জাতিসংঘে মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:১৫:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 134
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ অধিবেশনে পরস্পরকে দুষলো ভারত ও পাকিস্তান। বিশ্ব আসরে এ দুই দেশের বক্তব্য অনেকটা কথার লড়াইয়ের মতো শুনিয়েছে। শনিবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।

‘জাতিসংঘ অধিবেশনে পাকিস্তান ও ভারতের পারস্পরিক দোষারোপ’ শিরোনামে শনিবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসের সাম্রাজ্য’ বলে বর্ণনা করেছেন।

অপরদিকে ভারতের পক্ষ থেকে অধিবেশনে যোগ দেয়া তরুণ এক কূটনীতিক বলেছেন, পাকিস্তান তাদের উঠোনে সন্ত্রাসীদের লালন করে কেবল প্রতিবেশীদের ক্ষতিসাধনের জন্য।

স্থানীয় সময় শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেন ইমরান খান। কোভিড-১৯ এর কারণে ভাষণটি রেকর্ড ভিডিও হিসেবে প্রকাশ করা হচ্ছিল। ভাষণে ইমরান খান অভিযোগ করেন, (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) নরেন্দ্র মোদি ভারত থেকে সব মুসলিমকে তাড়িয়ে দিতে চান।

বক্তব্যে ইমরান খান জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক ইসলামফোবিয়াসহ নানা ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ভারতের মোদি সরকারের কঠোর সমালোচনা করতে দেখা যায় তাকে। তিনি নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী’ বলেও মন্তব্য করেন।

ইমরান বলেন, ‘ইসলামফোবিয়ার সবচেয়ে খারাপ ও বিকৃত রূপ এখন ভারতে শাসন করছে।’ তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আরএসএস-বিজেপির প্রচারিত বিদ্বেষপূর্ণ হিন্দুত্ববাদ ভারতের ২০ কোটি মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ভয় ও সহিংসতার রাজত্ব কায়েম করেছে।’

ইমরান খানের এ বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন জাতিসংঘে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি স্নেহা দুবে। তরুণ এ কূটনীতিক বক্তব্যে পাকিস্তানের কঠোর সমালোচনা করেছেন।

তিনি আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করেন। বিন লাদেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে এক মার্কিন অভিযানে নিহত হয়েছিলেন।

পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করে স্নেহা দুবে বলেন, ‘এটি এমন একটি দেশ যেটি অগ্নিনির্বাপকের ছদ্মবেশে অগ্নিসংযোগকারী।’ তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান তাদের উঠোনে সন্ত্রাসীদের লালন করে এই আশায় যে, তারা যাতে কেবল প্রতিবেশীদের ক্ষতিসাধন করতে পারে।’ তিনি পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন হচ্ছে বলে জানান। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তান যে গণহত্যা চালিয়েছিল, তিনি সে প্রসঙ্গেও উত্থাপন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জাতিসংঘে মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান

আপডেট : ০১:১৫:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ অধিবেশনে পরস্পরকে দুষলো ভারত ও পাকিস্তান। বিশ্ব আসরে এ দুই দেশের বক্তব্য অনেকটা কথার লড়াইয়ের মতো শুনিয়েছে। শনিবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।

‘জাতিসংঘ অধিবেশনে পাকিস্তান ও ভারতের পারস্পরিক দোষারোপ’ শিরোনামে শনিবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসের সাম্রাজ্য’ বলে বর্ণনা করেছেন।

অপরদিকে ভারতের পক্ষ থেকে অধিবেশনে যোগ দেয়া তরুণ এক কূটনীতিক বলেছেন, পাকিস্তান তাদের উঠোনে সন্ত্রাসীদের লালন করে কেবল প্রতিবেশীদের ক্ষতিসাধনের জন্য।

স্থানীয় সময় শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেন ইমরান খান। কোভিড-১৯ এর কারণে ভাষণটি রেকর্ড ভিডিও হিসেবে প্রকাশ করা হচ্ছিল। ভাষণে ইমরান খান অভিযোগ করেন, (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) নরেন্দ্র মোদি ভারত থেকে সব মুসলিমকে তাড়িয়ে দিতে চান।

বক্তব্যে ইমরান খান জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক ইসলামফোবিয়াসহ নানা ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ভারতের মোদি সরকারের কঠোর সমালোচনা করতে দেখা যায় তাকে। তিনি নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী’ বলেও মন্তব্য করেন।

ইমরান বলেন, ‘ইসলামফোবিয়ার সবচেয়ে খারাপ ও বিকৃত রূপ এখন ভারতে শাসন করছে।’ তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আরএসএস-বিজেপির প্রচারিত বিদ্বেষপূর্ণ হিন্দুত্ববাদ ভারতের ২০ কোটি মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ভয় ও সহিংসতার রাজত্ব কায়েম করেছে।’

ইমরান খানের এ বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন জাতিসংঘে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি স্নেহা দুবে। তরুণ এ কূটনীতিক বক্তব্যে পাকিস্তানের কঠোর সমালোচনা করেছেন।

তিনি আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করেন। বিন লাদেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে এক মার্কিন অভিযানে নিহত হয়েছিলেন।

পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করে স্নেহা দুবে বলেন, ‘এটি এমন একটি দেশ যেটি অগ্নিনির্বাপকের ছদ্মবেশে অগ্নিসংযোগকারী।’ তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান তাদের উঠোনে সন্ত্রাসীদের লালন করে এই আশায় যে, তারা যাতে কেবল প্রতিবেশীদের ক্ষতিসাধন করতে পারে।’ তিনি পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন হচ্ছে বলে জানান। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তান যে গণহত্যা চালিয়েছিল, তিনি সে প্রসঙ্গেও উত্থাপন করেন।