয় শতাংশ বা এর চেয়ে কিছুটা বেশি। সামগ্রিকভাবে গত ৩০ দিনের সংক্রমণের যে চিত্র সেটা এই মুহূর্তে নিম্নমুখী প্রবণতাতেই আছে। এই শনাক্তের হার যদি ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত রাখা যায় তাহলে আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার যে প্রচেষ্টা চলছে, সেটা বেগবান হবে।

জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে করোনা পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি রোগী দেখা গিয়েছে গত জুলাই মাসে। সে মাসে শনাক্ত হয়েছিলেন তিন লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন, আর সেপ্টেম্বর মাসে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৬৮২ জন।

(জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) সংক্রমণের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০ জেলার মধ্যে ঢাকা জেলা সবার শীর্ষে রয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, এ জেলায় এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখ ১৩ হাজার ৯৪২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আর শীর্ষ ১০ জেলার তালিকায় দশম স্থানে রয়েছে নোয়াখালী জেলা, এ জেলায় শনাক্ত হয়েছে ২২ হাজার ৬২৯ জন।

তিনি জানান, করোনাতে আক্রান্ত হয়ে যাদের মৃত্যু হচ্ছে তাদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছর এবং ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সীদের সংখ্যাই বেশি।

করোনা প্রতিরোধে সরকার বয়স্কদের পাশাপাশি তরুণদেরও টিকার আওতায় আনার কাজ করছে সরকার। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ায় টিকার আওতা বাড়ানোর তাগিত রয়েছে। ইতিমধ্যে পর্যাক্রমে ১৮ ও তার বেশি বয়সীদের টিকা দেয়ার কার্যক্রম চালু হয়েছে। এরপর থেকেই ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলো সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শিক্ষার্থীদের টিকা নিয়ে স্বাস্থ্যের উল্টো সুর

আপডেট : ০১:৪০:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
করোনা প্রতিরোধে আগামী বিশ দিনের মধ্যে ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা এলেও এখন উল্টো কথা বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এর আগে গতকাল শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আমেরিকার ফাইজারের টিকা দেয়া হবে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের। এজন্য আমার কাজ করছি।

এ বিষয়ে আজ রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম ভার্চুয়াল বুলেটিনে বলেন, এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। টিকা বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটিসহ অন্যান্য সবার পরামর্শ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

দেশে আবারও গণটিকা কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি। যদি এরকম পরিকল্পনা হয়- সেটি নিশ্চয়ই জানানো হবে।

দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, গত সাত দিনে শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৫৮ জন, তার আগের সপ্তাহের চাইতে তিন হাজার ৭৫৮ জন কম। মৃত্যু সংখ্যাও কমেছে।

স্বাস্থ্যের এই কর্মকর্তা বলেন, পুরো সপ্তাহের প্রথম দুদিন শনাক্তের হার সাত শতাংশের কিছুটা বেশি ছিল, এরপরের দিনগুলোতে থেকে ছয় শতাংশ বা এর চেয়ে কিছুটা বেশি। সামগ্রিকভাবে গত ৩০ দিনের সংক্রমণের যে চিত্র সেটা এই মুহূর্তে নিম্নমুখী প্রবণতাতেই আছে। এই শনাক্তের হার যদি ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত রাখা যায় তাহলে আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার যে প্রচেষ্টা চলছে, সেটা বেগবান হবে।

জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে করোনা পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি রোগী দেখা গিয়েছে গত জুলাই মাসে। সে মাসে শনাক্ত হয়েছিলেন তিন লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন, আর সেপ্টেম্বর মাসে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৬৮২ জন।

(জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) সংক্রমণের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০ জেলার মধ্যে ঢাকা জেলা সবার শীর্ষে রয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, এ জেলায় এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখ ১৩ হাজার ৯৪২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আর শীর্ষ ১০ জেলার তালিকায় দশম স্থানে রয়েছে নোয়াখালী জেলা, এ জেলায় শনাক্ত হয়েছে ২২ হাজার ৬২৯ জন।

তিনি জানান, করোনাতে আক্রান্ত হয়ে যাদের মৃত্যু হচ্ছে তাদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছর এবং ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সীদের সংখ্যাই বেশি।

করোনা প্রতিরোধে সরকার বয়স্কদের পাশাপাশি তরুণদেরও টিকার আওতায় আনার কাজ করছে সরকার। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ায় টিকার আওতা বাড়ানোর তাগিত রয়েছে। ইতিমধ্যে পর্যাক্রমে ১৮ ও তার বেশি বয়সীদের টিকা দেয়ার কার্যক্রম চালু হয়েছে। এরপর থেকেই ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলো সরকার।