ওটিটি নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত: তথ্যমন্ত্রী  

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৩:৩১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 139

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত করেছে মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এটি একটি ক্রমবর্ধমান বাস্তবতা। এক্ষেত্রে, মন্ত্রণালয়ের অন্যতম প্রধান কাজ নিয়ন্ত্রণ এবং নীতিমালা তৈরি করে এই গণমাধ্যমের ক্রমবিকাশকে এগিয়ে নেওয়া। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ওটিটি প্লাটফর্মে সিনেমা-নাটক-ওয়েব সিরিজ বা কোনো কন্টেন্ট রিলিজ করতে হলে এখনো অনুমোদনের ব্যবস্থা নেই। সম্প্রতি ভারতে গিয়ে সেখানকার তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সঙ্গে তারা কিভাবে বিষয়টিকে দেখভাল করছেন সে বিষয়ে আলাপ করেছেন। তারা ফেব্রুয়ারি মাসে এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন আকারে নীতিমালা জারি করেছে। সমস্ত ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে এই নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। সেই নীতিমালার এদিক-সেদিক হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই নীতিমালার প্রাথমিক খসড়া তৈরি হয়েছে, খুব সহসা তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা যাবে।

ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কন্টেন্ট এতো বিস্তৃত এবং ব্যাপক যে সেন্সর বোর্ডের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা দূরহ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, কারণ বছরে ৫০ বা ১০০ সিনেমা রিলিজ হয়, সেটি সেন্সর করা সহজ। কিন্তু ওটিটির হাজার কন্টেন্ট সেন্সর করা সহজ কাজ নয়।

সে কারণে ভারতসহ অন্যান্য দেশে যেভাবে করা হচ্ছে সেভাবে নীতিমালার খসড়া তৈরি করা হয়েছে। যা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে। কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা সমাজ ও মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে, বিজাতীয় সংস্কৃতি উৎসাহিত হয় কিম্বা তরুণ সমাজকে বিভ্রান্ত করতে পারে এমন কোনো কন্টেন্ট যেনো সেখানে না যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যমের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যুক্ত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মত প্রকাশের অবারিত সুযোগ করে দিয়েছে। একইসঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে সমাজে নানান অস্থিরতা তৈরি, সরকার ও ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর সুযোগ হিসেবেও এটির ব্যবহার লক্ষ্যণীয়।

মূলধারার গণমাধ্যমগুলো সঠিকভাবে কাজ করেছে কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ-বিদেশ থেকে করোনাকালেও অনেক গুজব রটানো এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনার জন্য অনলাইন সংবাদ পোর্টাল, আইপি টিভি’র রেজিস্ট্রেশন দেওয়া শুরু করাসহ অনেকগুলো কাজ ইতোমধ্যেই করেছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশে বসে বিভিন্ন ব্যক্তি নির্দিষ্ট কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল ব্যবহার করে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এই ক্ষেত্রে দেখা যায়, যারা সার্ভিস প্রোভাইডার তাদের কাছ থেকে যে ধরণের সহযোগিতা পাওয়া প্রয়োজন সবসময় সে ধরণের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এজন্য সার্ভিস প্রোভাইডারদের সঙ্গে যেমন আলোচনা করছেন একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রিপোর্টার্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স কিছু দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে প্রচন্ড আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ফরাসি আইনজীবীর মাধ্যমে তাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ওটিটি নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত: তথ্যমন্ত্রী  

আপডেট : ০৩:৩১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত করেছে মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এটি একটি ক্রমবর্ধমান বাস্তবতা। এক্ষেত্রে, মন্ত্রণালয়ের অন্যতম প্রধান কাজ নিয়ন্ত্রণ এবং নীতিমালা তৈরি করে এই গণমাধ্যমের ক্রমবিকাশকে এগিয়ে নেওয়া। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ওটিটি প্লাটফর্মে সিনেমা-নাটক-ওয়েব সিরিজ বা কোনো কন্টেন্ট রিলিজ করতে হলে এখনো অনুমোদনের ব্যবস্থা নেই। সম্প্রতি ভারতে গিয়ে সেখানকার তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সঙ্গে তারা কিভাবে বিষয়টিকে দেখভাল করছেন সে বিষয়ে আলাপ করেছেন। তারা ফেব্রুয়ারি মাসে এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন আকারে নীতিমালা জারি করেছে। সমস্ত ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে এই নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। সেই নীতিমালার এদিক-সেদিক হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই নীতিমালার প্রাথমিক খসড়া তৈরি হয়েছে, খুব সহসা তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা যাবে।

ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কন্টেন্ট এতো বিস্তৃত এবং ব্যাপক যে সেন্সর বোর্ডের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা দূরহ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, কারণ বছরে ৫০ বা ১০০ সিনেমা রিলিজ হয়, সেটি সেন্সর করা সহজ। কিন্তু ওটিটির হাজার কন্টেন্ট সেন্সর করা সহজ কাজ নয়।

সে কারণে ভারতসহ অন্যান্য দেশে যেভাবে করা হচ্ছে সেভাবে নীতিমালার খসড়া তৈরি করা হয়েছে। যা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে। কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা সমাজ ও মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে, বিজাতীয় সংস্কৃতি উৎসাহিত হয় কিম্বা তরুণ সমাজকে বিভ্রান্ত করতে পারে এমন কোনো কন্টেন্ট যেনো সেখানে না যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যমের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যুক্ত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মত প্রকাশের অবারিত সুযোগ করে দিয়েছে। একইসঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে সমাজে নানান অস্থিরতা তৈরি, সরকার ও ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর সুযোগ হিসেবেও এটির ব্যবহার লক্ষ্যণীয়।

মূলধারার গণমাধ্যমগুলো সঠিকভাবে কাজ করেছে কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ-বিদেশ থেকে করোনাকালেও অনেক গুজব রটানো এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনার জন্য অনলাইন সংবাদ পোর্টাল, আইপি টিভি’র রেজিস্ট্রেশন দেওয়া শুরু করাসহ অনেকগুলো কাজ ইতোমধ্যেই করেছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশে বসে বিভিন্ন ব্যক্তি নির্দিষ্ট কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল ব্যবহার করে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এই ক্ষেত্রে দেখা যায়, যারা সার্ভিস প্রোভাইডার তাদের কাছ থেকে যে ধরণের সহযোগিতা পাওয়া প্রয়োজন সবসময় সে ধরণের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এজন্য সার্ভিস প্রোভাইডারদের সঙ্গে যেমন আলোচনা করছেন একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রিপোর্টার্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স কিছু দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে প্রচন্ড আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ফরাসি আইনজীবীর মাধ্যমে তাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।